৬ ‘বিচিত্র সাধ’ কবিতায় শিশুটির মনে কীভাবে বিচিত্র সাধ জেগে ওঠে?
Answers
Answer:আমি যখন পাঠশালাতে যায় আমাদের এই বাড়ির গলি দিয়ে,
দশটা বেলায় রোজ দেখতে পাই ফেরিওয়ালা যাচ্ছে ফেরি নিয়ে চুরি চাই চুরি চাই সে হাকে ।চীনের পুতুল ঝুড়িতে তার থাকে যায় সে চলে যে পথে তার খুশি যখন খুশি খাইসে বাড়ি গিয়ে ।দশটা বাজে সাড়ে দশটা বাজে নাইকো তাড়া হয় বা পাছে দেরি । ইচ্ছে করে সিলেট ফেলে দিয়ে অমনি করে বেড়ায় নিয়ে ফেরি ।।আমি যখন হাতে মেখে কালি ঘরে ফিরি সাড়ে চারটে বাজে ,কোদাল দিয়ে মাটি কপাই মালি বাবুদের ঐ ফুল বাগানের মাঝে ।কেউতো তারে মানা নাহি করে কোদাল পাচ্ছে পড়ে পায়ের পরে
Explanation:
Step:1মা তারে তো পড়ায় না সাফ জামা , ধুয়ে দিতে চাই না ধুলোবালি ।
ইচ্ছে করে, আমি হতেম যদি বাবুদের ওই ফুল বাগানের মালি ।।
একটু বেশি রাত না হতে হতে মা আমারে ঘুম পাড়াতে চাই
জানলা দিয়ে দেখি চেয়ে পথে পাগরি পর পাহারাওয়ালা যায় ।
আধার গলি লোক বেশি না চলে , গ্যাসের আলো মিটিমিটি জ্বলে , লন্ডনের ঝুলিয়ে নিয়ে হাতে দাঁড়িয়ে থাকে বাড়ির দরজায় ।
রাত হয়ে যায় দশটা এগারোটা কেউ তো কিছু বলে না তার লাগি ।
ইচ্ছে করে পাহারাওয়ালা হয়ে গলির ধারে আপন মনে জাগী
Step:2জীবনের একটি বিশেষ বয়সে এসে কবি রবীন্দ্রনাথ তাঁর শৈশবের কথা মনে করে কবিতাটি রচনা করেছেন। তিনি রোজ বেলা দশটায় পাঠশালা যাওয়ার সময় তাঁদের গলি দিয়ে ফেরিওলাকে ‘চুড়ি চা–ই, চুড়ি চাই’ হাঁক দিতে দেখেছেন। মাথায় তার ঝুড়িতে আছে চিনের পুতুল। কবি ভেবেছেন, খুশিমতো ফেরিওয়ালা যেখানে-সেখানে যায়। বাড়িতে গিয়ে যখন খুশি খায়। বেলা বাড়লেও তার কোনো তাড়া নেই। তাই কবির ইচ্ছা তিনি সেলেট ফেলে দিয়ে ওইভাবে ফেরি করে বেড়ান।হাতে কালি মেখে স্কুল থেকে ফেরার সময় বাবুদের ফুলবাগানের মাঝে কোদাল হাতে মালিকে মাটি কোপাতে দেখেছেন। পাছে তার পায়ে কোদাল পড়ে যেতে পারে এই ভয়ে তাকে কেউ বারণ করে না। তার মাথায় কত ধুলো লাগছে তবু তাকে কেউ বকে না। তার মা তার ধুলোবালি ধুইয়ে দিয়ে তাকে পরিষ্কার জামা পরায় না। কবির ইচ্ছা হয় ওই ফুলবাগানের মালিই হবেন। সামান্য একটু রাতে কবিকে মা ঘুম পাড়াতে চান। সেই সময় জানলা দিয়ে কবি পাগড়িপরা পাহারাওয়ালাকে দেখলেন। আঁধার গলিতে গ্যাসের মিটমিটে আলোয় বেশি লোক চলছে না। লণ্ঠন হাতে লোকটা দশটা-এগারোটা পর্যন্ত বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ তাকে কিছু বলে না। কবির ইচ্ছা তিনিও পাহারাওলা হয়ে গলির ধারে আপন মনে জেগে থাকেন।
Step:3উঃ বক্তা অর্থাৎ এই কবিতার কবি রবীন্দ্রনাথ যখন শিশু ছিলেন তখনকার কলকাতার রাত ছিল অনেক বেশি অন্ধকারময়। তখন অলিতে-গলিতে এত উজ্জ্বল বিদ্যুতের আলো ছিল না। তখনকার দিনে গলি ছিল অন্ধকার, লোক চলাচল ছিল না বললেই চলে। গ্যাসের আলো জ্বলত মিটমিট করে। পাগড়িপরা পাহারাওলা হাতে লণ্ঠন নিয়ে বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকত।উঃ কবিতার কথক প্রথমত ফেরিওলা হতে চেয়ে পথে পথে যেখানে খুশি যখন খুশি ঘুরে বেড়াতে চেয়েছেন। দ্বিতীয়ত তিনি বাগানের মালির মতো কোদাল নিয়ে ফুলবাগানের মাটি কোপাতে চান এবং গায়ে মাথায় ধুলোবালি মাখো অবস্থায় সারাক্ষণ থাকতে চান। তৃতীয়ত তিনি পাহারাওলা সেজে লণ্ঠন হাতে সারারাত গলির ধারে আপনমনে জেগে থাকতে চেয়েছেন।
To learn more about similar questions visit:
https://brainly.in/question/21796908?referrer=searchResults
https://brainly.in/question/46378068?referrer=searchResults
#SPJ1