মানুষ তৈরির ধর্ম এর উদ্গাতা কে
Answers
Answered by
1
অনুরোধের জন্য ধন্যবাদ মি: ভুইঞা।
ধর্ম মানুষের তৈরি এই সিদ্ধান্তে আসা খুব সহজ কারণ
কোনো ঈশ্বর ধর্মের স্রষ্টা হলে একাধিক ধর্ম থাকত না
যে কোনো দুটো ধর্মের বই পড়ে দেখুন, হুবহু মিল পাবেন না! অর্থাৎ কোনো দুটো ধর্ম কখনই সমান নয়। কেন? কারণ তাদের স্রষ্টা ভিন্ন মানুষ।
এবার আপনার প্রশ্নের ২য় পর্যায়ে আসি: সব নবী যে নিজেরাই ধর্ম তৈরী করেছেন
সব ক্ষেত্রে তা নয়। কয়েকটা উদাহরণ দিলাম:
বুদ্ধের জীবনী থেকে জানা যায় যে তিনি ভগবানের অস্তিত্ব সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি এবং সবকিছু যুক্তি দিয়ে বিচার করার পক্ষে ছিলেন। তার মৃত্যুর পরে তার শিষ্যদের মধ্যে মতভেদ দেখা যায় আর তারা হীনযান আর মহাযান এই দুভাগে ভাগ হয়ে যান। পরবর্তী প্রজন্মে আরো ভাগ হয় এবং বুদ্ধকে একদল অনুগামী ভগবান বলে প্রচার করতে থাকেন যদিও বাকিরা বলেন "তিনি মোক্ষপ্রাপ্ত, তবে ভগবান নন"! অর্থাৎ যিনি যুক্তি দিয়ে বিচার করতে বললেন, তার মতকে উড়িয়ে তাকেই ভগবান বানিয়ে দেওয়া হল!
তারেক ফতেহ, ইমাম তাহিদির মত কয়েকজন মুসলিম মনে করেন যে মহম্মদকে যেভাবে আধুনিক উপলভ্য কোরান এবং বিভিন্ন হাদিসে দেখানো হয়েছে তা বিকৃত। "যেহেতু সেগুলো নবীর মৃত্যুর প্রায় ১০০ বা তারও বেশি বছর পরে লেখা তাই সেগুলোর যে অংশগুলো গাঁজাখুরি সেগুলো বিশ্বাস করা উচিত নয়"। "আসল ইসলাম মহম্মদের মৃত্যুর সাথে অস্তাচলে গেছে আর এখন যে ইসলাম চলছে তা মোল্লাদের ইসলাম" যেখানে দেখানো হয়েছে মহম্মদ একজন নাবালিকাকে আর পুত্রবধূকে বিয়ে করেছিলেন আর আরো খারাপ কাজ করেছিলেন। এনাদের মতে আসলে মহম্মদ একজন সমাজ সংস্কারক ছিলেন আর এখন যে "আচারসর্বস্ব ইসলাম দেখি তাতে সেই মোল্লাদের একাংশ ঐ সংস্কারকে কুসংস্কারে পরিণত করেছে"।
ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে আরো দুজনার কথা বলা যায়: লোকনাথ এবং সাঁই। দুজনেই সমাজের কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাস দূর করায় ব্রতী ছিলেন, কিন্তু তাদের মৃত্যুর পরে তাদের বাণীকে ধর্মব্যবসায় পরিণত করা হয়। কীভাবে?
খেয়াল করবেন যে ঠিক যেমন যীশু সম্পর্কে কিছু অলৌকিক কাহিনী প্রচলিত আছে যেমন অন্ধকে চোখ ফিরিয়ে দেওয়া, খোঁড়ামো ঠিক করা ইত্যাদি, সেই একইরকম গল্প এই দুজনের নামেও প্রচার করা হয়! মজার ব্যাপার- বুদ্ধের নামেও এমন গল্প আছে, তবে সেগুলো ভারতের বাইরে!
তাই আপনি আস্তিক হন বা নাস্তিক, এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই যে প্রত্যেক ধর্মই মনুষ্যসৃষ্ট। তবে আমার মতে কয়েক হাজার ধর্ম থাকলেও বৈচিত্র্যের বড্ড অভাব; যদি হাতি, কুকুর, শুশুক, প্রজাপতি -এরাও ধর্ম বানাতে পারতো, তাহলে হয়ত মানুষ নতুন কিছু শিখত!
ধর্ম মানুষের তৈরি এই সিদ্ধান্তে আসা খুব সহজ কারণ
কোনো ঈশ্বর ধর্মের স্রষ্টা হলে একাধিক ধর্ম থাকত না
যে কোনো দুটো ধর্মের বই পড়ে দেখুন, হুবহু মিল পাবেন না! অর্থাৎ কোনো দুটো ধর্ম কখনই সমান নয়। কেন? কারণ তাদের স্রষ্টা ভিন্ন মানুষ।
এবার আপনার প্রশ্নের ২য় পর্যায়ে আসি: সব নবী যে নিজেরাই ধর্ম তৈরী করেছেন
সব ক্ষেত্রে তা নয়। কয়েকটা উদাহরণ দিলাম:
বুদ্ধের জীবনী থেকে জানা যায় যে তিনি ভগবানের অস্তিত্ব সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি এবং সবকিছু যুক্তি দিয়ে বিচার করার পক্ষে ছিলেন। তার মৃত্যুর পরে তার শিষ্যদের মধ্যে মতভেদ দেখা যায় আর তারা হীনযান আর মহাযান এই দুভাগে ভাগ হয়ে যান। পরবর্তী প্রজন্মে আরো ভাগ হয় এবং বুদ্ধকে একদল অনুগামী ভগবান বলে প্রচার করতে থাকেন যদিও বাকিরা বলেন "তিনি মোক্ষপ্রাপ্ত, তবে ভগবান নন"! অর্থাৎ যিনি যুক্তি দিয়ে বিচার করতে বললেন, তার মতকে উড়িয়ে তাকেই ভগবান বানিয়ে দেওয়া হল!
তারেক ফতেহ, ইমাম তাহিদির মত কয়েকজন মুসলিম মনে করেন যে মহম্মদকে যেভাবে আধুনিক উপলভ্য কোরান এবং বিভিন্ন হাদিসে দেখানো হয়েছে তা বিকৃত। "যেহেতু সেগুলো নবীর মৃত্যুর প্রায় ১০০ বা তারও বেশি বছর পরে লেখা তাই সেগুলোর যে অংশগুলো গাঁজাখুরি সেগুলো বিশ্বাস করা উচিত নয়"। "আসল ইসলাম মহম্মদের মৃত্যুর সাথে অস্তাচলে গেছে আর এখন যে ইসলাম চলছে তা মোল্লাদের ইসলাম" যেখানে দেখানো হয়েছে মহম্মদ একজন নাবালিকাকে আর পুত্রবধূকে বিয়ে করেছিলেন আর আরো খারাপ কাজ করেছিলেন। এনাদের মতে আসলে মহম্মদ একজন সমাজ সংস্কারক ছিলেন আর এখন যে "আচারসর্বস্ব ইসলাম দেখি তাতে সেই মোল্লাদের একাংশ ঐ সংস্কারকে কুসংস্কারে পরিণত করেছে"।
ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে আরো দুজনার কথা বলা যায়: লোকনাথ এবং সাঁই। দুজনেই সমাজের কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাস দূর করায় ব্রতী ছিলেন, কিন্তু তাদের মৃত্যুর পরে তাদের বাণীকে ধর্মব্যবসায় পরিণত করা হয়। কীভাবে?
খেয়াল করবেন যে ঠিক যেমন যীশু সম্পর্কে কিছু অলৌকিক কাহিনী প্রচলিত আছে যেমন অন্ধকে চোখ ফিরিয়ে দেওয়া, খোঁড়ামো ঠিক করা ইত্যাদি, সেই একইরকম গল্প এই দুজনের নামেও প্রচার করা হয়! মজার ব্যাপার- বুদ্ধের নামেও এমন গল্প আছে, তবে সেগুলো ভারতের বাইরে!
তাই আপনি আস্তিক হন বা নাস্তিক, এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই যে প্রত্যেক ধর্মই মনুষ্যসৃষ্ট। তবে আমার মতে কয়েক হাজার ধর্ম থাকলেও বৈচিত্র্যের বড্ড অভাব; যদি হাতি, কুকুর, শুশুক, প্রজাপতি -এরাও ধর্ম বানাতে পারতো, তাহলে হয়ত মানুষ নতুন কিছু শিখত!
Similar questions
Social Sciences,
28 days ago
English,
1 month ago
Math,
9 months ago
English,
9 months ago
Biology,
9 months ago