৪, উদাহরণসহ উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয়শিলার শ্রেণিবিভাগ করাে। ছবি এঁকে দিলে ভালো হয়
Answers
Explanation:
যেমন - (ক) ভলক্যানিক বা নিঃসারী শিলা (খ) উদবেধী শিলা।
(ক) ভলক্যানিক বা নিঃসারী আগ্নেয় শিলাঃ অগ্ন্যুৎপাতের সময় বা কোনো ফাটল দিয়ে ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের ওপরে উঠে আসে এবং লাভারূপে প্রবাহিত হয়। এই লাভা শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে দ্রুত জমাট বাঁধে ও কঠিন শিলায় পরিনত হয়। এরূপ শিলাকে ভলক্যানিক বা নিঃসারী শিলা বলে। দ্রুত জমাট বাঁধে বলে এই শিলার দানাগুলি খুব সুক্ষ্ম হয় ও শিলার রঙ গাঢ় হয়।
উদাহরণ - ব্যাসল্ট, রায়োলাইট, অ্যান্ডিসাইট, অবসিডিয়ান প্রভৃতি নিঃসারী শিলা।
নিঃসারী আগ্নেয়শিলা গুলিকে আবার উৎপত্তি ও গঠনের তারতম্য অনুসারে দুভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা - [A] লাভা শিলা - ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে শীতল হয়ে যে শিলার সৃষ্টি হয়, তাকে লাভা শিলা বলে। যেমন - ব্যাসল্ট শিলা। [B] পাইরোক্লাসটিক শিলা - অগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয়গিরির মুখে জমে থাকা লাভা ছাই, সিন্ডার ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খন্ডে বিভক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে, তখন তাদের পাইরোক্লাসটিক শিলা বলা হয়। যেমন - আগ্নেয় টুফ।
(খ) উদবেধী আগ্নেয় শিলাঃ অনেক সময় ম্যাগমা ভূগর্ভের মধ্যেই ধীরে ধীরে তাপ বিকিরন করে শীতল হয় ও জমাট বেঁধে এক ধরণের আগ্নেয়শিলার সৃষ্টি করে। এরূপ আগ্নেয়শিলাকে উদবেধী আগ্নেয়শিলা বলে। ধীরে ধীরে জমাট বাঁধে বলে এই শিলার দানা গুলি স্থূল হয় এবং শিলার রং হালকা হয়।
উদাহরণ - গ্রানাইট, গ্যাব্রো, পেরিডোটাইট, ডোলেরাইট প্রভৃতি।
উৎপত্তি ও গঠনের তারতম্য অনুসারে উদবেধী আগ্নেয়শিলা গুলিকে দুভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা - পাতালিক শিলা ও উপপাতালিক শিলা।
[A] পাতালিক শিলা - ভূপৃষ্ঠের অনেক নিচে বহু বছর ধরে ধীরে ধীরে শীতল হয়ে যে সব উদবেধী আগ্নেয়শিলার সৃষ্টি হয়, তাদের পাতালিক শিলা বলে। যেমন - গ্রানাইট, ডায়োরাইট, গ্যাব্রো প্রভৃতি।
[B] উপপাতালিক - ভূপৃষ্ঠের অল্প নিচে ধীরে ধীরে শীতল হয়ে যে উদবেধী আগ্নেয়শিলার সৃষ্টি হয়, তাকে উপপাতালিক শিলা বলে। যেমন - ডোলেরাইট, পরফাইরি প্রভৃতি।