কিভাবে আকাশে বজ্রপাত ও বজ্রনাদের সৃষ্টি হয়?
Answers
Answer:
नी skssgsjskska लैं video good bcoz house
Answer:
বজ্রপাত - ঝড়ের সময় মেঘ উপরে ওঠে এবং নীচে নামে। ফলে বায়ুর বিভিন্ন ধরনের আহিত কণার প্রভাবে মেঘের জলকণাগুলি তড়িগ্রস্ত হয়। সাধারণত মেঘের নীচের দিকটি ঋণাত্মক তড়িগ্রস্ত এবং ওপরের দিকটা ধনাত্মক তড়িগ্রস্ত হয়। ভূপৃষ্ঠ এবং আকাশের মধ্যে বিভবপার্থক্য থাকায় ভিন্ন আধানগুলি মেঘের মধ্যে দুটি আলাদা অঞ্চলে জমা হয়। এরপর নীচের দিকের ঋণাত্মক তড়িগ্রস্ত মেঘ মাটির কাছে এলে আবেশের জন্য মাটিতে ধনাত্মক তড়িৎ জমে। এভাবে তড়িৎ জমতে জমতে একসময় মেঘ ও মাটির মধ্যে বিভবপার্থক্য এত বেশি হয়ে যায় যে, মধ্যবর্তী অংশের বায়ু পরিবাহী হয়ে পড়ে ফলে স্ফুলিঙ্গের আকারে ঋণাত্মক তড়িদাধান মেঘ থেকে মাটিতে চলে আসে। এর ফলে সৃষ্ট ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু উচ্চমানের তড়িৎপ্রবাহের ফলে বায়ু অতি গরম হয়ে আলো বিকিরণ করে। একেই আমরা বজ্রপাতের ঝলক বলি। আবার এই অতি গরমে বায়ুতে সাময়িকভাবে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়, তা বায়ুতে প্রবল কম্পন তৈরি করে। এই কম্পনের জন্যই আমরা বজ্রপাতের সময় শব্দ শুনতে পাই। এভাবে ভূপৃষ্ঠে বজ্রপাত হয়। এই বজ্রপাত দুটি আলাদা মেঘের মধ্যে বা একই মেঘের বিভিন্ন অংশের মধ্যেও হতে পারে।
বজ্রনাদ - বজ্রপাতের প্রবাহপথ বরাবর অবস্থিত বায়ুর দ্রুত প্রসারণের ফলে উৎপন্ন শব্দকেই বজ্রনাদ বলে। বজ্রপাতে সৃষ্ট ক্ষণস্থায়ী কিন্তু অতি উচ্চমানের তড়িৎপ্রবাহ যে বিপুল তাপশক্তির উদ্ভব ঘটায়, তা বায়ুস্তম্ভের দ্রুত ও অস্বাভাবিক বেশি প্রসারণ সৃষ্টি করে। এই প্রসারণ বায়ুতে বহির্মুখী ও কম্পনশীল এক শক্তিশালী চাপতরঙ্গ পাঠায়, যা শব্দের বেগে (প্রায় 320 m/s) প্রবাহিত হয়। এই চাপতরঙ্গ দ্বারা সৃষ্ট প্রবল কম্পন বজ্রপাত ঘটার সামান্য পরেই এক জোরালো শব্দ উৎপন্ন করে, যাকে মেঘগর্জন বা বজ্রনাদ বলে।