চিত্রসহ নদীর সঞ্চয় কার্যের ফলে গড়ে ওঠা দুটি ভূমিরূপ এর বর্ণনা দাও।
Answers
Answer:
1. সংজ্ঞাঃ পলল শংকুর উপর দিয়ে নদী বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে প্রবাহিত হলে পলল শংকু অর্ধগোলাকৃতিতে ভাগ হয়ে যে হাতপাখা আকৃতির ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়, তাকে পলল ব্যজনী বা পলল পাখা (Alluvial Fan) বলে ।
পলল ব্যজনী বা পলল পাখা (Alluvial Fan)
পলল ব্যজনী বা পলল পাখা (Alluvial Fan)
উদাঃ হিমালয়ের পাদদেশে এরূপ অনেক পলল ব্যজনী দেখা যায় । উত্তরপ্রদেশের হরিদ্বার ও হৃষীকেশের কাছে এরকম পলল ব্যজনী দেখা যায় ।
বৈশিষ্ট্যঃ পলল ব্যজনী বা পলল পাখা – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –
ক) পলল ব্যজনী বা পলল পাখা মূলত ছোট ছোট শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা দ্বারা গঠিত হয় ।
খ) এদের ঢাল ১°-৫° হয় ।
গ) পলল ব্যজনী বা পলল পাখা আকৃতিতে কয়েক কিলোমিটার থেকে ১০০ কিলোমিটার অবধিও হতে পারে ।
ঘ) এগুলি দেখতে অনেকটা ধনুকাকৃতি বা গোলাকৃতি হয় ।
2.
সংজ্ঞাঃ পার্বত্য অঞ্চলের পরে সমভূমি প্রবাহের শুরুতে নদী উপত্যকায় বিভিন্ন আকৃতির শিলাখন্ড অবক্ষেপিত হয়ে তিনকোণা অর্থাৎ শংকুর মত আকৃতির ভুমিরূপ সৃষ্টি হলে তাকে পলল শংকু (Alluvial Cone) বলে ।
উদাঃ হিমালয়ের পাদদেশে এরূপ অসংখ্য পলল শংকু দেখা যায় । কাশ্মীর হিমালয়ের জাসকর, দ্রাগ, অ্যাস্টর, শিয়ক, শিগার প্রভৃতি নদীতে অনেক পলল শংকু দেখা যায় ।
পলল শংকু (Alluvial Cone)
পলল শংকু (Alluvial Cone)
উৎপত্তিঃ পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয়সাধন ও বহন । এইসময় নদী স্থলভাগকে ক্ষয় করে ও ক্ষয়িত অংশ পরিবহন করে । কিন্তু, উচ্চপ্রবাহ পার্বত্য অঞ্চলে সমাপ্ত হওয়ার পর নদী সমভূমিতে নেমে এসে তার মধ্যপ্রবাহ শুরু করে । এমতাবস্থায় নদী তার বোঝা হালকা করে ও বাহিত বিভিন্ন আকৃতির শিলাখন্ডগুলি সমভূমি প্রবাহের শুরুতেই অধঃক্ষেপিত করে তিনকোণা শংকু আকৃতির পলল শংকু গড়ে তোলে । সেই কারণে এটি নদীর সঞ্চয়কার্যের প্রথম ভূমিরূপ বলে ধরা হয় ।
বৈশিষ্ট্যঃ পলল শংকু – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –
ক) এগুলি মূলত বৃহৎ শিলাখন্ড দ্বারা গঠিত থাকে ।
খ) এদের ঢাল ১°-১৫° হয় ।
গ) পলল শংকুতে জল কম ও অবস্কর বেশী হয় ।
ঘ) এদের আয়তন কয়েক মিটারের মত হয় ।