রাজা সভাকবি নির্বাচন করবেন—কবিদের বন্দি করলেন—জানালেন মুক্তির শর্ত একটাই—কবিতা লেখা
ছাড়তে হবে—তিনজন লুকিয়ে কবিতা লিখলেন রাজা তাদের কবিতা না লেখার শর্তে প্রচুর অর্থ দিলেন-
কবিতা লেখার দায়ে একজন ধরা পড়লেন—তিনি সম্পদ চান না, কবিতা লিখতে চান তিনিই সভাকবি
নির্বাচিত হলেন।golpo likhon
Answers
Explanation:
কবিরা খুব বিচিত্র হয়! আজীবন কমিউনিস্ট পাবলো নেরুদা শ্রীলঙ্কায় যখন কূটনীতিক হিসেবে ছিলেন, তখন তাঁর বাড়িতে কাজ করতে আসা তামিল পরিচারিকাকে খুব ভাল লেগে যায়। তাঁর বিখ্যাত আত্মজীবনী পড়লেই জানা যায় জল কত দূর গড়িয়েছিল। লোরকা ছিলেন বিপ্লবী, আমেরিকা তাঁকে খুন করে। সমকামী অ্যালেন গিনসবার্গ এবং তাঁর ‘গে’ পার্টনার পিটার অরলভস্কি দু’জনেই ভিয়েতনামের জন্য হোয়াইট হাউজের পতন চেয়েছিলেন। ব্রডস্কি সোভিয়েত ইউনিয়নের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দেশ ছেড়ে আমেরিকায় গিয়ে লিখলেন। এ সবের তুলনায় বাঙালি কবিরা বড্ড ছাপোষা। তাঁরা দেশ ছেড়ে যেতে পারেন না। বড় জোর এ ওঁর নাম কেটে দিয়ে তুরীয় সুখ অনুভব করেন। জনান্তিকে ‘আমরা-ওরা’ করেন। তিন জন বাঙালি মানেই এক জন কবি। কী ঝামেলা! তিনজন বাঙালি যুবক কোথাও আড্ডা মারছে দেখলেই মনে হবে ওঁদের একজনের পকেটে কবিতা আছে। তবে এটা আগে ছিল। এখন আর সেই দুর্নাম বাঙালির নেই। বাঙালি ছেলেমেয়েরা এখন আর চিঠি লেখে না, টেক্সট করে। কবিতা কোট করে না, আপলোড করে। সে যুগ এখন অস্তাচলে।
আমার ছেলে এখন একুশ। ইংরেজি সাহিত্যের ভাল ছাত্র। কিন্তু সে বাংলা পড়ে না। সে কোনও দিন আমার কবিতা পড়বে না।
আমার এক ছাত্রী গিটার বাজায়। রাত তিনটে পর্যন্ত অনলাইন থাকে। দিনের বেলা হাতে কিন্ডল। ই-বুকই তার লাইব্রেরি। সেও বাংলা কবিতা পড়ে না। বাংলা কবিতার ইংরেজি অনুবাদ পেলে উল্টে পাল্টে দেখে। আমার সহ-অধ্যাপকের ছেলে, তার কোনও বই পড়ার দরকার পড়ে না। ‘জেস্টর’ পড়েই তার কাজ চলে যায়।
এরাই মেজরিটি। এরাই এখনকার ছেলেমেয়ে। বাংলা কবিতা এখন মাথাভাঙা কিংবা কাকদ্বীপে পড়া হয়।
সভাকবি নির্বাচন
অনেক দিন আগের কথা,এক রাজ্যে এক রাজা থাকতেন।তাঁর সভার সমস্ত কবি এক এক করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।তার পর আর ভালো কোনো কবি তিনি পাননি।তাই রাজা ঠিক করলেন যে,তাঁর সভায় আগের মতো আবার সভাকবি রাখবেন।সভাকবি নির্বাচন করার জন্য তিনি তাঁর রাজ্যের সমস্ত কবি দের বন্দী করার আদেশ দিলেন।আদেশ মতো কবিদের বন্দী করা হয়।তারপর তিনি ঘোষণা করলেন যে," ওই সমস্ত কবি দের মুক্তি দেওয়া হবে যারা কবিতা লেখা ছেড়ে দেবে। এবং তাকে প্রচুর অর্থ দেওয়া হবে। " অর্থের লভে এবং মুক্তি লাভের আশায় কিছু কবি কবিতা লেখা ছেড়ে দিলেন। কথা মতো তাদের মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি অনেক অর্থ দেওয়া হল। কিন্তু লুকিয়ে কবিতা লেখার জন্য একটি কবি ধরা পরলেন। তিনি রাজার পায়ে পরে জানালেন, " হে মহাশয়, আমি অর্থ চাই না। আমি কবিতা না লেখে থাকতে পারবোনা। আমায় ক্ষমা করবেন। "
রাজা খুব খুশি হলেন। তিনি তাকেই তাঁর সভাকবি হিসেবে নির্বাচন করলেন।
আশা করি এটি তোমাকে সাহায্য করবে বন্ধু। অনিচ্ছা কৃত ভাবে কোনো ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা করবে।