History, asked by priyankaslg234, 1 month ago

নীল তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট কী বলা হয়েছিল?

Answers

Answered by gorejalindar83
9

Answer:

নীলচাষ আর তার ইতিহাস সংরক্ষণে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। এ কারণে চিহ্ণিত করা হয়েছে উত্তর দিনাজপুর আর বাঁকুড়ার দু’টি পরিত্যক্ত নীলকুঠি। প্রথমটির সংরক্ষণের কাজ অনেকটাই শেষ। দ্বিতীয় প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে শীঘ্রই। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি কথা হয়েছে ‘নবান্ন’-র এক বৈঠকে।

অবিভক্ত বাংলায় লুইস বার্নার্ডের হাত ধরে নীলচাষ শুরু হয় ১৭৭৭ নাগাদ। কাপড় রাঙানো এবং ওষুধ তৈরির জন্য এই নীল জাহাজে চাপিয়ে পাঠানো হত বিলেতে। এটা এতটাই লাভজনক ছিল, জমিদারদের কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদি লিজ নিয়ে ব্রিটিশরা দাপটে চালিয়ে যাচ্ছিলেন এই চাষ। ‘নীলকর সাহেবদের’ অত্যাচার এতটাই চরমে ওঠে, ১৮৫৯ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ শুরু হয় বিদ্রোহ। নীলবোঝাই জাহাজ নাকি ডুবিয়ে দেন ক্ষুব্ধ চাষিরা। ঐতিহাসিক যোগেশচন্দ্র বাগল এটিকে ‘অহিংস আন্দোলন’ হিসাবে চিহ্ণিত করে তুলনা করেন সিপাহি বিদ্রোহের সঙ্গে। দীনবন্ধু মিত্র লিখলেন ‘নীলদর্পণ’। নাট্যকারের নাম রইলো না। ‘কশ্চিৎ পথিকস্য’ নামে একটি ভূমিকা জুড়ে দিলেন তিনি। তারপর মুদ্রিত নাটকের কয়েক কপি নিয়ে চলে এলেন কলকাতায়। এর নাট্যরূপ মঞ্চস্থের জন্য গিরিশ ঘোষ তৈরি করলেন ‘ন্যাশনাল থিয়েটার’। এটি ব্যাপক সাড়া ফেলল জনমানসে। ব্রিটিশ সরকার নীল তদন্ত কমিশন বসাল। কমিশনের রিপোর্টে লেখা হয়েছিল, যে নীল ইংল্যান্ডে পৌঁছয়, তাতে লেগে থাকে মানুষের রক্ত।

Similar questions