ভারতের জনসমস্যা রচনা লেখা
Answers
Explanation:
ভারতের জনপরিসংখ্যান অত্যন্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ। ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল রাষ্ট্র। ২০১১ সালের জনগণনা তথ্য অনুযায়ী, ভারতের জনসংখ্যা ১২১ কোটিরও বেশি; যা সমগ্র বিশ্বের জনসংখ্যার এক-ষষ্ঠাংশ। বিশ্বের সামগ্রিক জনসংখ্যার ১৭.৫% ভারতের অধিবাসী। মনে করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে চীনকে ছাপিয়ে ভারত বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল রাষ্ট্র হয়ে উঠবে এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১৬০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।[১][২] যদিও ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৪১%, যা বিশ্বে ৯৩তম।জনসংখ্যা:
১,২১০,১৯৩,৪২২ (২০১১ প্রাককলন) (২য়)
বৃদ্ধিহার:
১.৪১% (২০০৯ প্রাককলন) (৯৩তম)
জন্মহার:
২২.২২ জন্ম/১,০০০ জনে (২০০৯ প্রাককলন)
মৃত্যুহার:
৬০.৪ মৃত্যু/১,০০০ জনে (২০০৯ প্রাককলন)
গড় আয়ু:
৬৯.৮৯ বছর (২০০৯ প্রাককলন)
–পুরুষ:
৬৭.৪৬ বছর (২০০৯ প্রাককলন)
–মহিলা:
৭২.৬১ বছর (২০০৯ প্রাককলন)
গর্ভহার:
২.৬৮ শিশুজন্ম/নারী (২০১০ প্রাককলন) (৮২তম)
শিশুমৃত্যু হার:
৩০০.১৫ মৃত্যু/১,০০০ জন্মে (২০০৯ প্রাককলন)
বয়স গঠন:
০-১৪ বছর:
৩১.১% (পুরুষ ১৯০,০৭৫,৪২৬/মহিলা১৫-৬৪ বছর:
৬৩.৬% (পুরুষ ৩৮১,৪৪৬,০৭৯/মহিলা ৩৫৯,৮০২,২০৯) (২০০৯ প্রাককলন)
৬৫-তদুর্ধ্ব:
5.3% (পুরুষ ২৯,৩৬৪,৯২০/মহিলা ৩২,৫৯১,০৩০) (২০০৯ প্রাককলন)
লিঙ্গানুপাত:
জন্মকালে:
১.১২ পুরুষ/মহিলা (২০০৯ প্রাককলন)
অনুর্ধ্ব ১৫:
১.১০ পুরুষ/মহিলা (২০০৯ প্রাককলন)
১৫-৬৪ বছর:
১.০৬ পুরুষ/মহিলা (২০০৯ প্রাককলন)
৬৫-তদুর্ধ্ব:
০.৯০ পুরুষ/মহিলা (২০০৯ প্রাককলন)
জাতীয়তা:
প্রধান জাতিগোষ্ঠী:
ভারতের জনগোষ্ঠী দেখুন
ভাষা:
সরকারি:
ভারতের ভাষাসমূহ দেখুন
ভারতের জনসংখ্যার ৫০%-এর বয়স ২৫-এর নিচে এবং ৬৫%-এর বয়স ৩৫-এর নিচে। মনে করা হচ্ছে, ২০২০ সালের মধ্যে ভারতীয়দের গড় বয়স দাঁড়াবে ২৯ বছর (উল্লেখ্য, চীনাদের গড় বয়স হবে ৩৭ ও জাপানিদের ৪৮)। ২০৩০ সাল নাগাদ ভারতের পোষ্য অনুপাত হবে ০.৪-এর সামান্য কিছু বেশি।[৩]
ভারতে দুই হাজারেরও বেশি জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। বিশ্বের প্রতিটি প্রধান ধর্মাবলম্বী মানুষ ভারতে বাস করেন। মোট চারটি ভাষা পরিবার (ইন্দো-আর্য, দ্রাবিড়, অস্ট্রো-এশিয়াটিক ও টিবেটো-বার্মান ভাষাসমূহ এবং একটি বিচ্ছিন্ন ভাষা (মহারাষ্ট্র রাজ্যের নিহালি ভাষা[৪]) ভারতে প্রচলিত।
এছাড়া আয় ও শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠিতে জনসংখ্যায় যে সামাজিক বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়েছে, তা-ও যথেষ্ট জটিল। কেবলমাত্র আফ্রিকা মহাদেশই ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের থেকে ভাষাগত, জাতিগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের বিচারে এগিয়ে রয়েছে।[৫]
বিশ্বের ২.৪% ভূভাগ অধিকার করে রয়েছে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৭.৫% ভারতবাসী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিলে সারা বিশ্বে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ ভারতেই সর্বাধিক।[৬] অন্যদিকে কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিলে ভারতের জলভাগই বিশ্বে রাষ্ট্রগত হিসেবে সর্বাধিক। ভারতের জনসংখ্যার একটি বৃহৎ অংশ গ্রামবাসী। ছোটো ছোটো গ্রামে কৃষিকাজ ও কৃষিসংক্রান্ত কাজেই অধিকাংশ ভারতবাসীর আয়ের সংস্থান হয়। ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, দেশের ৭২.২% মানুষ[৭] ৬৩৮,০০০টি গ্রামে[৮] এবং অবশিষ্ট ২৭.৮% মানুষ[৭] ৫,১০০টিরও বেশি শহর ও ৩৮০টি শহরপুঞ্জ অঞ্চলে বাস করেন।ভারতের ধর্মীয় চরিত্র এক এক রাজ্যে এক এক রকমের। জম্মু ও কাশ্মীর ও লাক্ষাদ্বীপ মুসলিম-প্রধান; নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ও মেঘালয় খ্রিষ্টান-প্রধান; পাঞ্জাব শিখ-প্রধান। তবে উল্লেখ্য বিষয় হল, জনগণনার সময় নিজের ধর্ম উল্লেখ না করার অধিকার ভারতীয়দের রয়েছে।
নিম্নলিখিত সারণিটিতে ২০০১ সালের জনগণনা তথ্য অনুযায়ী ভারতের ধর্মবিশ্বাসগুলির অবস্থা দেখানো হল:
প্রতিটি সংখ্যা % হিসেবে।
অন্যান্য-দের মধ্যে রয়েছে বাহাই, ইহুদি ও পারসি।
আদিবাসী সর্বপ্রাণবাদী (ও ধর্ম-হীনেরা) ১৯২৬ সালের পর (অর্থাৎ, ১৯৩১ সালের জনগণনা থেকে) অন্যান্য শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে আসছেন।