“চ্যাম্পিয়ানরা জন্মায়, ওদের তৈরি করা যায় না |”—বক্তা
কে? বক্তা এ কথা বলেছেন কেন?
Answers
Explanation:
বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক ও ঔপন্যাসিক মতি নন্দী রচিত 'কোনি' উপন্যাসে প্রান্তিক পরিবারের সন্তান কোনির গঙ্গায় একজন মেঠো সাঁতারু থেকে ভারত সেরা সাঁতারু হয়ে ওঠার এক রোমাঞ্চকর কাহিনী বর্ণিত আছে ।
♦ কোনি ছিল নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের কন্যা । সুতরাং তার জীবনের সাথে দারিদ্র্য ও বঞ্চনা জড়িয়ে ছিল ওতপ্রোতভাবে । বেদনায় বিধুর কোনির জীবনে দারিদ্রই হয়ে উঠেছিল তার জীবনের সঙ্গী । কবির কথায় — "হে দারিদ্র, তুমি মোরে করেছ মহান ।" কোনির দরিদ্র পরিবারে ছিল তার মা, তার দাদা কমল পাল, তার ছোট ভাই গোপাল এবং আরো দুই বোন । তার এক দাদা মারা গিয়েছে ইলেকট্রিক তারে কাটা পড়ে, অপর এক দাদা থাকে পিসির বাড়ি, কাঁচড়াপাড়ায় । দারিদ্র্যক্লিষ্ট কোনির সংসারে একমাত্র 'bread-winner' ছিল কমল পাল, সে রাজাবাজারে মোটর গ্যারেজে কাজ করে । সামান্য আয়ে সংসার চলে । কোনির শৈশবের কুয়াশার আড়ালে বাবা হারিয়ে গেছে টি.বি. রোগে । কমলও আকস্মিকভাবে একই রোগে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় । ফলে, কোনির পরিবার থেকে হারিয়ে যায় সুখের কলরোল । শ্যামপুকুর বস্তির চালার ঝুপড়ি ঘরে নেমে আসে বিষন্নতা । হতাশার বেনোজলে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে আসে সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ ।
Answer:
বক্তা:-
মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসে আমরা উদ্রিত অংশটির অবতারণা পাই | জুপিটারের প্রেসিডেন্ট বিনোদ ভরের কথার সূত্র ধরে ক্ষিতী সিংহ উক্ত উক্তিটি করেন|
বক্তব্যের সত্যতা:-
ভারতবর্ষের সাঁতারুড়া পৃথিবী বা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে বলে ক্ষিতী সিংহ জুপিটারের ক্লাবের সভায় বক্তব্য করে| হরিচরণ এ কথার পাল্টা যুক্তি দেন - ''খাটবে যে খাদ্য কই''| আলোচনা কিছুদূর এগোনোর পর প্রেসিডেন্ট বিনোদভর হরিচরণ বাবুর সঙ্গে সহমত পেষণ করে বলেন - "চ্যাম্পিয়ন সুইমার তৈরি করা এ দেশে সম্ভব নয়"। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষিতি সিংহ মন্তব্যটি করেন | ক্ষিতীশ মনে করেন প্রতিবছর সাঁতারুকে নিয়মিত কঠোর অনুসরণের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন বানানো যায় | তাই কোর্চকেই সর্বদা চোখ কান খোলা রাখতে হয়| কোন সাঁতারুর মধ্যে চ্যাম্পিয়নের এর লক্ষ্য রয়েছে তা বুঝে নেওয়ার জন্য|
কোনি উপন্যাসে বারুনির দিন গঙ্গায় ছেলে মেয়ের আম কুড়ানোর সময় ক্ষিতীশ বাবু কোনির যে সাঁতার দেখেছিলেন এবং তার ধারা আম ভাদুর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার যে একরোখা ভাব তিনি লক্ষ্য করেছিলেন তা থেকে চ্যাম্পিয়ন এর একটা ছবি তার মনে ধরা পড়েছিল | এরপর জুপিটার থেকে ইস্তফা নেওয়ার পর ক্ষিতিশ কুরি ঘন্টা অভিরাম হাটা প্রতিযোগিতায় কোনির ধৈর্যের পরিচয় পেয়ে তার মধ্যে থাকা চ্যাম্পিয়নের লক্ষ্য গুলি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় | তার প্রায় ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে তিলে তিলে কোনিকে তিনি যোগ্য সাঁতারুতে পরিণত করেন| নানারকম বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত কোনি জাতীয় প্রতিযোগিতায় সফল হয় | তাই বক্তা যে কথাটি বলেন তা কোন অংশেই ভুল নয়| তা তিনি কনিকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গড়ে তুলে প্রমাণ করেন |
Explanation:
I I wish you like this suggestion .