১। সমাজে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা হযরত উমর
(রাঃ) এর খিলাফত থেকে কী কী শিক্ষা লাভ করতে পারি? তােমার
পাম বইয়ের আলােকে বিশ্লেষণ কর।
২। “প্রজাহিতৈষী হিসেবে একজন মহান শাসকের মূর্ত প্রতীক ছিলেন
খলিফা উমর (রাঃ) ব্যাখ্যা কর।
Answers
১৷ নম্বর উত্তর সার্চ দিলে পেয়ে যাবে।
২৷
মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ)। তার
সময় এক বেদুইন মহিলার সন্তান প্রসবের কাজে সাহায্য
করার জন্য তিনি তার স্বীয় স্ত্রীকে সেই ঘরে নিয়ে যান।
আবার তিনি রাতের বেলায় ছদ্মবেশ ধারণ করে মদিনার
গলিতে গলিতে ঘুরে ঘুরে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখতেন ও
তা লাঘব করার জন্য কাজ করতেন।কৃষি কাজের উন্নয়ন
এর লক্ষ্যে তিনি অনেক খাল খনন করেছেন। এইসব
ঘটনা লক্ষ্য করলে আমাদের সামনে তার জনহিতৈষী
গুনটি দেখতে পাই।জনহিতৈষীর এসব গুনের কারণে এক
জন শাসক তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হতে পারে ও তিনিও
এই কাজ করার মাধ্যমে সফল হতে পারেন।
উমর (রাঃ) জনহিতৈষীতার মূর্ত প্রতীক যা আমরা এইসব
ঘটনায় দেখতে পারি।প্রজাহিতৈষী মানেই জনহিতৈষী।
পাশাপাশি দেখা যায়,তিনি মদিনায় মসজিদ,বিদ্যালয়,
রাস্তাঘাট ইত্যাদি যাবতীয় উন্নয়ন করেন।অতএব আমরা
বলতে পারি,তিনি ছিলেন প্রজাহিতৈষী ও সব মহা শাসক
দের জন্য মূর্ত প্রতীক।
BD TANVIR
Answer:
২)ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর (রাঃ) একদিকে যেমন ছিলেন কঠোর অন্যদিকে ছিলেন কোমল হৃদয়ের অধিকারী। তিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। তিনি ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শে আদর্শিত এক মহাপুরুষ। প্রজাহিতৈষী হিসেবে তিনি ছিলেন একজন মূর্ত প্রতীক।
অর্ধ পৃথিবী শাসন করা দ্বিতীয় খলিফা উমর (রাঃ) খুবই সহজ সরল ও অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন। খেজুর পাতায় ছিল তাঁর আসন এবং তার কোনাে দেহরক্ষী ছিল না। জাগতিক লােভ-লালসা জাঁকজমকে তিনি কখনােই আসক্ত হতেন না। তারমধ্যে কঠোরতা ও কোমলতার উভয়ের সমন্বয় ঘটেছিল। শাসক হয়েও তিনি রাতের আধারের প্রজাদের অবস্থা দেখার জন্য বের হতেন। খাদ্য সামগ্রী নিজ কাঁধে বহন করে তা প্রজাদের মাঝে পৌছে দিতেন তার শাসনামলে রাজ্যে কোন অভাব ছিল না। বায়তুলমাল থেকে প্রাপ্ত কাপড়ের সেই পরিবার গ্রহণ করতে যে পরিমাণ সকলের জন্য নির্ধারিত ছিল। কৃষি কাজে ব্যাপক উন্নতি সাধনের জন্য তিনি নিজ উদ্যোগে খাল খনন করেন। বিচারের মঞ্চে তিনি ছিলেন অত্যন্ত কঠোর আর এ প্রকাশ ঘটে যখন মদ্যপানের অপরাধে নিজ পুত্রকে তিনি শাস্তি দিয়েছিলেন। জনকল্যাণে তিনি অসংখ্য মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন এবং সেই সাথে সেতু, সড়ক, হাসপাতাল নির্মাণ করার মাধ্যমে তিনি প্রজাদের অসুবিধা গুলাে দূর করেছিলেন। এত বড় শাসক হয়েও তিনি কখনাে অহঙ্কার করতেন না আর এর প্রমাণ ঘটে জেরুজালেম যাওয়ার পথে যখন ভূত্যকে উটের পিঠে চড়িয়ে নিজে উটের রশি ধরে টেনেছিলেন।
সুতরাং আমরা বলতে পারি প্রজাহিতৈষীহিসেবে একজন শাসকের মূর্ত প্রতীক ছিলেন খলিফা উমর (রাঃ)।