আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ। আর রসায়ন হলো বিজ্ঞানের শাখা
গ) উদ্দীপকের কথাটি কীভাবে সভ্যতার উৎকর্ষ সাধনে অবদান রাখছে।
Answers
Answer:
খ্রীস্টপূর্ব ১০০০ বছরেরও পূর্বে প্রাচীন সভ্যতার মানুষ যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করতো, তাই পরবর্তিতে রসায়নের বিভিন্ন মৌলিক শাখা গঠন করে। আকরিক থেকে ধাতু নিষ্কাশন, মৃৎশিল্প নির্মাণ, ধাতুর প্রলেপন, মদ তৈরি, প্রসাধনী ও রঙের জন্য রঞ্জক পদার্থ তৈরি, উদ্ভিদ থেকে রাসায়নিক পদার্থ আহরণ এবং তা দিয়ে সুগন্ধি ও ঔষধ তৈরি, পনির তৈরি, কাপড়ের রঙ, চামড়া সংরক্ষণ, চর্বি হতে সাবান উৎপাদন উত্যাদি নানা প্রকার পদ্ধতি প্রাচীন সভ্যতার মানুষ অবলম্বন করতো।
পদার্থের প্রকৃতি ও রূপান্তর সম্বন্ধে দার্শনিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এছাড়া আলকেমির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও ভুল প্রমাণিত হল। তবে এসংক্রান্ত পরীক্ষা এবং ফলাফল সংরক্ষণ বিজ্ঞানের ভিত্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে। রবার্ট বয়েলের অনুসন্ধান ও গবেষণার ফলে যখন আলকেমি এবং রসায়নের মধ্যে সতন্ত্র পার্থক্য সূচিত হয় তখন থেকেই আধুনিক রসায়নের উদ্ভব ঘটতে শুরু করে। রসায়ন বিজ্ঞানের একটি পূর্ণাঙ্গ শাখায় পরিণত হয় যখন অ্যান্তনি ল্যাভয়শিয়ে ভরের নিত্যতা সূত্র আবিষ্কার করলেন। এই সূত্র রাসায়নিক ঘটনাবলির সূক্ষ পরিমাপ এবং পরিমাণগত পর্যবেক্ষণ ব্যাখ্যা করে। তাই যখন আলকেমি এবং রসায়ন কেবল পদার্থের প্রকৃতি ও রূপান্তর সম্বন্ধে আলোচনা করত তখন রসায়নবিদগণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে রসায়নের মৌলিক বিষয়াবলি উদ্ভাবনের চেষ্টা করতেন। রসায়নের ইতিহাস তাপগতিবিদ্যার ইতিহাসের সাথে পরস্পরগ্রন্থিত, বিশেষ করে বিজ্ঞানী উইলিয়ার্ড গিবসের কাজের জন্যে।