Biology, asked by mitrasarkar06, 3 months ago

ন্যাস্টিক চলন কাকে বলে​

Answers

Answered by mailforsabah786
13

Answer:

উদ্ভিদের স্থায়ী অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের তীব্রতা বা ব্যাপ্তি অনুসারে হয় , তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বলে।

Answered by Manjula29
6

চলন :- এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থান পরিবর্তন  করাকে চলন বলে, কিন্তু উদ্ভিদ এর ক্ষেত্রে চলনের সঙ্ঘা আলাদা,

উদ্ভিদের চলন :-স্থান পরিবর্তন না করে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সঞ্ছালনা কে চলন বলে।

ন্যাস্টিক চলন:- উদ্দীপকের তীব্রতার কারনে উদ্ভিদের স্থায়ী অঙ্গের যে চলন হয় ,  তাকে ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে।

যেমন পদ্মফুল তীব্র আলোতে ফোটে এবং কম আলোতে বুজে যায় ,

এছাড়া লজ্জাবতী লতা স্পর্শ করলে সঙ্গে সঙ্গে পত্রক গুলি বুজে যায়।

ন্যাস্টিক চলন পাঁচ  প্রকার হয় , সেগুলি নিম্নে বর্ণনা করা হল,

ফটোন্যাস্টি :-  আলোর তীব্রতার প্রভাবে যে ন্যাস্টিক চলন হয় , তাকে ফটোন্যাস্টি চলন বলে।

উদাহরন - পদ্মফুল , সূর্যমুখী ফুল প্রভৃতি তীব্র আলোকে ফোটে আবার কম আলোকে বুজে যায়।  

থার্মোন্যাস্টি :-   উষ্ণতার তীব্র প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে থার্মোন্যাস্টি চলন বলে।  উদাহরন -টিউলিপ ফুল বেশি উষ্ণতায় ফোটে এবং কম উষ্ণতায় বুজে যায়।

নিকটিন্যাস্টি :-   যখন আলো ও উষ্ণতা এই দুই উদ্দিপকের প্রভাবে এর উদ্ভিদ অঙ্গের ন্যাস্টিক চলন ঘটে, তখন তাকে নিকটিন্যাস্টি চলন বলে।

উদাহরন -  কোনও কোনও শিম্বী গোত্রীয় উদ্ভিদের পত্রফলক তীব্র  রোদ এবং বেশি উষ্ণতায় খুলে যায় এবং রাত্রে কম উষ্ণতায় বন্ধ হয়ে যায়।

 কেমোন্যাস্টি :-    কোনো রাসায়নিক পদার্থের তীব্রতায় যখন ন্যাস্টিক চলন সম্পন্ন হয় তখন তাকে কেমোন্যাস্টি চলন বলে।

উদাহরন - সূর্যশিশির উদ্ভিদের পাতার রোম প্রোটিনের সংস্পর্শে আসা মাত্র পতঙ্গের দিকে বেঁকে যায় এবং পতঙ্গকে আবদ্ধ করে।

 সিসমোন্যাস্টি :-    ন্যাস্টিক চলন  যখন  স্পর্শ, ঘর্ষণ বা আঘাতের তীব্রতার ফলে হয়,  তখন তাকে সিসমোন্যাস্টি চলন বলে।

উদাহরন -  লজ্জাবতী লতার পাতার পাতা স্পর্শ করামাত্র পাতার পত্রকগুলি বুজে  যায় বা নুয়ে পড়ে।

 

 

 

 

Similar questions