Physics, asked by santoshsarkar2022, 1 month ago

বায়ুমণ্ডলের
সবোচ্চ স্তরটির নাম কি

Answers

Answered by sritejvelamala
2

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিনঅনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন

বায়ুমন্ডলে নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি বিক্ষিপ্ত হয় বলে পৃথিবীকে নীল আলো প্রদান করে যা দেখা হয়েছিল মহাশূন্যের অবস্থিত আইএসএস থেকে যা ৪০২–৪২৪ কিলোমিটার উপরে।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গঠন পরিমাণ অনুসারে। নিচের পাই চার্টটি সন্ধান পাওয়া গ্যাসসমূহের দ্বারা ০.০৩৮% বায়ুমন্ডল গঠিত তা প্রকাশ করছে।এই পরিমাণ বিভিন্ন বছর থেকে সংগ্রহিত (প্রধানত কার্বন ডাই-অক্সাইড ১৯৮৭ সালে এবং মিথেন ২০০৯ সালে) এবং কোন একক উৎস নির্দেশ করে না।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বলতে পৃথিবীর চারপাশে ঘিরে থাকা বিভিন্ন গ্যাস মিশ্রিত স্তরকে বোঝায়, যা পৃথিবী তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা ধরে রাখে। একে আবহমণ্ডল-ও বলা হয়। এটি সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব রক্ষা করে। এটি তাপ ধরে রাখার মাধ্যমে (গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়া) ভূপৃষ্টকে উত্তপ্ত করে ও দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস করে।

শ্বাস-প্রশ্বাস ও সালোকসংশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত বায়ুমন্ডলীয় গ্যাসসমূহের প্রদত্ত প্রচলিত নাম বায়ু বা বাতাস।পরিমাণের দিক থেকে শুষ্ক বাতাসে ৭৮.০৯% নাইট্রোজেন,২০.৯৫% অক্সিজেন,[১] ০.৯৩% আর্গন, ০.০৩% কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং সামান্য পরিমাণে অন্যান্য গ্যাস থাকে।বাতাসে এছাড়াও পরিবর্তনশীল পরিমাণ জলীয় বাষ্প রয়েছে যার গড় প্রায় ১%।বাতাসের পরিমাণ ও বায়ুমন্ডলীয় চাপ বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন রকম হয়,স্থলজ উদ্ভিদ ও স্থলজ প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত বাতাস কেবল পৃথিবীর ট্রপোমণ্ডল এবং কৃত্রিম বায়ুমণ্ডলসমূহে পাওয়া যাবে।

বায়ুমন্ডলের ভর হচ্ছে প্রায় ৫×১০১৮ কেজি,যার তিন চতুর্থাংশ পৃষ্ঠের প্রায় ১১ কিলোমিটারের (৩৬,০০০ ফুট ৬.৮ মাইল) মধ্যে থাকে।উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুমন্ডল পাতলা হতে থাকে এবং বায়ুমণ্ডল ও মহাশূন্যের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই।Karman লাইন, 100 কিলোমিটার (62 মাইল), অথবা পৃথিবীর ব্যাসার্ধ এর 1.57% এ, প্রায়ই বায়ুমণ্ডল এবং মহাশূন্যে মধ্যে সীমান্ত হিসাবে ব্যবহৃত হয়।কারম্যান রেখা যা পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) উপরে অথবা পৃথিবীর ব্যাসার্ধের ১.৫৭% প্রায়ই বায়ুমণ্ডল এবং মহাশূন্যের মধ্যে সীমান্ত হিসাবে ব্যবহার করা হয়।বায়ুমন্ডলীয় প্রভাবসমূহ পরিলক্ষিত হয় যখন মহাকাশযান প্রায় ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) উচ্চতায় অথ্যাৎ কারম্যান রেখার উপরে গমন করে।বৈশিষ্ট্য যেমন তাপমাত্রা ও গঠনের উপর ভিত্তি করে বায়ুমন্ডলকে কয়েকটি স্তরে ভাগ করা যায়।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং তার প্রক্রিয়া নিয়ে চর্চা করাকে বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞান বা অ্যাইরলজি বলা হয়।লিওন টিইসারিয়েক ডি বর্ট ও রিচার্ড অ্যাসম্যান এই শাস্ত্রের প্রারম্ভিক পথিকৃৎ।[২]

Similar questions