"ঘরে বসে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন"
অনুচ্ছেদ রচনা লেখ।
Answers
Answer:রবীন্দ্রজয়ন্তী বা পঁচিশে বৈশাখ বাঙালি জাতির একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসব। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর বৈশাখ মাসের ২৫ তারিখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্য এবং বাংলাদেশে ও বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলে বিপুল উদ্দীপনার সঙ্গে এই উৎসব পালন করা হয়। বহির্বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের বসবাসকারী বাঙালিরাও এই উৎসব পালন করেন। পশ্চিমবঙ্গে এই দিনটি রাষ্ট্রীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়।
রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসব উদযাপনের অঙ্গ হল রবীন্দ্রসংগীতানুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, রবীন্দ্রনাট্যাভিনয়, রবীন্দ্ররচনাপাঠ, আলোচনাসভার আয়োজন ও নানাবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রস্মৃতিবিজড়িত ভবনগুলিতে এই সময় বিশেষ জনসমাগম দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গে রবীন্দ্রজয়ন্তীর প্রধান অনুষ্ঠানগুলি আয়োজিত হয় কলকাতায় অবস্থিত কবির জন্মস্থান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ও রবীন্দ্রসদন এবং শান্তিনিকেতনে।
বাংলাদেশে দেশের সর্বত্র ছোট-বড় নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপিত হয়। এছাড়া শিলাইদহ কুঠিবাড়ি ঘিরেও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রেডিও এবং টেলিভিশনে সারাদিনব্যাপী প্রচার করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠান। সকল পত্র-পত্রিকা এ উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে আয়োজন করা হয় রবীন্দ্রমেলার। অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে থাকে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতা, নানা প্রদর্শনীর আয়োজন, বই মেলা, সঙ্গীত ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ইত্যাদি।
রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায়ও রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করা হতো। ঘটা করে, সাড়ম্বরে এ দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বাঙালির ভাষা ও সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, মন-মানসিকতা বিকাশে রবীন্দ্রনাথের মহীরূহপ্রততীম অবদানের প্রতি ঋণ স্বীকার করে।
Explanation: