'বড়ো চমৎকার আজকে এই সন্ধ্যার চেহারা'। —— 'বহুরূপী ' গল্প অনুসরণে উক্ত সন্ধ্যার দৃশ্য বর্ণনা করো।
Answers
Answer:
বহুরূপী' আসলে হরিদা নামে এক হতদরিদ্র মানুষের বাস্তব জীবনযাপনের কাহিনি।
ঘড়ির কাঁটার সামনে সময় বেঁধে দিয়ে আর নিয়ম করে একই ধরনের কাজ করা হরিদার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তিনি মাঝে মাঝে বহুরূপী সেজে যেটুকু রােজগার করেন, তাতেই তাঁর কোনােরকমে দিন চলে যায়। পেশা হিসেবে বহুরূপী সাজাকে বেছে নেওয়ার জন্য গল্পের নাম 'বহুরূপী'। কিন্তু তার মধ্যে জীবনের বাঞ্জনাসূচক বিশেষ ভাবসত্যও পাওয়া যায়।
হরিদা যখন বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর যাবতীয় প্রলােভন এবং অর্থ তুচ্ছ জ্ঞান করেছেন, তখনই কাহিনিটি ছােটোগল্পের মর্যাদা পেয়ে যায়। বিভিন্ন চরিত্রের বেশ ধারণ করে পয়সা উপার্জন করাই হরিদার পেশা। তবু তিনি জগদীশবাবুর টাকার থলি স্পর্শ করেননি। করলে ছােটোগল্পের ব্যঞ্জনা নষ্ট হত। করেননি বলেই পাঠকমন গল্পের উপসংহারে এসে অতৃপ্তি আর কৌতুহলে ঘুরপাক খেতে থাকে। এই ধরনের পরিণতিই আধুনিক ছােটোগল্পের বিশেষত্ব। বহুরূপী গল্পের মধ্যে দিয়ে সন্ধ্যার এই দৃশ্যটি খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।
Answer:
is
Explanation: