English, asked by jummansk20201, 10 hours ago

সারারাত মিছে দাঁড় টানি , মিছে দাঁড় টানি - বক্তার একথা বলার কারণ কি ?​

Answers

Answered by sarkaranimesh197735
3

Answer:

কবি অজিত দত্ত তার লেখা 'নোঙর' কবিতায় উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন।

Explanation:

নোঙর' একটি রূপকধর্মী কবিতা। এখানে 'বাণিজ্যতরী' কবির জীবন, 'পণ্য' হল কবির মনের দুর্জয় আকাংখা, বিশ্বের বিভিন্ন কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণকরার বুক ভরা ইচ্ছা, 'নোঙর' হল তার জীবনের সামাজিক বন্ধন, যা তাঁকে আটকে রেখেছে। 'নদীর স্রোত' হলো বহির্বিশ্বের বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ, যা কবির মনকে বারে-বারে আন্দোলিত করেছে।

Answered by payalchatterje
3

Answer:

বক্তার একথা বলার কারণ হলাে, নােঙরের বাঁধন থেকে মুক্ত করে পণ্য তরিখানা যাতে সপ্তসিন্ধু পাড়ি দিতে পারে তার চেষ্টা করা।

যতই দাঁড় টানা হােক, যতই মাস্তুলে পাল বাঁধা হােক, ; তবু পণ্যভরা বাণিজ্য-তরি নােঙরের কাছিতে তীরে বাঁধা। বন্দিমাত্রই নানা বিড়ম্বনা, নানা বিদ্রুপের বলি হয়। হতভাগ্য বাণিজ্য-তরিটির কপালে একই দুর্গতি। সাগরগর্জনে তার নিস্তব্ধ মুহূর্তগুলি ভয়েত্রাসে কম্পমান। দাঁড়ের প্রতি নিক্ষেপে তাকে শুনতে হয় স্রোতের বিদ্রুপ পরিহাস। যতই তারার দিকে তাকিয়ে দিকের নিশানা করে, ততই বিরামহীন দাঁড় টেনেও মেলে না সাফল্য। নােঙরে বাঁধা তরি যেখানে ছিল সেখানেই থাকে।

জোয়ারের ফলে ফুলে ওঠা উচ্ছ্বসিত ঢেউ প্রবল বেগে তীরের দিকে ছুটতে থাকে। তীরে নােঙরের বাঁধনে বন্দি তরিখানার ওপর এসে আছড়ে পড়ে। দেখে মনে হয় তরিতে প্রবল বেগে মাথা ঠুকে গুঁতাে দিচ্ছে। কিন্তু আঘাত করলেই প্রতিঘাত খেতে হবে। কাজেই প্রতিঘাত খেয়ে ঢেউ ছােটে সমুদ্রের দিকে। জোয়ারের প্রাবল্য থিতিয়ে গেলে জল পূর্বাবস্থায় ফিরতে চায়, এই বিপরীত স্রোতই হলাে ভাটা। জোয়ারভাটার অবিরাম আঘাতে বিধ্বস্ত তীরে নােঙরে বাঁধাপড়া বাণিজ্য-তরিটি বিপর্যস্ত হতে থাকে।

অন্য কবিতা থেকে আরও কিছু প্রশ্ন:

1) https://brainly.in/question/20916851

2) https://brainly.in/question/20513422

Similar questions