। ১। নীচের প্রশ্নগুলি উত্তর লেখ ?
(ক) সন্ধি কাকে বলে?
(খ) সন্ধি কয়প্রকার ও কী কী?
(গ) স্বরসন্ধি কাকে বলে? দুইটি উদাহরণ দাও।
(ঘ) ব্যঞ্জনসন্ধি কাকে বলে? দুইটি উদাহরণ দাও।
(ঙ) নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি কাকে বলে? দুইটি উদাহরণ দাও।
Answers
Answer:
Explanation:
সন্ধি বাংলা ব্যাকরণে শব্দগঠনের একটি মাধ্যম। এর অর্থ মিলন। অর্থাত্ দুটি শব্দ মিলিয়ে একটি শব্দে পরিণত হওয়াকে বা পরস্পর সন্নিহিত দুই বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে। সন্ধি ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ব অংশে আলোচিত হয়। ধ্বনিগত মাধুর্য এবং স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজপ্রবণতা সন্ধির উদ্দেশ্য। যেকোনো পদের সঙ্গে সন্ধি হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হতে পারে। তবে বাংলা অব্যয় পদের সঙ্গে সন্ধি হয় না।
সন্ধির দ্বারা দুটি শব্দকে মিলিয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরির করা হয়। যেমন- 'দেব'- শব্দ এর অর্থ দেবতা, আর 'আলয়' শব্দের অর্থ গৃহ। এই দুটি শব্দ মিলে তৈরী হয় 'দেবালয়'। যার অর্থ 'দেবতা' বা 'গৃহ' নয়,দেবতার একটি অন্যতম থাকার জায়গা বা গৃহ 'মন্দির'।
সন্ধি শব্দটির বিশ্লেষিত রূপ সম+√ধি+ই।১[১] অর্থাত্ সমদিকে ধাবিত হওয়া বা মিলিত হওয়া।বাংলা ব্যাকরণমতে দুটি শব্দের মধ্যে প্রথম শব্দের শেষ ধ্বনি এবং দ্বিতীয় শব্দের প্রথম ধ্বনি যদি একইভাবে উচ্চারিত হয় বা তাদের উচ্চারণ প্রায় কাছাকাছি হয় তবে ধ্বনিদ্বয় পরস্পর সংযুক্ত হওয়া অর্থাত্ শব্দ দুটি মিলিত হয়ে এক শব্দে পরিণত হওয়াকে সন্ধি বলে।[২] এক কথায়,সন্নিহিত দুটি বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে যেমনঃবিদ্যা+আলয়=বিদ্যালয় এখানে বিদ্যা ও আলয় শব্দদ্বয় মিলিত হয়ে বিদ্যালয় শব্দটি গঠন করেছে।২
স্বরে আর ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে ও ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে ও স্বরে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে। ব্যঞ্জনসন্ধি মূলত কথ্য রীতিতে সীমাবদ্ধ। প্রকৃত বাংলা ব্যঞ্জন সন্ধি মূলত সমীভবন এর নিয়মে হয়ে থাকে। ব্যঞ্জন সন্ধিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।