মাৎস্যন্যায় : খ) বাদেয় ; খিলাফত :
Answers
ক) মাৎস্যন্যায়ঃ
মাৎস্যন্যায় বলতে দেশে অরাজকতা বা স্থায়ী রাজার অভাবকে বোঝানো হয়। পুকুরের বড়ো মাছ যেমন ছোটো মাছকে খেয়ে ফেলে, অরাজকতার সময়ে তেমনি শক্তিশালী লোক দুর্বল লোকের ওপর অত্যাচার করে।
শশাঙ্কের মৃত্যুর পরে খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের মধ্যভাগ থেকে অষ্টম শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত একশো বছর ছিল বাংলার ইতিহাসে একটা পরিবর্তনের যুগ। ঐ যুগে প্রত্যেক ক্ষত্রিয়, সম্ভ্রান্ত লোক, ব্রাহ্মণ এবং বণিক ইচ্ছেমতো নিজের এলাকা শাসন করত। বাংলায় কোনো কেন্দ্রীয় শাসক ছিল না।
বছরের পর বছর এই অবস্থা চলার পরে বাংলার প্রভাবশালী লোকেরা মিলে খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের মধ্যভাগে গোপাল নামে একজনকে রাজা নির্বাচন করে (আনুমানিক ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে)। ঐ সময় থেকে বাংলায় পাল বংশের রাজত্ব শুরু হয়।
খ) ব্রহ্মদেয়ঃ
খ্রিষ্টিয় চতুর্থ শতকের সূচনা থেকে ব্রাহ্মণ বা ধর্ম স্থানের উদ্দেশ্যে ভূমিদান প্রথার প্রচলন ঘটে। ব্রাহ্মণ্য পুরোহিত বা ধর্ম স্থানের উদ্দেশ্যে নিষ্কর ভূখন্ড বা গ্রামদান করার নীতি অগ্রহার ব্যবস্থা নামে পরিচিত।
এই অগ্রহার ব্যবস্থার রাজা কর্তৃক নিষ্কর ভূখন্ড বা গ্রাম যখন এক বা একাধিক ব্রাহ্মণকে প্রদান করা হতো, তখন তাকে বলা হত ব্রহ্মদেয় দান।
গ) খিলাফতঃ
হজরত মহম্মদের সুযোগ্য পরিচালনার পর ইসলাম জগতের নেতৃত্বকে দেবেন তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেয়। তখন হজরত মহম্মদের প্রধান চারজন সঙ্গী একে একে মুসলমানদের নেতৃত্ব দেন। এদের বলা হয় 'খলিফা'। 'খলিফা' শব্দটি আরবি। এর অর্থ প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকারী। প্রথম খলিফা ছিলেন আবুবকর।
যেসব অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের ক্ষমতা ছড়িয়ে পড়ত, সেগুলিকে বলা হত "দার-উল-ইসলাম"। খলিফা ছিলেন এই পুরো দার-উল-ইসলামের প্রধান নেতা। তাঁর অধিকারের অঞ্চলের নাম খিলাফত।