Art, asked by Kameshwaran8256, 4 months ago

দেনাপাওনা গল্পের নিরুপমা চরিত্রটি আলোচনা করো

Answers

Answered by steffiaspinno
13

নিরুপমা ছিলেন রামসুন্দর মিত্রের সুন্দরী ও পরিণত কন্যা। রায়বাহাদুরের ছেলের সাথে তার বিয়ে হয়।

বাবার প্রস্তাবিত যৌতুক মেটাতে না পারায় শ্বশুরবাড়িতে তাকে নির্যাতন করা হচ্ছিল।

  • এর জন্য রামসুন্দর তার বাড়ি বিক্রি করে দেয় কিন্তু সে তার বাবাকে যৌতুক দিতে নিষেধ করে।
  • দেনপাওনা হল ১৮৯১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি বাংলা ছোটগল্প।
  • এটি নিরুপমার একটি হৃদয়বিদারক গল্প।
  • গল্পের কেন্দ্রীয় বিষয় যৌতুক।
  • পরিবার এখন নিরুপমার বিয়ের কথা ভাবছিল।
  • তার বাবা রামসুন্দর মিত্র একটি উপযুক্ত বর খুঁজতে গিয়েছিলেন কিন্তু তার নিজের পছন্দ মতো একজনকে খুঁজে পাননি।
  • শেষপর্যন্ত তিনি একজন মহীয়সী রায় বাহাদুরের একমাত্র পুত্রকে খুঁজে পেলেন।
  • mm এই রায় বাহাদুরের পৈতৃক সম্পদ যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছিল, তবুও পরিবারটি অভিজাত ছিল।
  • বরের পরিবার 10,000 টাকা যৌতুক এবং অনেক অতিরিক্ত উপহার চেয়েছিল।
  • মোহরানা, বিক্রি এবং অন্যান্য উপায়ে নিঃশেষ করার পরেও 6000-7000 টাকা ঘাটতি ছিল। এরই মধ্যে বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসছে।
Answered by maldacollege64
6

Answer:

- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত দেনাপাওনা গল্পে নিরুপমার চরিত্র আলোচনা করো।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত 'দেনাপাওনা' গল্পটি 'গল্পগুচ্ছ' থেকে সাপ্তালিত হয়েছে। আলোচ্য পক্ষে কেন্দ্রীয় চরিত্র হল নিরুপমা। এখানে নিরুপমাকে সমাজের নারী জাতির প্রতিভূ হিসেবে দেখানো হয়েছে। সনাতন হিন্দু সমাজে মা হিসেবে যৌতুক প্রচলিত ছিল। বাঙালি মুসলিম সমাজ এই যৌতুক তাহি উনিশ শতকের পরে দেখা যায়। যৌতুকের বিষফল হিন্দু মুসলিম উভয় সমাজকে করেছে যুগপৎ অনগ্রসর ও পশ্চাৎমুখী। আজও উনবিংশ ও বিশ শতক পরনারী স্বাধীনতা আসে নি। থেমে যায় নি আজও যৌতুক প্রথা। আজও প্রাচীন সমাজপতিদের সেই জঘন্য প্রেতাত্মার হাত থেকে যেন আমাদের নারীরা মুক্তি পাননি। আর এরই এক ইতিকথা বর্ণনা করেছেন আলোচ্য গল্পে।ঘরের শুরুতে দেখা যায় পাঁচ ছেলের পর যখন এক কন্যা সন্তানের জন্মিল তখন বাপে মায়ে অনেক আদর করিয়া তাহার নাম রাখিলেন নিরুপমা ।

এই অবস্থা বা স্নেহের কন্যা নিরুপমা বাঙালির ঘরের পাত্রী। পিতা মাতার নয়নমণি। এই নয়নমণিকে অন্যের হাতে সম্প্রদান করতে হয়। আর তাই তো রাম কন্যা বিবাহযোগ্যা হলে ছেলের সম্মান করিয়া বাহির করিয়া কিন্তু সমে চালু ছিল। স্পির হল- বরইতে দশহাজার টাকা প চাহিয়া বসিল। এতে আবেগপ্রবণ পিতা যেন প্রত্যেক বাঙালি সানের পিতা- দাড়িয়েছে। সে এককথায় রাজি হয়েছে। কিন্তু বিয়ের দিন উপস্থিত হলে টাকা জোগাড় করতে না পারায় এক অঘটন ঘটে গেল। র টাকা হাতে না পাইলে বর সভাসদ করা যাইবে না।" তার মানে একজন কোনো দাম নেই নাম আছে শুধু অর্থের। আর অন্যদিকে- "এই যে মূল কারণ সে চেগি পরিয়া, গহনা পরিয়া, কপালে চন্দন লেপিয়া চুপ ক বসিয়া আছে

যদিও পারের ইচ্ছাতে একরকম সবার অমতে নিরুপমার বিবাহ হয়ে যে অর্থাৎ নারীরা যেন কাঠের পুতুল। পুরুষরা যেভাবে নাচাবে ঠিক তেমনি নাই। নাচবে। কিন্তু শাস্তি পেল না নিৰূপনা। শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে শুরু হল মান নির্যাতন। অন্যদিকে রামসুন্দর চেষ্টা করেও কোনো উপায় বের করতে না যে 6 "কেমন করিয়া কাটা শোধ করিয়া দিতে হইবে।”

দিন দিন নিরুপমা যেন কেমন হয়ে যেতে লাগল। ও নিরুপমা ছেড়ে দিল। তাতে কোনো প্রতিবেশির দয়া হলে শাশুড়ি বলতো বা যদি পুরা নাম দিত তো মেয়ে পুরা যত্ন পাইত।" এ নিরুপমার অসহনীয়তার দৃশ্য আর অন্যদিকে পিতা রামসুন্দর বসত সিক্সি কা ফেলে। কারণ সে পিতা। প্রত্যেক পিতা চাষ তার মেয়ে খুশিতে থাকুক, শাখি থাকুক। তারপর সে যখন গোপনে পণের টাকা দিতে গেল, তখনই পরিবাে সমস্ত সদস্যরা জেনে দিয়ে রামসুন্দরের ঘরস্থ হয়।

অবশেষে নিরুপমা সমগ্র নারী সমাজের প্রতিভূ হয়ে বলেছে "নিং কি আদি নাও তবেই অপমান। তোমার মেয়ের কোনো মর্যাদা নেই। যদিও গে রুপমার মৃত্যু ভয়েছে কিন্তু তবুও সমাজের নারীদের অবস্থানকে মে প্রোজেন ঠিক তেমনি নারী হয়ে সে এ ও বলে প্রতিবাদ করেছে

পরিশেষে বলা যায় যে, এই ভাবে 'দেনাপাওনা' গল্পে নিরুপমা চরিত্রটি বাজ

Similar questions