Math, asked by rabi7980442590, 7 months ago

ধ্বান ও ধ্বান পিরবর্তন
৭০
ধ্বনি
৮১-১০৯
১০৮
সরাংশ অথবা
১১০-১৩২
১১০
মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হল নিজেকে প্রকাশের আকাঙ্ক্ষা। প্রকাশের সেই আকুল আগ্রহ থেকে মানুষ গড়ে
তুলেছে ভাষা। সেই ভাষার প্রত্যক্ষতর দুটি রূপ—একটি ধ্বনিগত বা উচ্চারিত রূপ, অপরটি বর্ণগত বা লিখিত রূপ।
এই ধ্বনিগত রূপটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে মুখে যখন উচ্চারণ করা হয় এবং বর্ণগত রূপটি প্রকাশ পায় লেখায়।
বাংলার ভাষা সংক্রান্ত আলােচনায় সর্বপ্রথম আলােচ্য বিষয় হল ধ্বনি, বর্ণ ও অক্ষর। ভাষার ক্ষুদ্রতম অঙ্গ
এগুলি। বাগযন্ত্রের সাহায্যে আমরা যেসব কথা উচ্চারণ করে থাকি তা হল সামঞ্জস্যপূর্ণ কতকগুলি ধ্বনিসমষ্টি। এই
ধ্বনিসমষ্টির সমন্বয়েই সেই অর্থবহশব্দ বা পদ গড়ে ওঠে। সুতরাং, ধ্বনিহল শ্রুতিগ্রাহ্য। এই ধ্বনিগুলিকে যখন লিখিত
রূপে প্রকাশ করা হয় তখন প্রতিটি ধ্বনির জন্য প্রতীকচিহ্ন ব্যবহার করা হয় এবং সেই প্রতীকচিহ্নগুলি হয় দৃষ্টিগ্রাহ্য।
» বনি (Sound) : মানুষের ভাব প্রকাশের জন্য বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে মুখগহ্বর থেকে যে শব্দ উচ্চারিত হয়
তা হল ধ্বনি।
বর্ণ (Letter) : বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনিগুলিকে যে প্রতীকচিহ্নের মাধ্যমে লিখে প্রকাশ করা
হয় অর্থাৎ দৃষ্টিগ্রাহ্য করে তােলা হয় তাকে বলা হয় বর্ণ।
উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। পরস্পর ভাব বিনিময়ের সময়ে সম্মুখবর্তী কোনাে
একজন ব্যক্তি যখন মানুষ’ কথাটি উচ্চারণ করে তখন তার মুখগহ্বর থেকে মা (ম্ + আ), নু (ন্ + উ),
ষ ( + ০)'—এই ধ্বনিসমষ্টি প্রকাশ পায়। অপরজন তখন তা শুনে ধ্বনিসমষ্টির দ্বারা কী বােঝাতে চাইছে তা
স্পষ্ট বুঝতে পারে এবং এর মাধ্যমেই তার একটা বাস্তবরূপও মনের মধ্যে সজ্ঞারিত হয়। তবে এটা নিকটেই সম্ভব।
দূরের কাউকে বােঝাতে গেলে এই ধ্বনিসমষ্টিকে প্রতীকচিহ্নের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। বলা যায়, বর্ণের সাহায্যে
প্রকাশ করতে হবে।
এই প্রসঙ্গে ‘অক্ষর’ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। অনেক শিক্ষার্থীর ধারণা বর্ণ ও অক্ষর এক। কিন্তু অক্ষর
(Syllable) হল স্বতন্ত্র। শব্দ বা পদ হল অক্ষরের সমষ্টি। যে-কোনাে শব্দ বা পদ উচ্চারণের সময় স্বাসবায়ু মাঝে
মাঝে মন্দীভূত হয় অর্থাৎ উচ্চারণ প্রবাহ যেন একটু শ্লথ হয় এবং ছেদ পড়ে। আসলে এক ছেদ থেকে আর-এক ছেদ
পর্যন্ত উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে বলা হয় অক্ষর। যেমন—জনম’ (জ ন /ম) শব্দটিতে তিনটি ছেদ বা ঝোক
কিন্তু ‘জন্ম’ (জন /ম) শব্দটিতে দুটি ছেদ বা ঝোক আছে। জ’ ধ্বনি নিয়ে একটি ছেদ, আবার ম’-কে নিয়ে একটি
ছেদ (বর্ণ তিনটি কিন্তু ছেদ দুটি)। বস্তুত, “জনম’ শব্দটিতে তিনটি ছছদ বা ঝোক আছে, তবে বর্ণের সংখ্যা তিনটি।
একটি শব্দের যতটুকু ধ্বনি নিশ্বাসের এক প্রয়াসে বা এক ঝোকে উচ্চারিত হয় তাকেই অক্ষর বলা হয়। আর
অক্ষরের উচ্চারণ মানের একককে বলে মাত্রা।
১১)
১১৬
১১।
১১১
১২০
১১।​

Answers

Answered by Anonymous
1

Answer:

ধ্বান ও ধ্বান পিরবর্তন

৭০

ধ্বনি

৮১-১০৯

১০৮

সরাংশ অথবা

১১০-১৩২

১১০

মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হল নিজেকে প্রকাশের আকাঙ্ক্ষা। প্রকাশের সেই আকুল আগ্রহ থেকে মানুষ গড়ে

তুলেছে ভাষা। সেই ভাষার প্রত্যক্ষতর দুটি রূপ—একটি ধ্বনিগত বা উচ্চারিত রূপ, অপরটি বর্ণগত বা লিখিত রূপ।

এই ধ্বনিগত রূপটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে মুখে যখন উচ্চারণ করা হয় এবং বর্ণগত রূপটি প্রকাশ পায় লেখায়।

বাংলার ভাষা সংক্রান্ত আলােচনায় সর্বপ্রথম আলােচ্য বিষয় হল ধ্বনি, বর্ণ ও অক্ষর। ভাষার ক্ষুদ্রতম অঙ্গ

এগুলি। বাগযন্ত্রের সাহায্যে আমরা যেসব কথা উচ্চারণ করে থাকি তা হল সামঞ্জস্যপূর্ণ কতকগুলি ধ্বনিসমষ্টি। এই

ধ্বনিসমষ্টির সমন্বয়েই সেই অর্থবহশব্দ বা পদ গড়ে ওঠে। সুতরাং, ধ্বনিহল শ্রুতিগ্রাহ্য। এই ধ্বনিগুলিকে যখন লিখিত

রূপে প্রকাশ করা হয় তখন প্রতিটি ধ্বনির জন্য প্রতীকচিহ্ন ব্যবহার করা হয় এবং সেই প্রতীকচিহ্নগুলি হয় দৃষ্টিগ্রাহ্য।

» বনি (Sound) : মানুষের ভাব প্রকাশের জন্য বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে মুখগহ্বর থেকে যে শব্দ উচ্চারিত হয়

তা হল ধ্বনি।

বর্ণ (Letter) : বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনিগুলিকে যে প্রতীকচিহ্নের মাধ্যমে লিখে প্রকাশ করা

হয় অর্থাৎ দৃষ্টিগ্রাহ্য করে তােলা হয় তাকে বলা হয় বর্ণ।

উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। পরস্পর ভাব বিনিময়ের সময়ে সম্মুখবর্তী কোনাে

একজন ব্যক্তি যখন মানুষ’ কথাটি উচ্চারণ করে তখন তার মুখগহ্বর থেকে মা (ম্ + আ), নু (ন্ + উ),

ষ ( + ০)'—এই ধ্বনিসমষ্টি প্রকাশ পায়। অপরজন তখন তা শুনে ধ্বনিসমষ্টির দ্বারা কী বােঝাতে চাইছে তা

স্পষ্ট বুঝতে পারে এবং এর মাধ্যমেই তার একটা বাস্তবরূপও মনের মধ্যে সজ্ঞারিত হয়। তবে এটা নিকটেই সম্ভব।

দূরের কাউকে বােঝাতে গেলে এই ধ্বনিসমষ্টিকে প্রতীকচিহ্নের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। বলা যায়, বর্ণের সাহায্যে

প্রকাশ করতে হবে।

এই প্রসঙ্গে ‘অক্ষর’ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। অনেক শিক্ষার্থীর ধারণা বর্ণ ও অক্ষর এক। কিন্তু অক্ষর

(Syllable) হল স্বতন্ত্র। শব্দ বা পদ হল অক্ষরের সমষ্টি। যে-কোনাে শব্দ বা পদ উচ্চারণের সময় স্বাসবায়ু মাঝে

মাঝে মন্দীভূত হয় অর্থাৎ উচ্চারণ প্রবাহ যেন একটু শ্লথ হয় এবং ছেদ পড়ে। আসলে এক ছেদ থেকে আর-এক ছেদ

পর্যন্ত উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে বলা হয় অক্ষর। যেমন—জনম’ (জ ন /ম) শব্দটিতে তিনটি ছেদ বা ঝোক

কিন্তু ‘জন্ম’ (জন /ম) শব্দটিতে দুটি ছেদ বা ঝোক আছে। জ’ ধ্বনি নিয়ে একটি ছেদ, আবার ম’-কে নিয়ে একটি

ছেদ (বর্ণ তিনটি কিন্তু ছেদ দুটি)। বস্তুত, “জনম’ শব্দটিতে তিনটি ছছদ বা ঝোক আছে, তবে বর্ণের সংখ্যা তিনটি।

একটি শব্দের যতটুকু ধ্বনি নিশ্বাসের এক প্রয়াসে বা এক ঝোকে উচ্চারিত হয় তাকেই অক্ষর বলা হয়। আর

অক্ষরের উচ্চারণ মানের একককে বলে মাত্রা।

১১)

১১৬

১১।

১১১

১২০

১১।

Similar questions