১ খ) গ) ৩। ৩/৪ টি বাক্যে উত্তর দাও।
ক) মাধব, হাম পরিণাম নিরাশা’ – কবির এমন মনােভাবের কারণ কী?
খ) কবি কেন আশাবাদী যে ঈশ্বর তাকে কৃপা করবেন ?
গ) জীবনের অর্ধেক কাল পর্যন্ত কবি কীভাবে সময় অতিবাহিত করেছেন?
ঘ) “তাতল সৈকত বারিবিন্দু সম’ বলতে কবি কী বােঝাতে চেয়েছেন? (56 C ৪। রচনাধর্মী উত্তর লেখাে। ক) প্রার্থনা’ কবিতাটি অবলম্বনে কবির বক্তব্য বিষয় পরিস্ফুট করাে।
খ) মাধব হাম পরিণাম নিরাশা’— কার, কোন রচনা থেকে পঙক্তিটি উদ্ধৃত হয়েছে? মাধব বলতে কাবে বােঝানাে হয়েছে? কবির এই মন্তব্যের যথার্থতা আলােচনা করাে।
গ) প্রার্থনা কবিতায় কবি বিদ্যাপতি যেভাবে আত্মবিশ্লেষণ করেছেন তা বর্ণনা করাে।
IF ANYBODY CAN ANSWER THEN I'LL MARK YOU AS A BRAINLIEST.
Answers
Answer:
সারাংশ :
কবি বিদ্যাপতি তাঁর পরম আরাধ্য ঈশ্বর শ্রীকৃষ্ণকে মিনতি করে বলেছেন যে চিরস্থায়ী, শাশ্বত ঈশ্বরকে ভুলে তিনি এতদিন মায়াময় সংসারের মোহে আচ্ছন্ন হয়েছিলেন। উত্তপ্ত বালুকারাশিতে এক বিন্দু জল পতিত হলে তা যেভাবে অস্তিত্বহীন হয় ঠিক সেভাবে এই ক্ষণস্থায়ী সংসারে একান্ত আপনজন সবই অস্তিত্বহীন হয়। সংসারের মোহজালে আবৃত হয়ে তিনি তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ব্যয় করে জীবনকে ব্যর্থতায় পরিণত করেছেন। তার আক্ষেপ এই যে, তার এই ব্যর্থ মূল্যহীন জীবনের আর কোনও প্রয়োজন নেই। ঈশ্বর জগতের ত্রাতা। তিনি দীনের প্রতি দয়াশীল। তাই কবির বিশ্বাস দয়াময়, ঈশ্বরের কৃপা ও করুণা থেকে তিনি বঞ্চিত হবেন না। কবি বলছেন, জীবনের শৈশব ও যৌবনের রঙ্গরসে মজে গিয়ে বার্ধক্যের অনেক সময়ও বৃথাই পার করেদিলেন। এর মধ্যে তার জীবনে কৃষ্ণ ভজনের অবকাশ ঘটেনি। সমগ্র সৃষ্টি ঈশ্বরের মধ্যে জন্মে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো আবার ঈশ্বরেই বিলীন হয়। কবি বিদ্যাপতি তাই বলছেন, শেষকালে মৃত্যুজনিত ভয় থেকে উদ্ধার পেতে হলে ঈশ্বর ছাড়া আর কোনো গতি নেই। জগতে তিনিই একমাত্র উদ্ধার কর্তা, সুতরাং উদ্ধার করার দায়িত্ব এখন ঈশ্বরের।