সংক্ষেপে উত্তর দাও (যেকোন ৫টি) :
স্কেচ ও স্টাডির মধ্যে পার্থক্য কি?
খ) গােটানাে পটচিত্র বলতে কি বােঝায়?
গ) পুঁথিচিত্র কি?
ঘ)
স্থিরবস্তুচিত্র অংকনে ড্রেপারীর প্রয়ােজনীয়
সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও (যেকোন ৫টি) ঃ
মুরাল কি?
ক)
খসড়া চিত্র,
খ)
নকসা,
গ) আলপনা,
ঘ) স্থাপত্য,
আকৃতি বা ফর্ম,
চ) ক্যানভাস।
প্রাগৈতিহাসিক যুগে ইউরােপীয় গুহাচিত্র সম্পর্কে
মুঘল চিত্রকলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
Answers
Answer:
ক) খসড়া হলো, চিত্র বা লেখা জাতীয় কিছু।
খ) কোন বস্তু বা ব্যবস্থা নির্মানের জন্য, কোন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন, নমুনা বস্তু, পণ্য বা প্রক্রিয়া পূর্ণতা দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা বা স্তর নির্দিষ্টকরণ হল নকশা।
গ) আলিপনা হল লেপন করে করা কারুকার্য।
চ) ক্যানভাস (canvas) হলো একম কিছু যার উপরে আকাঁ যায় কিংবা আকাঁ হয়।
Answer:
ক. স্কেচ সাধারণত দ্রুত এবং আলগা ভাবে করা হয়, কোনো দৃশ্য বা বস্তুর মৌলিক আকার ক্যাপচার করার একটি উপায় এটি। অন্যদিকে, অধ্যয়ন বা স্টাডি হল সম্পূরণ (complete) ছবি যা শিল্পের একটি নির্দিষ্ট দিক যেমন রঙ, মান বা ফর্ম অন্বেষণ করার জন্য তৈরি করা হয়।
খ. গোটানো পট : এই পটচিত্রের কাপড় ৮ থেকে ২৫ হাত লম্বা এবং ২ থেকে ২.৫ হাত চওড়া হয়ে থাকে। একটি কাঠের দণ্ডে পট এর কাপড় পেঁচিয়ে বা জড়িয়ে গুটিয়ে রাখা হত বলে এ-ধরনের পটকে 'জড়ানো বা গোটানো পট' বলা হত।
গ. পাল সাম্রাজ্যের সময়ে বৌদ্ধ গ্রন্থ অষ্টসহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা এবং বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন পুথিকে কেন্দ্র করে যে চিত্রকলা বিকশিত হয়েছিল তাকে পুঁথিচিত্র বলা হয়।
Explanation:
ক। মুরালঃ ম্যুরাল হল এক ধরনের চিত্রকলা যা কোনো স্থাপত্যের দেয়াল বা ছাদের পৃষ্ঠতল এর উপর অঙ্কন করা হয়। ভারতীয় ম্যুরাল পেইন্টিং এর উদাহরণ হল গুহা এবং প্রাসাদের দেয়ালে আঁকা ছবি । ম্যুরালগুলির প্রাচীনতম প্রমাণ বলা যায় অজন্তা ও ইলোরা গুহাচিত্র, বাগ গুহাচিত্র এবং সিত্তানভাসাল গুহায় আঁকা ফ্রেস্কো চিত্রকলা।
খ। খসড়া চিত্র: এটি একটি নকশা বা ছবির প্রাথমিক স্কেচ। এই প্রক্রিয়াটি দ্রুত হতে পারে এবং খুব সতর্কতার প্রয়োজন হয় না। খসড়া হল বিভিন্ন বেধ এবং মেকআপের লাইনের মাধ্যমে একটি বস্তু বা ধারণাকে উপস্থাপন করার প্রক্রিয়া।
গ। নকসাঃ কোনো চিত্রের কাঠামো নি্মাণ করাকে বলা হয় নকশা বা ডিজাইন। কখনো এটি উদ্দেশ্যহীন ভাবে শুধুই নান্দনিকতার জন্য বানানো হয়।
ঘ। আলপনাঃ একধরনের লোকশিল্প হল আলপনা। রঙ লেপন করে বাড়ির চৌকাঠ বা মেঝের উপর নি্দিষ্ট কাঠামো বানিয়ে তার মধ্যে ছবি ঁআকা হয়।
ঙ। স্থাপত্যঃ ভবন ও অন্যান্য কাঠামোর নির্মাণ শৈলী ও নির্মাণ কৌশল কে স্থাপত্য বলা হয়। এটি শিল্প, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি বিদ্যার সাহায্যে তৈরি হয়।
চ। আকৃতি বা ফর্মঃ এটি কোনও অবজেক্ট বা তার বাহ্যিক সীমানা, রূপরেখা বা বাহ্যিক পৃষ্ঠ এর রূপ।
ছ। ক্যানভাসঃ তাঁবু, পাল, থলে ইত্যাদি এবং চিত্রকলায় তৈলচিত্রের পট হিসেবে ব্যবহৃত মজবুত, মোটা কাপড়বিশেষ হল ক্যানভাস।
জ। প্রাগৈতিহাসিক যুগে ইউরােপীয় গুহাচিত্র সম্পর্কে বিবরণঃ
- ল্যাসো গুহা চিত্রঃ ১৯৪৮-এ এই ১৭হাজার বছরের প্রাচীন গুহা আবিষ্কৃত হয়। তারপর ১৯৫৫ সালের মধ্যে দৈনিক ১২০০ দর্শক ও তার সাথে তাদের দেহ নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড, দেহতাপ, আর্দ্রতা ইত্যাদির জন্য ওখানকার চিত্রগুলি দৃশ্যত ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যায়। ১৯৬৩ থেকে ল্যাসো গুহায় সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।
- ৩০ থেকে ৩২ হাজার বছর আগের দক্ষিণ ফ্রান্সের "শুভে গুহায়" কিছু ছবি আবিস্কার হয়। এই ছবিগুলো পুরাতন প্রস্তর যুগের মানব জীবনের অনন্য প্রমাণ হিসেবে ধরা হয়। এখানে মোট প্রায় ৬৫ টি ছবি পাওয়া গেছে। তার মধ্যে আছে পশম যুক্ত গন্ডার, গুহা ভাল্লুক, ম্যামথের ইত্যাদির চিত্র।
ঝ। মুঘল চিত্রকলাঃ
- মুঘল চিত্রকলা পারসিক স্থাপত্যকে অনুকরণ করেই তৈরী হয়েছিল।
- ভারতীয় মুঘল চিত্রশিল্পীরা পারসিক চিত্রশিল্পকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করেছিলেন। তবে এই চিত্রশিল্পের মেজাজ, অনুভূতি ছিল পারসিকদের থেকে আলাদা।
- বিশালত্বের পাশাপাশি শৈল্পিক কারুকাজ আর সৌন্দর্যের দিক দিয়ে মুঘল শিল্প এর ঐতিহ্য অতুলনীয়। সূক্ষ্ম কাজ, কাঠামোর বিন্যাস এবং আগাগোড়া ছন্দের ভারসাম্য মুঘল কলাকে এক ব্যতিক্রমী এবং নান্দনিক গৌরবে ভূষিত করেছে।সেই বিশাল ও বড় মাপের নির্মাণ কাজের নৈপুণ্যের পাশাপাশি মুঘলরা ছোট ছোট অতি সূক্ষ্ম শিল্পকর্মের নিদর্শনও তৈরি করেছিলেন। মুঘলদের এমন এক অসামান্য শিল্প কৃতিত্বই হল মিনিয়েচার পেইন্টিং।
To learn more about মুরাল, please visit:
https://brainly.in/question/47316818
To learn more about মিনিয়েচার পেইন্টিং, please visit:
https://brainly.in/question/21300676
#SPJ3