২. ধীবর-
বৃত্তান্ত ' নাট্যাংশে রাজশ্যালকের ভূমিকা নির্দেশ করে।
Answers
Answer:
কলিঙ্গের আকাশে ঈশান কোণের পুঞ্জিভূত মেঘ উত্তুরে বাতাসের সংস্পর্শে এসে তীব্র আকার ধারণ করে ফেলল এবং মেঘে ঢেকে অন্ধকার করে দেয়। সেই গাঢ় অন্ধকারের মানুষ নিজের শরীরে পর্যন্ত দেখতে পায় না। এই মেঘের তীব্র গর্জনের সাথে মুষুলধারে জল বর্ষণ করতে থাকে । এসব কিছু প্রলয়ের পূর্বাভাস ভেবে কলিঙ্গ বাসী বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। দেবী চণ্ডীর মায়ার প্রবল ঝড়-বৃষ্টি কলিঙ্গ বাসির জীবন বিপন্ন করে তোলে। মেঘের গর্জনে বৃষ্টির সাথে তীব্র ঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে প্রজারা ঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করে। 7 দিন টানা বৃষ্টিতে কলিঙ্গের রাস্তাঘাট আলাদা করে চেনা যায় না। সকাল সন্ধ্যা রাত্রি আলাদা করে বোঝা যায় না। বাজ পড়া তীব্র শব্দে কেউ কারো কথা শুনতে পায় না। বিপদে পড়ে তারা জৈমিনি মুনি কে স্মরণ করে। বৃষ্টিতে গর্ত থেকে সাপ বেরিয়ে রাস্তায় বেড়ায়। ক্ষেতের ও সনজিত ফসলের পচন ধরে। শিলাবৃষ্টিতে ঘরের চাল বের করে ভাদ্রের পাকা তালের মতন বড় বড় শিলা মেঝেতে পড়ে। এইভাবে কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী কলিঙ্গদেশের ঝড় বৃষ্টির প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ছবি তুলে ধরেছেন।