মোহনবাগান স্পোর্টিং ক্লাব সম্বন্ধে যা জান লেখো।
Answers
Answer:
ভারতের শাসনভার তখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে। আর কলকাতা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সদর দপ্তর। আর এই ইংরেজ সাহেবদের খেলার মাধ্যমেই কলকাতায় ফুটবলের গোড়াপত্তন। শোনা যায়, সম্ভবত ১৮৫৪ সালের এপ্রিল মাসে ময়দানে হাওয়া ভরতি গোল চামড়ার বল দিয়ে ইংল্যান্ড থেকে আসা ইটনের প্রাক্তন ছাত্ররা ‘ইটোনিয়ান্স’ নামে একটি দল গড়ে ফুটবল খেলতে নেমেছিল একটি শ্বেতাঙ্গ দলের সঙ্গে। ঊনবিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকের শেষ দিকে নগেন্দ্রপ্রসাদ কলকাতায় গড়েছিলেন বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাব।
১৮৮৯ সালের ভূপেন্দ্রনাথ বসুর বাড়ির আগস্ট মাসে ১৪ নং বলরাম ঘোষ স্ট্রিট-এর সভাতেই স্থির হল মোহনবাগান ভিলায় যারা খেলছে তাদের নিয়ে গড়া হবে একটি ক্রীড়া সংগঠন। যার নাম ‘মোহনবাগান স্পোর্টিং ক্লাব’। ভূপেন্দ্রনাথ বসু হলেন মোহনবাগান স্পোর্টিং ক্লাবের প্রথম সভাপতি এবং প্রথম সম্পাদক যতীন্দ্রনাথ বসু। এরপর ( ১৯০৭ সাল থেকে পরপর তিনবার মোহনবাগান ট্রেডস কাপ জেতার পর, সাহেবদের হারাবার স্বপ্নে বিভোর মোহনবাগান আই.এফ.এ. শিল্ড-এও খেলবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মোহনবাগান আই.এফ.এ. শিল্ডে সেবার গর্ডন হাইল্যান্ডসকেও হারিয়ে দিয়েছিল। ১৯১১ সালে মোহনবাগান অপ্রতিরোধ্য গতিতে আই.এক.এ. শিল্ডে অংশগ্রহণ করে। শিল্ডের প্রথম রাউন্ডের খেলায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের বিরুদ্ধে মোহনবাগান তিন গোলে জয়লাভ করে। রেঞ্ঝার্সকে ২ ও ১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে মোহনবাগান। শক্তিশালী রাইফেল ব্রিগেডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল মোহনবাগান। মিডলসেক্স-এর বিরুদ্ধে ৩ ও ০ গোলে জয়লাভ করে ফাইনালে উঠল মোহনবাগান। মোহনবাগানের শিল্ড জয়ের বিজয়োৎসবে মুখরিত সমগ্র বাংলা। সমগ্র দেশে এসেছিল অকাল দীপাবলী।ইস্ট ইয়র্ক-কে হারিয়ে দেশের মানুষের মনে দেশাত্মবোধ, বৈপ্লবিক চেতনা জাগিয়ে তুলতে সমর্থ হয়েছিল মোহনবাগান।