History, asked by shreyashibarik92, 9 days ago

৪. নিজের ভাষায় লেখাে (১০০ - ১২০ টি শব্দের মধ্যে) :
বখতিয়ার খলজির বাংলা আক্রমণের পর বাংলাতে কি কি পরিবর্তন ঘটেছিল?​

Answers

Answered by debasishmi2018
14

Answer:

বখতিয়ার খলজি যার সম্পূর্ণ নাম হল ইখতিয়ার উদ্দিন মহম্মদ বখতিয়ার খলজি। ১২০৮ সালে মাত্র ১৭ জন অশ্ব আরোহী সেনা নিয়ে নদীয়ার রাজা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করেন। নদীয়া জয়লাভের পর তিনি সেখানে মুসলিম শাসন সাম্রাজ্য স্থাপন করেন।

বখতিয়ার খলজি তিনদিন যাবৎ নদীয়া লুটপাট করেন। লক্ষণ সেনের বিপুল ধন-সম্পদ দখল করেন। এমনটি ভৃত্যবর্গ ও হস্তী তার হস্তগত হয়। প্রায় বিনা যুদ্ধেই বখতিয়ার খলজি বাংলার একাংশ অর্থাৎ নদীয়া দখল করেন। এরপর বখতিয়ার খলজি নদীয়া ছেড়ে লখনৌতি দখল করেন। সমকালীন ঐতিহাসিকরা নিজের রাজধানী স্থাপন করেন। সমকালীন ঐতিহাসিকরা এই রাজ্যের নাম লখনৌতি উল্লেখ করেন।

নব প্রতিষ্ঠিত রাজ্যে তিনি সুশাসনে ব্যবস্থা করেন। তার সাথে অত্তিয়াপের সময় ও পরবর্তী কালে যে সমস্ত তুর্কী মুসলমানরা বসবাসের জন্য সেখানে আসেন তাদের জন্য মসজিদ, মাদ্রাজা ও খানকাহ নির্মান করেন। তিনি জানতেন শুধুমাত্র সামরিক শক্তির উপর একটি রাজ্যে প্রতিরক্ষা নির্ভর করেন। পরিপূর্ণ শান্তির জন্য চাই অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা। আর তাই তার প্রতিষ্টিত মুসলিম রাজ্যের স্থায়ীত্বে সুষ্ট মুসলিম সমাজ গঠন করার প্রয়াস করেন। সেই জন্য তিনি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে সেনাপতিদের তার রাজ্য শাসন ভার দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মর্দান খলজি বরসৌলে হুসাম উদ্দিন ইতজ খলজি গঙ্গাতবীর। বখতিয়ার খলজি বৌদ্ধ ও হিন্দুদের কাছে শুধু মাত্র একজন খুনী লুটেরা ছিল কিন্তু মুসলমানদের কাছে তিনি ছিলেন একজন বীর যোদ্ধা। তবে একথা সত্য যে ইতিহাসের একটি অংশের শেষ তার হাত ধরে শুরু হয়েছিল আবার অন্য একটি অংশের সূচনা ও হাত ধরে হয়েছিল। তার আমলে ব্যাপক পরিমান মানুষ মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল। বাংলাদেশের খ্যাতনামা কবি আল মাহমুত তার 'বখতিয়ারের ঘোড়া' কাব্যগ্রন্থে বখতিয়ারের প্রসংশা করেছেন। একজন বীর চরিত্র হিসাবে। ১২০৬ সালে মানসিক ও শারীরিক ভাবে বিপর্যত হয়ে তিনি মারাযান।

Similar questions