১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে ভর্তির পর শেখ মুজিবুর রহমানকে পড়ানোর জন্য গৃহশিক্ষক হিসেবে কাজী আবদুল হামিদকে রাখা হয়। তিনি গোপালগঞ্জে একটি সমিতি গঠন করেন, যার মাধ্যমে গরিব ছেলেদের সাহায্য করা হতো। এজন্য মুষ্টি ভিক্ষার চাল উঠানো হতো মুসলমান বাড়ি থেকে। প্রত্যেক রবিবার থলি নিয়ে বাড়ি বাড়ি থেকে চাল উঠানো হতো এবং এই চাল বিক্রি করে গরিব ছেলেদের বই, পরীক্ষা ও অন্যান্য খরচ দেওয়া হতো। ঘুরে ঘুরে জায়গিরও ঠিক করে দিতেন কাজী আবদুল হামিদ। শেখ মুজিবকে অনেক কাজ করতে হতো তাঁর সঙ্গে। হঠাৎ যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে কাজী আবদুল া৮ মারা গেলে ওই সেবা সমিতির ভার নেন শেখ মুজিব এবং অনেকর
াভেি$ দিন তিনি এটি পরিচালনা করেন। সেই সমিতির নাম কী
Answers
জাতির পিতা মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (১৯২০-১৯৭৫) জীবন, কর্ম, চিন্তা, চেতনা, দর্শন ও মানসগঠনে বিভিন্ন শিক্ষকের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও প্রভাব রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, তাঁর পড়ার সাথি, খেলার সাথি, বন্ধুবান্ধব ও বিভিন্ন সূত্র থেকে তাঁর শিক্ষাজীবন ও শিক্ষকদের সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। এসব ঘটনা ও তথ্য যেমন বাধ্যগত একজন ছাত্র তথা শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁর পরিচয় বহন করে, তেমনি একজন ভবিষ্যৎ মহামানবের ইঙ্গিতবাহীও। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী থাকাকালেও বঙ্গবন্ধু নির্দ্বিধায় শিক্ষকদের কাছে টেনেছেন ভক্তি, শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতায়, নানা কুশলাদিও নিয়েছেন।
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তিনি লেখাপড়া করেন টুঙ্গিপাড়া গিমাডাঙ্গা এমই স্কুল, গোপালগঞ্জ সীতানাথ একাডেমি, মাদারীপুর ইসলামিয়া হাইস্কুল, গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুল, গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল, কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
১.
বঙ্গবন্ধুর প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয় পারিবারিক পরিবেশে তাঁর পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সায়েরা বেগমের তত্ত্বাবধানে। পিতা শেখ লুৎফর রহমান ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা ও সচেতন ব্যক্তি। তিনি আদরের পুত্র খোকার (বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক নাম) জন্য বাড়িতে তিনজন শিক্ষক রেখেছিলেন। একজন ইসলাম ধর্ম শিক্ষার জন্য মৌলভি সাহেব, দ্বিতীয়জন সাধারণ শিক্ষার জন্য পণ্ডিত সাখাওয়াত উল্লাহ পাটোয়ারী, তৃতীয়জন কাজী আবদুল হামিদ। বঙ্গবন্ধু মৌলভি সাহেবের কাছে আমপারা আর পণ্ডিত সাখাওয়াত উল্লাহর কাছে বাংলা বর্ণমালা ও নামতা পড়তেন এবং কাজী আবদুল হামিদের কাছে পড়তেন কবিতা-গল্প ইত্যাদি।