র প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর দাও :
১. দেওয়ানির অধিকার, দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা ও ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কীভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিল ?
(১০০ থেকে ১২০ শব্দে লেখাে)।
,
Answers
১৭৬৫ সালে লর্ড ক্লাইভ বাংলার নবাব থেকে দেওয়ানি সনদ প্রাপ্ত হলে যে শাসন প্রণালীর উদ্ভব হয়, তা ইতিহাসে দ্বৈত শাসন নামে পরিচিত।
মীর জাফরের মৃত্যুর পর লর্ড ক্লাইভ ১৭৬৫ সালে মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে। এই সময় নবাব ইংরেজদের বৃত্তিভোগী কর্মচারী তে পরিণত হন। এই সময় ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয়দের উপর অমানবিক অত্যাচার চালাতো।
এইসময় বাংলায় রাজস্ব থেকে প্রাপ্ত অর্থেই পণ্য কেনার ব্যবস্থা করা হয় ।সেই ব্যবসার লাভের অর্থ ভারতের বদলে ইংল্যান্ডে জমা পড়তে থাকে।
রাজস্ব আদায়ের জন্য জমিদার সাধারণ মানুষের উপরে এত পরিমাণ অত্যাচার ও চাপ প্রয়োগ করে তাতে মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
ফলস্বরূপ এই সময় ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় ছিয়াত্তরের মন্বন্তর দেখা যায়।
এর ফলে বাংলায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যু হয় ।অনাবৃষ্টির জন্য শস্যহানিতে এই দুর্ভিক্ষের সূচনা হলেও কোম্পানির দুর্নীতির শাসন নীতি এই দুর্ভিক্ষকে সর্বগ্রাসী ,ব্যাপক, বিভীষিকাময় ও লোকক্ষয়কারী তুলেছিল।
তাই সংক্ষেপে বলা যায়: যদি বাংলায় দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা না আসতো তাহলে দেওয়ানী অধিকার ব্যবস্থা আসতো না এবং দেওয়ানী ব্যবস্থা এর ফল পক্ষান্তরে যে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। তাই বলা যায় দ্বৈত শাসন দেওয়ানী অধিকার ও ছিয়াত্তরের মন্বন্তর পরস্পরের পরিপূরক।