স্বামী বিবেকানন্দ কিভাবে গীতার কর্মাজোগের তত্ত্বটি ব্যাখ্যা করেছেন তা আলোচনা করো?
Answers
Answer:
স্বামী বিবেকানন্দ মানুষকে শুধু ইতিবাচক শিক্ষা দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। কারণ তিনি মনে করতেন, নেতিবাচক চিন্তাগুলি মানুষকে দুর্বল করে দেয়। তিনি বলেছিলেন, যদি ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের সবসময় দোষারোপ না করে উৎসাহিত করা হয়, তবে তারা এক সময় উন্নতি করবেই।[৬]
নিউ ইয়র্কে বিবেকানন্দ দেখেছিলেন, আইরিশ উপনিবেশ-স্থাপকরা খুবই খারাপ অবস্থায় খুব সামান্য জিনিসপত্র নিয়ে ভয়ে ভয়ে সেখানে এসেছিল, কিন্তু মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই তাদের পোষাকপরিচ্ছদ আচারব্যাবহার সব পালটে যায়। তখন তাদের মধ্যে সেই ভয়ভীতির ভাব সম্পূর্ণ তিরোহিত হয়েছিল। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে বিবেকানন্দ দেখেন যে, যদি বেদান্তের দৃষ্টিকোণ থেকে এটাকে ব্যাখ্যা করতে হয়, তাহলে বলতে হবে সেই আইরিশেরা স্বজাতীয়দের দেয়ারা পরিবেষ্টিত ছিল এবং সবাই তাকে বলছিল, "প্যাট, তোমার কোনো আশা নেই, তুমি ক্রীতদাস হয়ে জন্মেছো এবং তাই থাকবে।" এই কারণে তার মনে হীনম্মন্যতা এসেছিল। কিন্তু আমেরিকায় আসার পর থেকে সবাই তাকে বলতে শুরু করল, "প্যাট, তুমিও মানুষ আমাদের মতো। মানুষই সব করে। তোমার আমার মতো মানুষেরাই করে। তাই সাহসী হও!" সেই জন্যই সে মাথা তুলে আত্মমর্যাদায় ভর করে চলছে।[৭] তাই বিবেকানন্দ বলেছেন, ম্যাকোলে শিক্ষাব্যবস্থা ও ভারতীয় বর্নব্যবস্থা ছেলেমেয়েদের নেতিবাচক শিক্ষা দেয়। এই শিক্ষা থেকে তারা আত্মনির্ভরতা ও আত্মমর্যাদার শিক্ষা পায় না। বিবেকানন্দের মতে, একমাত্র ইতিবাচক শিক্ষাই তাদের দেওয়া উচিত।
if this answer helps you then please mark me as brainiest