রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খেয়া কবিতার মূল ভাব ।
Answers
Answer:
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতার মাধ্যমে নগরজীবনের বা উন্নত সভ্যতার অন্ধকার দিক কে তুলে ধরেছেন। যদিও নগরজীবন বা আধুনিক সভ্যতা গ্রামাঞ্চলের মানুষ থেকে অনেক উন্নত কিন্তু তাদের মধ্যে মিল নেই, মায়া নেই বরং সংঘাত এবং দ্বন্দ্বে পরিপূর্ণ। আর তার বিপরীতে গ্রাম্য জীবনযাত্রা অনুন্নত হওয়া সত্বেও তাদের মধ্যে রয়েছে নিবিড় মিলন, ভালোবাসা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা।
Explanation:
Hope this helps you.
Please mark it brainliests.
খেয়া - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পাঠের মূল ভাব
খেয়া কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত চৈতালি কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। রবীন্দ্রনাথ পতিসরের নাগর নদী ভ্রমণকালে থাকা অবস্থায় এই কবিতা রচনা করেছিলেন। কবি নদীর তীরে গড়ে ওঠা সরল গ্রাম্য জীবনধারা এই কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
খেয়া রবীন্দ্রনাথের একটি উল্লেখযোগ্য কবিতা। এই কবিতায় সভ্যতার দুইটি দিক; কোলাহল মগ্ন নগর এবং শান্তি প্রবন গ্রামাঞ্চলের জীবনের চরিত্র ফুটে উঠেছে।
কবিতার প্রথমেই সহজ সরল গ্রামাঞ্চলের শান্তিপ্রিয় মানুষের জীবনের বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। নদীর দুই তীরে দুইটি গ্রাম কিন্তু এই দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক, জানাশোনা। নিত্যদিন ওরা খেয়ার মাধ্যমে এক গ্রাম হইতে অন্য গ্রামে আসা-যাওয়া করে। তাই খেয়ে নৌকা হয়ে উঠেছে দুই পাড়ের মানুষের আত্মীয়তার অনন্য বাহন।
গ্রামের মানুষ গুলি এতই সহজ যে ওরা বাইরের জগৎ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। বহির্বিশ্বে কত না যুদ্ধ-বিগ্রহ লড়াই অবিরাম হয়ে যাচ্ছে আর কত না ইতিহাস নিত্যদিনে গড়ে উঠছে। ক্ষমতার লড়াই এর ফলে হচ্ছে রক্তপাত, যুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধে কেহ বা ক্ষমতা অর্জন করছে আর কেহ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যাচ্ছে।