স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি সংক্ষিপ্ত রচনা লেখো। অন্তত ৩০০ শব্দে।
Answers
Answer:
ভারতের স্বাধীনতা দিবস
স্বাধীনতা কথার অর্থ হলো মুক্তি। মুক্তি জীবনের ওপর, যেখানে পাওয়া যায় স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার, বক্তব্য প্রকাশের অধিকার এবং স্বাধীন ব্যক্তিত্ব তুলে ধরার অধিকার। স্বাধীনতা প্রাপ্তির জন্য, প্রাণী খাদ্য পর্যন্ত ত্যাগ করতে পারে, এই সম্পর্কে বাংলা গল্প প্রাঙ্গণে এক ছোট গল্প ও রয়েছে। ঠিক যেমন এক জীবের কাছে পরাধীন চলন অমান্য ও অসহ্যকর তেমনই ঠিক এক সময়ে অন্য দেশের দুঃসহ পরাধীনতা মেনে নিতে পারেনি আমাদের ভারত দেশ। তারাই ছিল ব্রিটিশ, যাদের স্বৈরাচারী শাসন ভারতের জনগণের ওপর নিদারুণ শোষণ, পীড়ন ও দুরাচার চালিয়েছিল। এমনকি কেরে নিয়েছিল অনেক প্রাণ। প্রায় দুশো বছর ধরে ব্রিটিশরা পদানত করে রেখেছিল ভারত কে, কিন্তু অত্যাচার যে সহ্য করে সেও একপ্রকার দোষী বলে সিদ্ধ হয়। তাই, বিশেষ কিছু ব্যক্তির জাগরণ ব্রিটিশ দের প্রতি মুহূর্তে কাঁপিয়ে তুলেছিল। পরাধীনতার এই অগ্নিজ্বালা সেই মানুষ গুলোকে স্থির থাকতে দেয়নি। এই অস্থিরতার প্রকোপে এবং মুক্তির অটল উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাওয়ার পথেই তারা প্রাণ হারান। সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীরাই আজ আমাদের বর্তমান ইতিহাসে স্বর্ন অক্ষর ছাপিয়ে গেছে। সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিং, লাল-বাল-পাল, ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরা, চন্দ্র শেখর আজাদ এবং আরও অসংখ্য মানুষ কালক্রমে এই পরাধীন শাসনের বিরুদ্ধে অস্ত্রহীন, অস্ত্রসহ, গোপনে, ছলে-বলে-কৌশলে যুদ্ধ চালিয়েছেন। লেখকরাও বাদ যাননি এই তালিকায়। এখনও পর্যন্ত তাদের সেই উত্তপ্ত লেখাগুলি মানুষের মন কে উদ্দীপিত করে, যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বিভিন্ন ভয়ংকর বিদ্রোহ, বিপ্লব ও আন্দোলনের মাধ্যমেও ভারতীয় উপজাতিগণ এবং সাধারণ মানুষ বিক্ষোভের উল্লাস তুলেছেন, যথা ফরাজি বিপ্লব, মুন্ডা বিদ্রোহ ইত্যাদি। শেষ পর্যন্ত এই সমস্ত বীরেরা কারাদণ্ডে অথবা অস্ত্রাঘাতে অকালেই মৃত্যুর আগলে পড়েছেন। কিন্তু তাদের এই রক্ত মাখা প্রচেষ্টাই শেষ পর্যন্ত, ১৯৭৪ সালের ১৫ই আগস্ট আমাদের দেশকে স্বাধীনতা দিয়েই ছাড়লো।
বর্তমানে আমরা যে ভারতে বাস করি, তা স্বাধীন। এই মহান সফলতার পিছনে রয়েছে সেইসব শ্রদ্ধেয় সংগ্রামীদের রক্তপূর্ণ হাত। এত বৃহৎ এবং গুরুগম্ভীর লড়াই করে প্রাপ্ত স্বাধীনতা দিবস কে উদযাপন না করলে দেশের বিরাট এক অপমান। তাই আমাদের দেশের এই ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমার এই ছোট এক উপস্থাপনা। জয় হিন্দ!
বেশ কিছু কথা হয়তো এই দিনটার সাথেই চলে যাবে অথবা লুকানো থাকবে মানুষের অন্তরে; প্রথম থেকে শুরু করেই, আজও হয়তো আমরা কোথাও না কোথাও নারীদের অবলা বলে মনে করি। দিনের আলোয় সব ঠিক অথচ একটু রাতেই তারা দুশ্চিন্তায় বাড়ির বাইরে যান না। এর স্পষ্ট উদাহরণ হলো নারীধর্ষণ, নারী-হরণ, ইত্যাদি যা আমরা আজকাল মাঝেমাঝেই খবরে দেখতে পাই। এইসবই স্বাধীন ভারতের নারীদের মনে মুক্তির উচ্ছ্বাস নয়, বরং আতঙ্ক জাগিয়ে তোলে। বেশ কিছু মানুষ তাদের নিজস্ব ইচ্ছার কথা ভুলে, সমাজের চিন্তা করে এবং তাদের মনকাঙ্ক্ষা, ও স্বাধীনতা মনেই গুপ্ত থেকে যায়। শুধু মহিলা নয়, কিছু কিছু পুরুষ ও এই সমস্যার অধীন হন। আবার, চোখে পড়ে যে এই দিবসে সবাই ভারতের জয়গান করলেও, ঠিক পরের দিন থেকেই শুরু করে দেন নিত্য-নতুন বদনাম। অন্যদিকে বর্ণবাদ অর্থাৎ রেসিজম্ ও এক বিকট ব্যতিক্রমী চিন্তাধারা। এসবের একটাই অর্থ, যে ভারত আজ পরাধীনতা মুক্ত হলেও, মানসিক দিক থেকে এখন ও পরাধীন।
আমরা সকলে জানি যে বর্তমানে ভারতের পূর্ণতা স্বাধীনতার জন্য শুধুমাত্র ব্যাহিক নয়, প্রত্যেক ব্যক্তির মানসিক উন্নয়ন এবং সুশীল চিন্তন অত্যান্ত প্রয়োজনীয়। আশা করি বর্তমানে আমরা সেই সর্বশ্রেষ্ঠ স্বাধীনতা এবং উন্নতির সীমা ছাড়াবো।
লেখায় → senguptadebjeet57.
আশা করছি এটা সাহায্য করবে❤️
Answer:
3. Electrical power P is given by the expression P=(Q* V)/ time.
Explanation:
pls mark as BRAINLIEST I will follow and thank you