বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছিল কোথা থেকে
Answers
বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে ফারসী থেকেই:
সহরহামেশা বিভিন্ন ফারসী কবিতা আবৃত্তি মুবারক শুনে থাবি, যার মধ্যে ‘তীর’, ‘ছায়া’ এসব শব্দ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এগুলো প্রত্যেকটিই কিন্তু ফারসী শব্দ। এই শব্দগুলোকে আলাদা করে ফারসী ভাষার শব্দ বলে চেনার উপায় নেই। বস্তুত ফারসী কোনো বিদেশী ভাষা নয়, কারণ ভারতবর্ষের মুসলিম শাসনের হাজার বছরের ইতিহাসে ফারসী ভাষা মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত ছিল। বাংলার আড়ালে আমাদের মুখে মুখে ফারসী ভাষার শব্দ তো বটেই, এমনকি বাক্যও জারি রয়েছে। কিন্তু ফারসী চর্চার রেওয়াজ উঠে যাওয়ায় আমরা তা বুঝতে পারি না।
এই না বুঝতে পারার কারণেই জালিয়াত হিন্দুরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন আরবী-ফারসী শব্দকে সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত বলে মিথ্যা দাবি করে বইপত্র ও অভিধান লিখে চলেছে। ‘বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান’ নামক একটি ডিকশনারী বাংলা একাডেমী থেকে বের করা হয়েছে, যেখানে প্রায় প্রত্যেকটি বাংলা শব্দকে সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত বলে দেখানো হয়েছে। অথচ বাংলা ভাষার অর্ধেকের বেশি শব্দ হচ্ছে আরবী-ফারসী। ঐ বাংলা একাডেমী থেকেই প্রকাশিত ড. এনামুল হকের ‘ব্যবহারিক বাংলা অভিধান’ থেকেও এর প্রমাণ মেলে। বর্তমান সরকার চরম হিন্দুঘেঁষা ও ভারতপন্থী। তাই এই সরকারের আমলে বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত উক্ত ‘বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান’ সম্পাদনা করতে ডাকা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী ভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলরকে। এজন্যই উক্ত ডিকশনারীতে প্রত্যেকটি শব্দকে সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত হিসেবে দেখানো হয়েছে। অথচ ইতিহাস বলছে, এই বাংলাদেশে বখতিয়ার খিলজীর আগমনের আগেও ছূফী-দরবেশগণ ফারসী ভাষা নিয়ে এসেছিলেন। গোটা মুসলিম রাজত্বে বাংলাদেশের ভাষা ছিল ফারসী। এমনকি ব্রিটিশআমলের প্রথমার্ধেও বাংলাদেশের শিক্ষিত হিন্দুদের ভাষা ছিল ফারসী। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত সেই ফারসী থেকেই বাংলা ভাষার উদ্ভব, সংস্কৃত থেকে নয়।
Answer:
মূলত আর্যভাষা থেকে।
ইন্দো ইউরোপীয়>ইন্দো ইরানীয়>ইন্দো আর্য>পূর্ব ইন্দো আর্য>বাংলা