৩.১ ‘আমরা চাষ করি আনন্দে কবিতায় প্রকৃতির রূপ কীভাবে ফুটে উঠেছে? ৩.২ ‘আমি আর কখনও নিজের কাজ নিজের হাতে করতে সঙ্কুচিত হব না। -- ডাক্তারবাবুর এমন প্রতিজ্ঞা করার কারণ কী? ৩.৩ ‘তা এটা কী মানুষের আঁকা?’ – বাঘ এমন প্রশ্ন করেছিল কেন ? ৩.৪ ‘এখনাে কি ফুলপরিরা নেমে আসে পৃথিবীতে। পৃথিবীতে নেমে এসে তারা কী করে?
Answers
৩.১আমরা চাষ করি আনন্দে ‘ কবিতায় প্রকৃতির রূপ কিভাবে ফুটে উঠেছে ?
উত্তর –' আমরা চাষ করি আনন্দে ' কবিতা টি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর রচিত, এখানে তিনি গ্রাম্য প্রকৃতির এক অপূর্ব চিত্র তুলে ধরেছেন। গ্রাম বাংলার কৃষক ও প্রকৃতি যেন একে অপরের পরিপূরক। কৃষকেরা রোদ ও বৃষ্টির মধ্যে সারাদিন চাষ করেন। চষা মাটির গন্ধে ছুটে আসা বাতাস যেন বাঁশ বাগানের পাতায় গান শুনিয়ে যায়। তরুণ কবির মনেও নতুন নতুন ছন্দ জেগে ওঠে। অগ্রানের সোনার রোদ, পূর্ণিমার চাঁদের আলো, ধানের শীষের পুলকে, যেন সারা পৃথিবী হেসে ওঠে।
৩.২ ) ‘ আমি আর কখনো নিজের কাজ নিজের হাতে করতে সংকুচিত হবো না। ‘ – ডাক্তারবাবুর এমন প্রতিজ্ঞা করার কারণ কী ?
উত্তর – ‘ নিজের হাতে নিজের কাজ ‘ গল্পে ডাক্তারবাবু কুলিকে পারিশ্রমিক দিতে গিয়ে জানতে পারলেন যে তিনি কুলি নন। তার নাম ঈশ্বর চন্দ্র শর্মা। তার নাম শুনে ডাক্তারবাবুর চমকে উঠলেন এবং লজ্জিত হলেন। এই ভাবে উপযুক্ত শিক্ষা পেয়ে তিনি নিজের হাতে নিজের কাজ করার প্রতিজ্ঞা করলেন।
‘ তা এটা কি মানুষের আঁকা ? ‘ – বাঘ এমন প্রশ্ন করেছিল কেন ?
উত্তর – ‘ দেওয়ালের ছবি ‘ গল্পে বাঘ একদিন শিকারির বাড়ি গিয়ে দেওয়ালে একটি হাতে আঁকা ছবি দেখতে পেল। ছবিতে একজন শিকারি হাতে তীর-ধনুক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর একটি বাঘ তার পায়ের নিচে শুয়ে আছে। শিকারি এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন সে বিরাট কোন কাজ করেছে। এই দেখে বাঘ এমন প্রশ্ন করেছিল। কারণ ছবিটি যদি মানুষ না একে কোন বাঘ আঁকতো তাহলে সেটি অন্যরকম হতো।
৩.৪ ) ‘ এখনো নাকি ফুলপরীরা নেমে আসে পৃথিবীতে। ‘ – পৃথিবীতে নেমে এসে তারা কি করে ?
উত্তর – এখনো নাকি ফুলপরীরা রাতে চাঁদের আলোয় পৃথিবীতে নেমে আসে। সারারাত ফুলবনে হাত ধরাধরি করে নাচে এবং ভোর না হতেই চলে যায়।