গ্রামের পথে কবিতাটি কার লেখা?
Answers
Answer:
Explanation:
George Crabbe
জর্জ ক্র্যাব কবিতাটি লিখেছিলেন
.
.
.
.
.
আশা করি এটা সাহায্য করবে
Answer:
গ্রামবাংলার এ চিত্র এখন কি কেবল কবির মনেই রয়েছে? কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম যশোর অঞ্চলে। শীত তখনো যায়নি। ভাবলাম খেজুরের রস খাব। যাকেই জিজ্ঞেস করি, সবাই না বলে। ও এখন খাবার যোগ্য না। গবেষেণা দলের সব সদস্যেরও একই কথা—স্যার খেজুরের রস খাওয়া যাবে না। বাসা থেকে না করে দেয়া আছে। কেন? স্যার, জিকা ভাইরাস! খাওয়া যাবে না। আমিও নাছোড়বান্দা। এরা সবাই আমার ছাত্রছাত্রী, শহরের ছেলেমেয়ে। আমার এক সহকর্মীও সঙ্গে। সেও ঢাকার মেয়ে। গ্রামবাংলা দেখেনি। তার সাফ কথা, স্যার আমি খাব না। কিন্তু রসই পাচ্ছি না আর খাওয়া! কোথায় সেই রসওয়ালা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে প্রায় চার-পাঁচদিন পর একদিন সন্ধ্যায় দেখি এক লোক একটি হাঁড়ি নিয়ে যাচ্ছে। গাড়ি দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করতেই জানা গেল হাঁড়িতে রস। সঙ্গের সবাই মুখ চাওয়াচাওয়ি করে নিল। আমরা কয়েকজন এক গ্লাস খেলাম। বললাম আরেক গ্লাস দাও। ততক্ষণে আমার সহকর্মীও যোগ দিলেন। বললেন, বাসায় বলা যাবে না। শেষ পর্যন্ত এক গ্লাস নয়, দু?ই গ্লাসই গলাধঃকরণ করলেন তিনি! এবার আমার মাথায় চাপল রস কী করে সংগ্রহ করে দেখব। হাঁড়িওয়ালা খুঁজতে থাকলাম। কোথাও পাওয়া গেল না। একদিন-দুদিন করে তৃতীয় দিনে কেমন করে যেন আমরা ভুল করে গ্রামের পথে চলে গেছি। দেখি এক বৃদ্ধ হাঁড়ি নিয়ে খেজুরগাছে উঠছে। আর যায় কোথায়। তাকে নিয়ে ছবি তুলতে সবাই লেগে পড়ল। কী করে রস ভাঙা হয়। একা একজন লোক মাটির হাঁড়ি পিঠে নিয়ে, রস কাটার যন্ত্রপাতি নিয়ে তরতর করে উঠে গেলেন! অথচ দেখে মনে হচ্ছিল তিনি হয়তোবা সোজা হয়ে হাঁটতেও পারবেন না! নামার পর জানলাম তিনি একা প্রায় ১৪৫টি গাছে রস ভাঙেন। এটিই তার আয়। সঙ্গে কেউ নেই? না, আমি একাই করি। ভয় করল। যদি পড়ে যান! ছেলেমেয়ে আছে? তা আছে, তবে তারা কেউই এ কাজে উৎসাহী নয়। এ কাজ তারা করবে না। আমিই শেষ।
Explanation: