২) বিশ্ব বয়স্ক অবমাননা প্রতিরােধ দিবসটি হল
Answers
১ অক্টোবর
১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনকে ১ অক্টোবরকে বয়স্ক ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক দিবস (রেজুলেশন ৪৫/১০6) হিসাবে মনোনীত করা হয়
Answer: বিশ্ব বয়স্ক অবমাননা প্রতিরােধ দিবসটি হল ১ অক্টোবর।
রাষ্ট্রসংঘ বার্ধক্যকে মানবজীবনের প্রধানতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে এ সমস্যা সম্পর্কে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি বছর ১ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস বা বিশ্ব বয়ষ্ক অবমাননা প্রতিরোধ দিবস পালন করে আসছে। আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০১৪-এর প্রতিপাদ্য ছিল ‘লিভিং নোওয়ান বিহাইন্ড : প্রোমোটিং আ সোসাইটি ফর অল’। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন আলোচ্যসূচিতে বার্ধক্য ইস্যুটি গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য স্লোগানটির মাধ্যমে রাষ্ট্রসংঘ সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ৬০ বছর ও তদূর্ধ্ব এবং উন্নত অঞ্চলের জন্য ৬৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের প্রবীণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বিংশ শতাব্দীতে চিকিত্সা বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি, সচেতনতা, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন মৃত্যু হার যেমন হ্রাস করেছে তেমনি মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। ফলে, বিশ্ব সমাজে বয়স্কদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।দেশের আইন অনুসারে যে সব ভারতীয় নাগরিকের বয়স ষাট বছর বা তার বেশি তাঁরাই প্রবীণ নাগরিক হিসাবে গণ্য হন। ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ড এবং হেল্পএজ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে ২০১১ সালে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা ছিল ৯ কোটি। ২০২৬ সালে তা ১৭ কোটি ৩০ লক্ষে পৌঁছে যাবে। ৯ কোটি প্রবীণ নাগরিকের মধ্যে ৩ কোটি মানুষই একা বসবাস করেন। এবং ৯০ শতাংশ প্রবীণ নাগরিককেই বেঁচে থাকার জন্য কাজ করতে হয়। ভারত সরকারের ‘পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রক’ প্রকাশিত ‘সিচুয়েশন অ্যানালিসিস অফ দ্য এলডারলি ইন ইন্ডিয়া’ রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০১ সালে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭.১ শতাংশই ছিলেন প্রবীণ নাগরিক। পুরুষদের ভিতর প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ৭.১ শতাংশের সামান্য কম আর মহিলাদের মধ্যে এই হার ছিল ৭.৮ শতাংশ। প্রবীণ ব্যক্তিদের জন্য ভারত সরকার ১৯৯৯ সালে জাতীয় প্রকল্প ঘোষণা করেছে। এই বছরটিকে আন্তজার্তিক প্রবীণ বর্ষ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ওই বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী ভারত সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অন্যতম লক্ষ্য হল, সংবিধানে প্রদত্ত অধিকারগুলি প্রবীণদের জন্য সুরক্ষিত করা। সংবিধানের ৪১ নম্বর অনুচ্ছেদে প্রবীণ নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বলা হয়েছে — ‘রাষ্ট্র তার উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার মধ্যে থেকে প্রবীণদের ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য পাওয়ার সুনিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।’ সমতার অধিকারকে সংবিধানে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টি কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
For more such questions: https://brainly.in/question/39253110?
#SPJ2