World Languages, asked by saswatikapat409, 9 hours ago

। পাহাড় দেখার আনন্দের কথা জানিয়ে বন্ধুকে একটি পত্র লেখাে।

বাংলা তে উত্তর।​

Answers

Answered by shahkhushi343
4

Answer:

বর্তমান যুগে ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থার প্রসার ঘটার ফলে যোগাযোগ রক্ষার প্রয়োজনে চিঠি লেখার প্রবণতা বিশেষভাবে কমে এসেছে। তবুও এখনো বিভিন্ন পরীক্ষা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত চিঠি গুরুত্ব অবিচ্ছেদ্যভাবে বিদ্যমান। সে কারণে আজ আমরা নিয়ে এসেছি এমনই দুটি ব্যক্তিগত চিঠি লিখন যার মাধ্যমে একজন বন্ধু অপর এক বন্ধুর সঙ্গে নিজের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছে।

Explanation:

Please make me as Brainliest

Answered by purbabhaduri921
15

Answer:

১৯শে ডিসেম্বর, ২০২১

দিনাজপুর

প্রিয় সৈকত,

অনেকদিন তোমার চিঠিপত্র পাইনা। তুমি কেমন আছো? আশা করি ভালো আছো। শেষবার যখন আমাদের দেখা হয়েছিল, তুমি বলেছিলে কখনো পাহাড় বেড়াতে গেলে তোমাকে যেন আমি ভ্রমণের সেই অভিজ্ঞতা অবশ্যই জানাই। অতিসম্প্রতি পরিবারের সাথে এমনই একটি ভ্রমণে যাওয়ার সুযোগ আমার ঘটেছিল। এইবার গিয়েছিলাম উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং শহরে। এটাই আমার প্রথম পাহাড় ভ্রমণ।

তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না সৈকত, কি অপূর্ব সুন্দর এই দার্জিলিং শহর। পাহাড়ের ওপর ধাপ কেটে কেটে তৈরি হয়েছে ছোট ছোট বাড়ি। ওঠার সময় পাহাড়ের খাদের গা ঘেঁষে কত ছোট ছোট কাঠের তৈরি দোকান, তুমি দেখলে অবাক হয়ে যাবে। আর আমার কাছে সব থেকে বেশি যেটা আকর্ষণীয় লাগলো, তা হল এখানকার পাহাড়ি লোকেদের চা বাগান আর স্থানীয় জীবনযাত্রা। কি অদ্ভুত পরিশ্রমী ও কর্মঠ এখানকার মানুষ, বিশেষ করে পাহাড়ি মহিলারা।

ছোট ছোট বাচ্চা কোলে নিয়ে চা বাগানে এরা কি ভীষণ পরিশ্রম করে, আর কাজের শেষে পিঠে চায়ের পাতা বোঝাই করে পাহাড়ি পথ বেয়ে উঠে যায়। কি অদ্ভুত কষ্টকর কিন্তু সরল এখানকার মানুষের রোজকার জীবনচর্যা। আর ভ্রমণের তৃতীয় দিনে আমরা গিয়েছিলাম টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখতে। কি যে অপরূপ সুন্দর সেই সূর্যোদয়, আর তার বিপরীতে বরফাবৃত সোনালী কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য, তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।

হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যে বেড়ানোর সময় প্রতিমুহূর্তে তোমার কথা মনে আসছিল। আমি ঠিক করেছি তোমার আপত্তি না থাকলে একবার সময় করে আমরা দুই বন্ধু এই শহরে বেড়াতে আসবো। এই সম্পর্কে তোমার কি অভিমত, তা জানিও। আমার ভালোবাসা নিও। কাকু কাকিমাকে আমার প্রণাম জানিও।

শুভেচ্ছান্তে, ইতি,

তোমার প্রিয় বন্ধু চন্দ্রিল

প্রাপকের ঠিকানা:

সৈকত সামন্ত,

প্রযত্নে: অধীর সামন্ত

বাঁশবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত

পূর্ব মেদিনীপুর

Similar questions