‘এলাহি ব্যাপার সব। – ‘নাটোকের কথা’ রচনাংশ অনুসরণে সেই এলাহি ব্যবস্থাপনার বিবরণ দাও।
Answers
Answer:
please mark the following
Explanation:
উত্তর- আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দাঁড়াও কবিতার মানুষ হিসাবে আমাদের অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে সর্বদা দাঁড়াতে অর্থাৎ তাদের সাহায্য করতে বলেছেন। মানুষ হয়ে যখন মানুষকে পাখি হিসেবে ফাঁদ পাতা হয় ঠিক তখনই সেই মানবীক হৃদয়বান ও পরোপকারী মানুষকে পাখির মতোই তাদের তাদের
২. ‘লাঠি ধরলে বটে!’ – বক্তা কে ? কার সম্পর্কে তার এই উক্তি ? উক্তিটির মধ্য দিয়ে তার কোন্ মনোভাবের পরিচয় পাও ?
উত্তর: প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্যটির বক্তা হলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ” পল্লীসমাজ ” গল্পের আকবর।
পিরপুরের এই প্রজা অর্থাৎ আকবর প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্যটি এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র রমেশের সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন।
রমেশ যখন নিজেই বাঁধ কেটে জল বের করতে যায় সেখানে গিয়ে দেখে সেই বাঁধ পাহারা দিতে রমা আকবরকে পাঠিয়েছিল। তখন আকবর রমেশের সঙ্গে লাঠির লড়াইয়ে হেরে যায়। তারপর এই ঘটনা রমাকে বলার সময় লাঠিয়াল হিসাবে রমেশের প্রশংসার সুরে প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্যটি আকবর প্রকাশ করেন। আর এই বাক্যটির মধ্য দিয়ে বক্তার সত্যকে এবং একজন লাঠিয়াল এর বীরত্বের স্বীকার করার সুন্দর ছবি ধরা পড়েছে।
Model Activity Task Class 8
৩. ‘প্রাণ আছে, প্রাণ আছে’ – ‘ছন্নছাড়া’ কবিতায় এই আশাবাদ কীভাবে ধ্বনিত হয়েছে ?
উত্তর- একটি বেওয়ারিশ ভিখিরি গাড়ি চাপা পড়ায় একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবক ফাঁকা ট্যাক্সি খুঁজছিল এবং সেটি পেয়ে যাওয়ায় গাড়িটিকে নিয়ে তাড়াতাড়ি তারা ঘটনাস্থলে যায়। রক্তে-মাংসে দলা পাকিয়ে যাওয়া ভিখিরির শরীরটিকে তারা পাঁজাকোলা করে তুলে নেয় ট্যাক্সিতে। শরীরটি তোলার সময়ই তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে চেঁচিয়ে ওঠে—শরীরটিতে এখনও প্রাণ আছে বুঝতে পেরে। এইভাবেই শহরের ইট-কাঠ পাথরে পরিবেষ্টিত দয়া-মায়াহীন পরিবেশের মধ্যে থেকে একটি মায়া-মমতাপূর্ণ বিশ্বাসের জয় শঙ্খধ্বনি ধ্বনিত হয়ে উঠে—“প্রাণ আছে, প্রাণ আছে” কথাগুলির মাধ্যমে। কারণ, প্রাণ থাকলেই মর্যাদা থাকে। এখানে মৃতপ্রায় ভিখারি যেন মরতে বসা সমাজের রুপক, কিন্তু এই সর্বহারা ছন্নছাড়া যুবকদের মানবিকতার ছোঁয়ায় তাতে প্রান ফিরে এসেছে।
( Model Activity Task Class 8 )
৪. শিমুল গাছ অনেকে দেখিয়াছ।’-‘গাছের কথা’গদ্যাংশে শিমুল গাছের প্রসঙ্গ লেখক কীভাবে স্মরণ করেছেন ?
উত্তর- উদ্ধৃত লাইনটি বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা “গাছের কথা” নামক প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে।
প্রবন্ধের শুরুতেই তিনি বলেছেন— ছেলেবেলায় একা মাঠে বা পাহাড়ে বেড়াতে গেলে সবকিছুই যেন তার খালি খালি লাগত। গাছ, পাখি, কীটপতঙ্গকে লেখক তখনও সেভাবে ভালোবাসতে শেখেননি। পরে যখন ভালোবাসতে শিখলেন, তখন তাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে বুঝতে পারলেন যে, গাছ কথা না-বললেও এদের জীবন আছে। এরপর শিমুল ফল ফেটে তুলোর সঙ্গে হাওয়ায় উড়তে থাকার ঘটনার উল্লেখ করে তিনি ছোটোবেলার কথা মনে করেছেন। বাতাসে ভাসতে থাকা তুলোর পিছনে তিনি যখন ছুটোছুটি করতেন, সেগুলি বাতাসের গতিতে এদিক-ওদিক চলে যেত। হাত বাড়িয়ে ধরা সম্ভব হত না কিন্তু লেখক এর মধ্যে খেলার আনন্দ খুঁজে পেতেন।
( Model Activity Task Class 8 )
৫. বিশ্বের বুক ফেটে বয়ে যায় এই গান— -কোন্ হতাশার কান্না বিশ্বজুড়ে বয়ে যায় ?
উত্তর- উদ্ধৃত লাইনটি বুদ্ধদেব বসুর লেখা “হাওয়ার গান” কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
কবিতাতে হওয়াদের এক জীবন্ত স্বত্ত্বায় কল্পনা করা হয়েছে। তারা সমস্ত পৃথিবী ঘুরে নিজেদের বাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছে, আর তাদের হাহাকার যেন কোনো বিলাপের সুর। হাওয়ারা পার্কের বেঞ্চিতে শুকনো পাতা উড়িয়ে জালনার শার্সি কাঁপিয়ে, কখনো বা চিমনিতে হাহাকার তুলে অথবা বাগানের কেঁদে কেঁদে ঘুরে বেড়ায়। তাদের শনশন শব্দ, গর্জন আসলে গানের সুরের মতোই ধ্বনিত হয়েছে। হাওয়াদের যে বাড়ি নেই, সেই কথাটিকে তারা কবিতার মধ্যে দু-বার বলেছে, গানের সঞ্চারীর মতো করে। তাদের হৃদয়ের কান্নাই আসলে হাওয়ার গান।
( Model Activity Task Class 8 )
৬. ‘ছেলের কথা শুনেই বুকুর মা-র মাথায় বজ্রঘাত!” – বুকুর কোন্ কথায় তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়লেন ?
উত্তর- আশাপূর্ণা দেবী রচিত “কি করে বুঝবো” গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
বুকুর বাবা মা বুকুকে সব সময় শিক্ষা দিয়েছেন যে কখনো মিথ্যা কথা বলতে নেই, কোনো কথা গোপন করতে নেই। বুকু সেই মোতাবেক কাজ করেছে। ছেনু মাসীরা তাদের বাড়িতে আশায় তার বাবা বিরক্ত বোধ করলে বুকু তাদের সামনেই তা বলে দেয়। কেননা ছয় বছরের ছোট্ট শিশুটি জানে না কোন কথা গোপন করতে হয়। বুকু নির্দোষ।কারণ তাকে যেটা শেখানো হয়েছে সে সেটাই বলেছে। বুকুর এই সত্যি কথা বলার কারণে তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়েছেন।
৭. ‘পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি’কবিতায় গ্রামজীবন সম্পর্কে কবির যে অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তার পরিচয় দাও ।
উত্তর- কবি জীবনানন্দ দাশ হলেন প্রকৃতিপ্রেমী কবি। আলোচ্য “পাড়াগাঁর দু পহর ভালোবাসি” কবিতায় কবি গ্রাম বাংলার দ্বিপ্রহরের অসাধারণ মোহমহী রূপের বর্ণনাকে ছন্দ প্রদান করেছেন। রোদ্রে স্মাত গ্রামবাংলা প্রান্তরের শঙ্খচিল, জল সিঁড়ির পাশে ঘাসের উপর নুয়ে পড়া চালতা গাছ, হিজল গাছে বাঁধা জীর্ণতায় ডিঙ্গি নৌকা ইত্যাদি যেন অপরূপ মহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছে কবির বাণীতে। প্রকৃতিপ্রেমী কবির হাত ধরে যেন গ্রাম বাংলার দুপুরের মায়াময়ী রুপ কবিতাটিতে ফুটে উঠেছে।