এশিয়ার উয়মরু ও ভূমধ্যসাগরীয়া গলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করে।
Answers
Answer:
so you are from WBBSE...it will help you a lot...
এশিয়া মহাদেশের ভূমধ্যসাগরের নিকটবর্তী অতি সামান্য অঞ্চল যেমন— তুরস্ক, লেবানন, সিরিয়া, এবং ইস্রাইলে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায় ।
ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য—
(১) শীতকালীন বৃষ্টিপাত সাধারণত ২৪ সেমি. থেকে ৭৫ সেমি হয়,
(২) বৃষ্টিহীন শুষ্ক গ্রীষ্মকাল এবং নাতিশীতোষ্ণ মৃদু জলবায়ু । গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা ২১° থেকে ২৭° সেলসিয়াস এবং শীতকালীন তাপমাত্রা ৫° থেকে ১০° সেলসিয়াস হল এই জলবায়ু অঞ্চলের প্রধান বৈশিষ্ট্য ।
বিশালাকার আয়তন, অক্ষাংশের ব্যবধান, ভূপ্রকৃতি ও পর্বতের অবস্থান, বায়ু প্রবাহ, সমুদ্র স্রোত প্রভৃতির জন্য এশিয়া মহাদেশের জলবায়ুর এত বৈচিত্র্য পৃথিবীর অন্য কোন মহাদেশে পরিলক্ষিত হয় না । এশিয়া মহাদেশের জলবায়ুর মূল বৈশিষ্ট্য গুলি হল—
(১) অক্ষাংশের বিপুল ব্যবধানের জন্য এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রার বিরাট পার্থক্য দেখা যায় । গ্রীষ্মকালে মধ্য এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ৩৫° সেলসিয়াস, দক্ষিণ এশিয়ার ২৭° সেলসিয়াস ও উত্তর এশিয়ার ২০° সেলসিয়াস থাকলেও উত্তর-পশ্চিম ভারত, আরব উপদ্বীপ প্রভৃতি এলাকায় সর্বাধিক উষ্ণতা ৫০° সেলসিয়াসে পৌঁছে যায় ।
(২) শীতকালে মধ্য ও উত্তর এশিয়ার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নীচে নেমে যায় । এশিয়ার দক্ষিণ অংশে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে ।
(৩) গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ণ এশিয়ার ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয় ।
(৪) শীতকালে শীতল ও শুষ্ক উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ার ব্যাপক অঞ্চলে খুব একটা বৃষ্টিপাত হয় না ।