Geography, asked by sani9433, 2 months ago

মৃত্তিকা সৃষ্টিতে খনিজের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো

Answers

Answered by ziggler3689
2

Answer:

পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে,কিন্তু মৃত্তিকা বা মাটি সৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৪৫০ মিলিয়ন বছর আগে। কারণ,আমরা বর্তমানে যে পৃথিবী দেখতেছি, ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী এমন ছিলো না। পৃথিবী শুরুতে ছিলো উত্তপ্ত গলিত পদার্থে পূর্ণ । যাকে বলা হয় ম্যাগমা। ম্যাগমা প্রধানত সিলিকেট খনিজ নিয়ে গঠিত।

সব খনিজ গুলো সাধারণত ম্যাগমা বা লাভা থেকেই উৎপত্তি হয়।

এই উত্তপ্ত গলিত পৃথিবীর ভারি পদার্থ গুলো নিচে কেন্দ্রের দিকে জমা হতে থাকে এবং হালকা পদার্থ গুলো উপরে উঠে আসে।

লক্ষ লক্ষ বছর ধরে পৃথিবী ক্রমান্বয়ে শীতল হতে থাকে এবং উপরের গলিত ম্যাগমা গুলো শীতল হয়ে কঠিন শিলাস্তরে পরিণত হয়। একে আগ্নেয় শিলা বলে। আমাদের বর্তমান পৃথিবীর নরম মাটি, এই কঠিনশিলা থেকেই সৃষ্ট।

এই কঠিন শিলা গুলো ,রোদ, বৃষ্টিপাত, তাপ, চাপ,বায়ু প্রবাহের কারণে এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়। এই কঠিন শিলা চূর্ণ কে প্যারেন্ট বা উৎস মাটি বলা হয়। এসব শিলা চূর্ণ থেকেই খনিজ পদার্থ সৃষ্টি হতে থাকে। এই খনিজ পদার্থ গুলোই মাটি সৃষ্টির প্রধান উপাদান। শিলা চূর্ণ থেকে খনিজ পদার্থ তৈরি হওয়ার এক পর্যায়ে উদ্ভিদ বা প্রাণীর উৎপত্তি হয়।

মাটি সৃষ্টির জন্য ৪ টা উপাদান প্রয়োজন, যথাঃ- খনিজ, জৈবপদার্থ, পানি,বায়ু।

খনিজ আসে, শীলা চূর্ণ থেকে । জৈবপদার্থ আসে, উদ্ভিদ বা প্রাণীর মৃতদেহ থেকে। পানি আসে, বৃষ্টিপাত থেকে। বায়ু আসে, বায়ুমন্ডল থেকে। এবং সময় এর ও প্রয়োজন।একটি পরিপূর্ণ মাটি সৃষ্টি হতে প্রায় ২০০ থেকে কয়েক হাজার বছর লাগতে পারে। মাটির কণা গুলো একে ওপরের থেকে অনেক ফাঁকা ফাঁকা থাকে, যার কারণে, পানি এবং বায়ু সহজেই ডুকতে পারে।মাটিকে অনেক সময় ত্রি-দশা বলা হয়, এসব উপাদান মিশ্রিত হয়ে, এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাটি সৃষ্টি হয়৷

মাটি সৃষ্টি হয়ার পর থেকেই এর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হতে থাকে। একেক জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন জৈবপদার্থ মিশে মাটির বৈশিষ্ট্য একেক রকম হয়। তাই মাটির কোনো সুনির্দিষ্ট রাসায়নিক গঠন নেই।

এই পর্যন্ত প্রায় ৪৪০০ খনিজ শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে শুধু মাত্র ১২ টি খনিজ উপাদান ভূত্বক সৃষ্টি করে। ,যথাক্রমেঃ

অক্সিজেন(৪৬.৬%), সিলিকন(২৭.৭%), অ্যালুমেনিয়াম(৮.১%),আয়রন(৫%),ক্যালসিয়াম(৩.৬%),সোডিয়াম(২.৮%),পটাসিয়াম(২.৬%), ম্যাগনেসিয়াম(২.১%) এবং অন্যান্য উপাদান(১.৫%)

Similar questions