ন্যাস্টিক চলন কাকে বলে
Answers
Answer:
উদ্ভিদের স্থায়ী অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের তীব্রতা বা ব্যাপ্তি অনুসারে হয় , তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বলে।
চলন :- এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থান পরিবর্তন করাকে চলন বলে, কিন্তু উদ্ভিদ এর ক্ষেত্রে চলনের সঙ্ঘা আলাদা,
উদ্ভিদের চলন :-স্থান পরিবর্তন না করে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সঞ্ছালনা কে চলন বলে।
ন্যাস্টিক চলন:- উদ্দীপকের তীব্রতার কারনে উদ্ভিদের স্থায়ী অঙ্গের যে চলন হয় , তাকে ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে।
যেমন পদ্মফুল তীব্র আলোতে ফোটে এবং কম আলোতে বুজে যায় ,
এছাড়া লজ্জাবতী লতা স্পর্শ করলে সঙ্গে সঙ্গে পত্রক গুলি বুজে যায়।
ন্যাস্টিক চলন পাঁচ প্রকার হয় , সেগুলি নিম্নে বর্ণনা করা হল,
ফটোন্যাস্টি :- আলোর তীব্রতার প্রভাবে যে ন্যাস্টিক চলন হয় , তাকে ফটোন্যাস্টি চলন বলে।
উদাহরন - পদ্মফুল , সূর্যমুখী ফুল প্রভৃতি তীব্র আলোকে ফোটে আবার কম আলোকে বুজে যায়।
থার্মোন্যাস্টি :- উষ্ণতার তীব্র প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে থার্মোন্যাস্টি চলন বলে। উদাহরন -টিউলিপ ফুল বেশি উষ্ণতায় ফোটে এবং কম উষ্ণতায় বুজে যায়।
নিকটিন্যাস্টি :- যখন আলো ও উষ্ণতা এই দুই উদ্দিপকের প্রভাবে এর উদ্ভিদ অঙ্গের ন্যাস্টিক চলন ঘটে, তখন তাকে নিকটিন্যাস্টি চলন বলে।
উদাহরন - কোনও কোনও শিম্বী গোত্রীয় উদ্ভিদের পত্রফলক তীব্র রোদ এবং বেশি উষ্ণতায় খুলে যায় এবং রাত্রে কম উষ্ণতায় বন্ধ হয়ে যায়।
কেমোন্যাস্টি :- কোনো রাসায়নিক পদার্থের তীব্রতায় যখন ন্যাস্টিক চলন সম্পন্ন হয় তখন তাকে কেমোন্যাস্টি চলন বলে।
উদাহরন - সূর্যশিশির উদ্ভিদের পাতার রোম প্রোটিনের সংস্পর্শে আসা মাত্র পতঙ্গের দিকে বেঁকে যায় এবং পতঙ্গকে আবদ্ধ করে।
সিসমোন্যাস্টি :- ন্যাস্টিক চলন যখন স্পর্শ, ঘর্ষণ বা আঘাতের তীব্রতার ফলে হয়, তখন তাকে সিসমোন্যাস্টি চলন বলে।
উদাহরন - লজ্জাবতী লতার পাতার পাতা স্পর্শ করামাত্র পাতার পত্রকগুলি বুজে যায় বা নুয়ে পড়ে।