১৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে : ১৬.১ বালক রবীন্দ্রনাথের প্রধান ছুটির দেশ কী ছিল? ১৬.২ তাঁর বাড়ির নীচতলায় বারান্দায় বসে রেলিঙের ফাঁক দিয়ে কী কী দেখা যেত? ১৬.৩ পাঠ্যাংশে ‘ওয়েসিস’এর প্রসঙ্গ কীভাবে রয়েছে? ১৬.৪ পাঠ্যাংশে রবীন্দ্রনাথের পিতার সম্পর্কে কী জানতে পারাে? ১৬.৫ পিতার কলঘরের প্রতি ছােট্ট রবির আকর্ষণের কথা কী ভাবে জানা গেল? ১৬.৬ ছুটি শেষের দিকে এসে পৌঁছলে রবির মনের ভাব কেমন হতাে? ১৬.৭ পাঠ্যাংশে কাকে, কেন বাংলাদেশের ‘শিশু লিভিংস্টন’বলা হয়েছে? ১৬.৮ তুমি যখন আরও ছােটো ছিলে তখন তােমার দিন কীভাবে কাটত, তােমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন ছিল তা লেখাে। ///
Answers
Answer:
উত্তর : বালক রবীন্দ্রনাথের প্রধান ছুটির দেশ ছিল তাঁর বাড়ির খোলা ছাদ । ১৬.২ তাঁর বাড়ির নীচতলায় বারান্দায় বসে রেলিঙের ফাঁক দিয়ে কী কী দেখা যেত ? উত্তর : তাঁর বাড়ির নীচতলায় বারান্দায় বসে রেলিঙের ফাঁক দিয়ে রাস্তার লোক-চলাচল দেখা যেত ।
Answer:
Explanation:
বাংলা ভাষার একমাত্র নোবেল জয়ী সাহিত্যিক বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার সুবিশাল সাহিত্য সম্ভার থেকে কিছু না কিছু নিশ্চয়ই পড়েছো তোমরা। এই কিংবদন্তীর মানুষটি ছেলেবেলায় কিন্তু তোমাদের মতোই ছিলেন। তাঁর লেখা বই ‘ছেলেবেলা’ থেকে অনেকটাই ধারণা পাওয়া যায়। সেই বইয়ের আকর্ষণীয় কিছু অংশ নিয়ে তৈরি হয়েছে এই রচনাটি।
রবির শহর কলকাতা
এই মানুষটির জন্ম কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। জন্মস্থান সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি জন্ম নিয়েছিলুম সেকেলে কলকাতায়। শহরে শ্যাকরাগাড়ি ছুটছে তখন ছড়্ছড়্ করে ধুলো উড়িয়ে, দড়ির চাবুক পড়ছে হাঁড়-বের করা ঘোড়ার পিঠে। না ছিল ট্রাম , না ছিল বাস , না ছিল মোটরগাড়ি । তখন কাজের এত বেশি হাঁসফাঁসানি ছিল না , রয়ে বসে দিন চলত। বাবুরা আপিসে যেতেন কষে তামাক টেনে নিয়ে পান চিবতে চিবতে , কেউ বা পালকি চড়ে কেউ বা ভাগের গাড়িতে।’
রবির লেখা বর্ণনা পড়তে পড়তে এতক্ষণে নিশ্চয় সেই সময়ের কলকাতা একটা ছবি মনে মনে এঁকে ফেলেছো। এবারে বলছি তাঁর পরিবারের কথা। দার্শনিক এই মহাপুরুষের জন্ম ১৮৬১ সালে। তাঁর পিতা ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মা সারদাসুন্দরী দেবী। তিনি তাঁর বাবা-মায়ের ১৪তম সন্তান। বাবার ছিলো ভ্রমণের নেশা। আর কবির মায়ের মৃত্যু হয় ১৯০৫ সালে কবির বয়স যখন মাত্র ১৪ বছর। তাই বলা যায় তিনি বড় হয়েছিলেন ভাই-ভাবি আর বাড়ির ভৃত্যদের কাছে।