World Languages, asked by shabnamjerin49, 4 months ago

সৃজনশীল প্রশ্ন
‘জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে
সে জাতির নাম মানুষ জাতি;
এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত
একই রবি শশী মােদের সাথি।
বাহিরের ছােপ আঁচড়ে সে লােপ
ভিতরের রং পলকে ফোটে
বামুন, শূদ্র, বৃহৎ, ক্ষুদ্র
কৃত্রিম ভেদ ধুলায় ললাটে।
ক. কূপজল অর্থ কী?
জাতপাত নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিত নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপক ও ‘মানবধর্ম' কবিতায় মানুষের যে মিল পাওয়া যায় তা আলােচনা কর।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘মানবধর্ম' কবিতায় যে-ধর্ম চর্চার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরােপ করা হয়েছে তা মূল্যায়ন কর।​

Answers

Answered by rabia2005
27

ক. কূপজল অর্থ কী?

==কূপজল' অর্থ কুয়োর পানি।

গ. উদ্দীপক ও ‘মানবধর্ম' কবিতায় মানুষের যে মিল পাওয়া যায় তা আলােচনা কর।

==গ. উদ্দীপক ও ‘মানবধর্ম’ কবিতায় মানুষ জাতির স্বরূপ তথা প্রকৃত অবস্থা উন্মোচিত হয়েছে এবং প্রমাণ হয়েছে মানবধর্ম হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ধর্ম। পৃথিবীর সব মানুষ এক জাতি। কোনো ভেদাভেদ নেই। ‘মানবধর্ম’ কবিতায় লালন শাহ্ মানুষের জাত-ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার মতে, মানুষ জন্ম ও মৃত্যুকালে যেহেতু জাত-ধর্মের চিহ্ন ধারণ করে না, তাই জাত-পাত তথা ধর্মীয় ভেদাভেদ গ্রহণযোগ্য নয়। মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় সে মানুষ। সব মানুষ সমান। তার কাছে মানবধর্মই আসল ধর্ম বলে বিবেচিত। উদ্দীপকেও মানবধর্মের কথা বলা হয়েছে। সব মানুষকে এক জাতি হিসেবে উল্লেখ করে বজ্জাতিদের চরমভাবে ঘৃণা করা হয়েছে। কারণ, সব মানুষ একই পৃথিবীর সন্তান। একই চন্দ্র-সূর্যের আলোতে সবার বসবাস। বাইরের রঙে পার্থক্য থাকলেও ভেতরের রং এক ও অভিন্ন। ব্রাহ্মণ ও শূদ্রের মধ্যে যে পার্থক্য দেখা যায়, তা মানুষের সৃষ্টি। জাত নিয়ে জালিয়াত করে জুয়া খেলা করছে। শূদ্রকে ব্রাহ্মণ ছুঁলেই জাত যাবে এটা মানুষের সৃষ্টি। জাত ছেলের হাতের মোয়া নয়। ইচ্ছে করলেই জাতের পার্থক্য করা যাবে না। সব মানুষের একটি ধর্ম তা হচ্ছে মানবধর্ম। মানবধর্ম শ্রেষ্ঠ ধর্ম আর মানুষ হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব। তাই বলা যায়, চেতনাগত ভাব প্রকাশে ‘মানবধর্ম’ কবিতা ও উদ্দীপকে সব মানুষ একই এবং একরকম। ধর্মে কোনো বিভেদ নেই। মানবধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। ইচ্ছে করলেই ধর্মের পার্থক্য করা যাবে না।

গ. উদ্দীপক ও ‘মানবধর্ম’ কবিতায় মানুষ জাতির স্বরূপ তথা প্রকৃত অবস্থা উন্মোচিত হয়েছে এবং প্রমাণ হয়েছে মানবধর্ম হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ধর্ম। পৃথিবীর সব মানুষ এক জাতি। কোনো ভেদাভেদ নেই। ‘মানবধর্ম’ কবিতায় লালন শাহ্ মানুষের জাত-ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার মতে, মানুষ জন্ম ও মৃত্যুকালে যেহেতু জাত-ধর্মের চিহ্ন ধারণ করে না, তাই জাত-পাত তথা ধর্মীয় ভেদাভেদ গ্রহণযোগ্য নয়। মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় সে মানুষ। সব মানুষ সমান। তার কাছে মানবধর্মই আসল ধর্ম বলে বিবেচিত। উদ্দীপকেও মানবধর্মের কথা বলা হয়েছে। সব মানুষকে এক জাতি হিসেবে উল্লেখ করে বজ্জাতিদের চরমভাবে ঘৃণা করা হয়েছে। কারণ, সব মানুষ একই পৃথিবীর সন্তান। একই চন্দ্র-সূর্যের আলোতে সবার বসবাস। বাইরের রঙে পার্থক্য থাকলেও ভেতরের রং এক ও অভিন্ন। ব্রাহ্মণ ও শূদ্রের মধ্যে যে পার্থক্য দেখা যায়, তা মানুষের সৃষ্টি। জাত নিয়ে জালিয়াত করে জুয়া খেলা করছে। শূদ্রকে ব্রাহ্মণ ছুঁলেই জাত যাবে এটা মানুষের সৃষ্টি। জাত ছেলের হাতের মোয়া নয়। ইচ্ছে করলেই জাতের পার্থক্য করা যাবে না। সব মানুষের একটি ধর্ম তা হচ্ছে মানবধর্ম। মানবধর্ম শ্রেষ্ঠ ধর্ম আর মানুষ হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব। তাই বলা যায়, চেতনাগত ভাব প্রকাশে ‘মানবধর্ম’ কবিতা ও উদ্দীপকে সব মানুষ একই এবং একরকম। ধর্মে কোনো বিভেদ নেই। মানবধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। ইচ্ছে করলেই ধর্মের পার্থক্য করা যাবে না।ঘ. উদ্দীপকে মানুষের মধ্যে মানুষই জাতের পার্থক্য সৃষ্টি করছে তা ফুটে উঠেছে যা ‘মানবধর্ম’ কবিতার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। ‘মানবধর্ম’ কবিতায় কবি লালন শাহ্ ধর্ম বা সম্প্রদায়গত পরিচিতির চেয়ে মানুষকে মানুষ হিসেবেই বড় করে দেখেছেন। কবিতায় তিনি মানুষের জাত-পাতের বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জাতের মধ্যে কোনো পার্থক্য পাননি। তিনি বলেছেন, জন্ম বা মৃত্যুর সময় জাতের কোনো চিহ্ন থাকে না, তেমনি জাতীয় জীবনে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়। তার মতে, সবার এক পরিচয় আর তা হলো মানুষ। মানুষের ধর্ম হচ্ছে একটি যা মানবধর্ম

  • Hope it helps you friend.
Similar questions