Science, asked by susmitasardar775, 6 months ago

শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে তা জমাট বাঁধার জন্য কোন অনু সাহায্য করে​

Answers

Answered by devroy26780
12

Explanation:

রকমারি : রক্ত জমাট বাঁধে কেমন করে

আমাদের শরীরের কোনো অংশ ছুরি বা ব্লেড কেটে গেলে সেখান দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই ওই রক্তপড়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কেমন করে রক্ত জমাট বাঁধে। প্রক্রিয়াটি নিমক্তভাবে বোঝা যেতে পারে।

প্লাজমা নামক তরল পদার্থ বাদেও আমাদের রক্তে আছে তিন প্রকার কোষ, যাদের নাম- শে^ত কণিকা, লোহিত কণিকা এবং অনুচক্রিকা। রক্তের জমাট বাঁধার জন্য এই অনুচক্রিকাই দায়ী। কাটা জায়গার চারদিকে এই অনুচক্রিকাগুলো এসে ভিড় করে এবং রক্তের প্লাজমা থেকে থ্রোম্পোপ্লাস্টিন নামক এক প্রকার পদার্থ তৈরি করে। থ্রোম্পোপ্লাস্টিন রক্তের ক্যালসিয়াম ও প্রোথ্রাম্বিনের সঙ্গে মিলিত হয়। তারপর তা রক্তে উপস্থিত ‘ফাইব্রোনোজেন’ নামক প্রোটিনের সঙ্গে ক্রিয়া করে তৈরি করে ‘ফাইব্রিন’। ফাইব্রিনের তন্তু একে অপরের ওপর আড়াআড়িভাবে পতিত হয়ে একটি বাঁধের মতো তৈরি করে। ওই বাঁধ রক্তকে আটকে রাখে। পরে ওই বাঁধ বা ফাইব্রিনের তন্তু-জালি ঘনীভূত হয়ে শক্ত হয়ে যায়। ঘটনাক্রমে উপরের স্তরের রক্ত কোষগুলো মরে গিয়ে খোস তৈরি করে। কাটা জায়গায় কোষগুলো সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপিত হলে ওই খোস খসে পড়ে যায়।

অনুচক্রিকা সিরোটোনিন নামক এক প্রকার হরমোনও তৈরি করে। ওই হরমোন রক্ত মহানাড়ীকে অর্থাৎ শিলা বা ধমনীকে সঙ্কুচিত করে রক্তের প্রবাহকে বন্ধ করে।

এখন প্রশ্ন হলো- এই অনুচক্রিকাগুলো আমাদের শরীরে প্রবাহিত রক্তকে জমাট বাঁধায় না কেন? আমাদের রক্তের কোষে হেপারিন নামক এক প্রকার এসিড থাকে। ওই এসিডই রক্তকে কখনো জমাট বাঁধতে দেয় না। ভিন্ন ভিন্ন লোকের রক্ত জমাট বাঁধে ভিন্ন ভিন্ন গতিতে।

যাদের রক্ত খুব ধীর গতিতে জমাট বাঁধে অথবা জমাট বাঁধেই না, তারা ‘হিমোফিলিয়া’ নামক মারাত্মক রোগে আক্রান্ত। হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির কোথাও কেটে গেলে তা মারাত্মক হতে পারে।

Similar questions