উৎস সহ টীকা লেকো ১) মঙ্গল
Answers
Answered by
0
Answer:
- মঙ্গল হল সূর্য থেকে দূরত্বের হিসাবে চতুর্থ তথা বুধের পরেই সৌরজগতের দ্বিতীয়-ক্ষুদ্রতম গ্রহ। বাংলা সহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় এই গ্রহটি এক হিন্দু গ্রহদেবতার নামাঙ্কিত। ইংরেজি মার্স ("Mars") নামটি এসেছে রোমান পুরাণের যুদ্ধদেবতা মার্সের নামানুসারে। এই গ্রহের পৃষ্ঠতলে আয়রন অক্সাইডের আধিক্যের জন্য গ্রহটিকে লালচে রঙের দেখায়, যা খালি চোখে দৃশ্যমান মহাজাগতিক বস্তুগুলির মধ্যে এই গ্রহটিকে স্বতন্ত্রভাবে দর্শনীয় করে তোলে।[১৪] সেই জন্য এই গ্রহটি "লাল গ্রহ" নামেও পরিচিত।[১৫][১৬] মঙ্গল একটি শিলাময় গ্রহ। এই গ্রহের বায়ুমণ্ডল ঘনত্বহীন এবং পৃষ্ঠভাগের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে চাঁদের মতো অভিঘাত খাদ যেমন দেখা যায়, তেমনই পৃথিবীর মতো উপত্যকা, মরুভূমি ও মেরুস্থ হিমছত্রও চোখে পড়ে।পৃথিবী ও মঙ্গলের আবর্তন কাল ও ক্রান্তিবৃত্ততলের সাপেক্ষে ঘূর্ণাক্ষের নতি প্রায় একই রকমের হওয়ায় দুই গ্রহের দিনরাত্রির সময়কাল ও ঋতুচক্র পৃথিবীরই অনুরূপ। সৌরজগতের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি তথা দ্বিতীয়-উচ্চতম পর্বত অলিম্পাস মনস এবং বৃহত্তম গভীর গিরিখাতগুলির অন্যতম ভেলস মেরিনারিস মঙ্গল গ্রহেই অবস্থিত। উত্তর গোলার্ধ্বের মসৃণ বোরিয়ালিস অববাহিকা এই গ্রহের ৪০% স্থান অধিকার করে রয়েছে। হয়তো বৃহৎ আকারের কোনও সংঘাতের ফলে এই অববাহিকাটি সৃষ্টি হয়েছিল।[১৭][১৮] মঙ্গল গ্রহের প্রাকৃতিক উপগ্রহের সংখ্যা দুই। এগুলির নাম হল ফোবোস ও ডিমোস। এই উপগ্রহ দু-টি আকারে খুবই ছোটো ও অনিয়তাকার। সম্ভবত এই দু-টি মঙ্গল ট্রোজান ৫২৬১ ইউরেকার মতো মঙ্গলের অভিকর্ষজ টানে আটকে পড়া দু-টি গ্রহাণু।[১৯][২০]
- অতীতে মঙ্গল গ্রহ বাসযোগ্য ছিল কিনা, সেই সঙ্গে বর্তমানে এই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা তা জানার জন্য অনুসন্ধান চলছে। ভবিষ্যতে মার্স ২০২০ ও এক্সোমার্স রোভারগুলি সহ কয়েকটি জ্যোতির্জীববৈজ্ঞানিক অভিযানেরও পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে।[২১][২২][২৩][২৪] মঙ্গলের পৃষ্ঠভাগে তরল জলের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। কারণ, এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলীয় চাপ খুবই কম, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় চাপের ১% মাত্র।[২৫] সবচেয়ে কম উঁচু স্থানগুলি অল্প সময়ের জন্য তা বাড়ে মাত্র।[২৬][২৭] মেরুস্থ হিমছত্র দু-টি প্রধানত জল দ্বারাই গঠিত।[২৮][২৯] দক্ষিণ মেরুর হিমছত্রটিতে জলীয় বরফের পরিমাণ এতটাই যে, সেই বরফ গলে গেলে সমগ্র গ্রহের পৃষ্ঠভাগ ১১ মিটার (৩৬ ফু) গভীর জলের আস্তরণে ঢুবে যাবে।[৩০] ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে নাসা জানায় মঙ্গলের ইউটোপিয়া প্ল্যানিশিয়া অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে ভূগর্ভস্থ বরফের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সেই জলের যে আনুমানিক পরিমাণ শনাক্ত করা গিয়েছে, তা সুপিরিয়র হ্রদের মোট জলের পরিমাণের সমান।[৩১][৩২][৩৩]
- পৃথিবী থেকে খালি চোখেই মঙ্গল গ্রহকে দেখা যায়। এই গ্রহের লালচে রঙের জন্য এটিকে সহজেই শনাক্ত করা যায়। মঙ্গলের আপাত প্রভাঙ্ক সর্বাধিক −২.৯৪[১০] পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, যা শুধুমাত্র বৃহস্পতি, শুক্র, চাঁদ ও সূর্যের চেয়ে কম। পৃথিবী ও মঙ্গল পরস্পরের সবচেয়ে কাছে এলে পৃথিবীর বুকে স্থাপিত আলোক দূরবিনগুলি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাধা কাটিয়ে মঙ্গল গ্রহের ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মা) বা ততোধিক পরিব্যাপ্ত স্থানগুলিকে পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
Explanation:
I think it will be helpful for u
mark me as brainlist
Similar questions