বৈষ্ণব মতে পঞ্চবরস কি ? উদ্ধৃতি পঞ্চবরস ব্যখ্যা দাও
Answers
Explanation:
বৈষ্ণবধর্ম (সংস্কৃত: वैष्णव धर्म) হিন্দুধর্মের একটি শাখাসম্প্রদায়। এই সম্প্রদায়ে বিষ্ণু বা তার অবতারগণ (মুখ্যত রাম ও কৃষ্ণ) আদি তথা সর্বোচ্চ ঈশ্বর রূপে পূজিত হন। বৈষ্ণবধর্মে বিষ্ণুকে সমগ্র জগতের পালনকর্তা রূপে গণ্য করা হয়। ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মানুশীলনের ক্ষেত্রে, বিশেষত ভক্তি ও ভক্তিযোগ প্রসঙ্গে, বৈষ্ণব ধর্মমতের প্রধান তাত্ত্বিক ভিত্তি উপনিষদ ও তৎসংশ্লিষ্ট বেদ ও অন্যান্য পৌরাণিক শাস্ত্র। যথা – ভগবদ্গীতা, পদ্মপুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ, গরুর পুরান ও ভাগবত পুরাণ।[১][২][৩]
বৈষ্ণবধর্ম (সংস্কৃত: वैष्णव धर्म) হিন্দুধর্মের একটি শাখাসম্প্রদায়। এই সম্প্রদায়ে বিষ্ণু বা তার অবতারগণ (মুখ্যত রাম ও কৃষ্ণ) আদি তথা সর্বোচ্চ ঈশ্বর রূপে পূজিত হন। বৈষ্ণবধর্মে বিষ্ণুকে সমগ্র জগতের পালনকর্তা রূপে গণ্য করা হয়। ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মানুশীলনের ক্ষেত্রে, বিশেষত ভক্তি ও ভক্তিযোগ প্রসঙ্গে, বৈষ্ণব ধর্মমতের প্রধান তাত্ত্বিক ভিত্তি উপনিষদ ও তৎসংশ্লিষ্ট বেদ ও অন্যান্য পৌরাণিক শাস্ত্র। যথা – ভগবদ্গীতা, পদ্মপুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ, গরুর পুরান ও ভাগবত পুরাণ।[১][২][৩]বৈষ্ণবধর্মের অনুগামীদের বৈষ্ণব নামে অভিহিত করা হয়। বৈষ্ণব ধর্মেৱ মূল কথা-- আত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন এবং এই একাত্মতার জন্য যে পথ অবলম্বন করা হয়,তা হলো--- কেবলমাত্র প্রেম ও ভক্তি এবং সম্পূর্ণরূপে অহিংসা। বৈষ্ণব ধর্মে পরমাত্মার চর্চার জন্য সকল প্রকার জাগতিক গুন বর্জন করে নির্গুণ হয়ে পরমাত্মার সাথে একাত্ম হওয়ার উপদেশ রয়েছে। প্রাচীন ভারতে গুপ্তযুগেও এই বৈষ্ণব ধর্মের প্রচলন ছিল। এই গুপ্তযুগেই বিখ্যাত বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থ "বিষ্ণুস্মৃতি" রচিত হয়। বৈষ্ণবরা মূলত নিরামিষাশী। তবে ভারতবর্ষের উড়িষ্যাৱ জগন্নাথ মন্দিরে বিশেষ পূজায় মাছ বলি দেওয়ার প্রচলন রয়েছে । বৈষ্ণবরা হিন্দু সমাজের অন্যতম বৃহৎ অংশ।[৪] এঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠের বাস ভারতে। দক্ষিণ ভারতে "আঙ্কোরভাট মন্দির", "তিরুপতি বালাজির মন্দির" ও "পদ্মনাভস্বামী মন্দির" বৈষ্ণবধর্মের চর্চার জন্য বিখ্যাত। তবে ভারতবর্ষের বাইরে ইন্দোনেশিয়াতেও বিষ্ণুর পূজার তথা বৈষ্ণবধর্মের উল্লেখ রয়েছে । সাম্প্রতিককালে ধর্মসচেতনতা, স্বীকৃতি ও ধর্মপ্রসারের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের বাইরে বৈষ্ণবদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে বৈষ্ণবধর্মের প্রসারে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে আসছে গৌড়ীয় বৈষ্ণব শাখাটি।[৫] মুখ্যত ,ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলার অন্তর্গত নবদ্বীপ গ্রামে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর হাত ধরেই এই গৌড়ীয় বৈষ্ণব শাখাটির প্রচলন । চৈতন্য মহাপ্রভুর ভাবধারাকে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ ইসকন "হরে কৃষ্ণ" আন্দোলন জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে ভৌগোলিক প্রসার ঘটিয়ে সম্পাদন করছে। বহু বিদেশিও এই নবদ্বীপে এসে সমগ্র বিশ্বে বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারের জন্য অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করে চলেছেন। এছাড়াও অতি সম্প্রতি অন্যান্য বৈষ্ণব সংগঠনও পাশ্চাত্যে ধর্মপ্রচারের কাজ শুরু করেছে।