৭. কর্তার ভূত’ কি নিছক ভূতের গল্প, নাকি রাজনৈতিক রূপক কাহিনী? ব্যাখ্যাসহ লেখাে।
Answers
Answer:
what
Explanation:
Don't know if I speak truch so I never understand this but wait any other should help you
Answer:
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ক্ষুধিত পাষাণ’, ‘মণিহারা’ ইত্যাদি গল্প গুলি মনে করলে বোঝা যায়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘কর্তার ভূত’ গল্পেও কোনো অতিপ্রাকৃত কাহিনি পরিবেশন করতে চেয়েছেন।
কিন্তু রবীন্দ্রসাহিত্যের অধিকাংশ নামকরণের মতো ‘কর্তার ভুত’- এই নামকরণেও ঘটনার চেয়ে ব্যঞ্জনাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
কাহিনি বিশ্লেষন করলে দেখা যাবে ভুতের উল্লেখ থাকলেও গল্পের মধ্যে কোনো অতিপ্রাকৃত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেননি লেখক।
বরং কাহিনি বিশ্লেষণে ‘ভূত’ শব্দটির প্রতীকী ব্যবহার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
রূপক বা ধষষবমড়ৎু বলতে এমন রচনাকে বোঝায় যেখানে কাব্য বা কাহিনির উপরিতলের আপাত অর্থের অন্তরালে একটি গুঢ় অর্থ বা ব্যঞ্জনার ইঙ্গিত থাকে।
ফরাসি ধষষবৎমড়ৎরব এবং ল্যাটিন ও গ্রিক ধষষবৎমড়ৎরধ-র অর্থ ‘হল অন্যভাবে বলা’।
রূপক এ বাহ্যিক রুপের আড়ালে কোনো এক অন্যতর অর্থ ব্যঞ্জিত হয়।
‘কর্তার ভূত’ গল্পে আধুনিক যুক্তিবাদী উদারমনোভাবাপন্ন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চিরাচরিত প্রথা এবং অতীতের অন্ধ অণুগমনকে বুদ্ধিদীপ্ত রূপকের আড়ালে আক্রমণ করেছেন।
ইংরেজ শাসনাধীন ভারতবর্ষে রবীন্দ্রনাথ সাধারণ মানুষের মধ্যে সজাগ অণুভূতি ও রাজনৈতিক সচেতনতার অভাব লক্ষ করেছেন।
অভিজাত ইংরেজের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে একসময় দেশের মানুষ বাধ্যবাধকতা বলে মেনে নিয়েছিল।
তাদের মধ্যে না ছিল স্বাধীনতা অর্জনের স্বপ্ন, না ছিল সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার মতো চিন্তাশক্তি।
তৎকালীন শিক্ষিত ভারতবাসী পরাধীনতার গ্লানি আর জাতীয় অক্ষমতাকে আড়াল করতে চেয়েছিল গর্বের সঙ্গে।
রবীন্দ্রনাথ ভারতবাসীর এই আধোগমনকে ‘কর্তার ভূত’ গল্পে রূপকের আশ্রয়ে তুলে ধরেছেন।
রূপকের আড়ালে এ গল্পে তৎকালীন রাজনীতিকে ব্যঙ্গ করে রবীন্দ্রনাথ প্রতিবাদের এক অন্যমাত্রা তৈরি করেছেন।