১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে । ১.১ ‘জগদীশবাবু যে কী কাণ্ড করেছেন, শােনেননি হরিদা? জগদীশবাবু কে? কাণ্ডটি কী? ১+২ ১.২ ‘খুবই গরিব মানুষ হরিদা। হরিদার পরিচয় দাও। তার দারিদ্র্যের ছবি ‘বহুরূপী’গল্পে কীভাবে প্রতিভাসিত হয়েছে? ১+২ ১.৩ ‘কি হেতু, মাতঃ, গতি তব আজি এ ভবনে? –বক্তা কাকে ‘মাতঃসম্বােধন করেছেন? তিনি এই প্রশ্নের কী উত্তর দিয়েছেন? ১+২ ১.৪ ‘এ মায়া, পিতঃ, বুঝিতে না পারি! বক্তা কে? কোন্ মায়া তার বােধের অগম্য ? ১+২ ১.৫ ...ভদ্রতার অযােগ্য তােমরা! কার প্রতি এরূপ মন্তব্য? বক্তা কোন পরিস্থিতিতে মন্তব্যটি করেছেন? ১+২ -
Answers
Answer:
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে:
১.১) ‘জগদীশবাবু যে কী কাণ্ড করেছেন, শােনেননি হরিদা?’ – জগদীশবাবু কে? কাণ্ডটি কী?
উত্তরঃ
জগদীশবাবুর পরিচয়ঃ বিশিষ্ট গল্পকার সুবােধ ঘােষ রচিত “বহুরূপী” গল্পের অন্যতম পার্শ্বচরিত্র হলেন জগদীশবাবু - তিনি ধর্মপ্রাণ ও সমৃদ্ধশালী ব্যক্তি হলেও যথেষ্ট কৃপণ ছিলেন।
জগদীশবাবুর কান্ডটির বর্ণনাঃ জগদীশবাবুর বাড়িতে এক হিমালয়বাসী সন্ন্যাসী এসে সাতদিন ছিলেন। বাড়িতে আগত সেই ‘উঁচু দরের সন্ন্যাসী’ কাউকে নিজের পদধুলি সংগ্রহ করতে দিতেন না। কিন্তু ধর্মপ্রাণ জগদীশবাবু সন্ন্যাসীকে সােনার বােল দেওয়া খড়ম পরিয়ে সুকৌশলে ‘দুর্লভ’ সেই পদধূলি সংগ্রহ করেছিলেন এবং সন্ন্যাসীকে বিদায় দেওয়ার সময় একশাে টাকা প্রণামিও দিয়েছিলেন। প্রদত্ত অংশে জগদীশবাবুর এই 'কান্ড'টির কথা বলা হয়েছে।
১.২) ‘খুবই গরিব মানুষ হরিদা।’ – হরিদার পরিচয় দাও। তাঁর দারিদ্র্যের ছবি ‘বহুরূপী’ গল্পে কীভাবে প্রতিভাসিত হয়েছে?
উত্তরঃ
হরিদার পরিচয়ঃ বিশিষ্ট গল্পকার সুবােধ ঘােষ রচিত "বহুরূপী" গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন হরিদা। তিনি পেশাগতভাবে বহুরূপী বৃত্তি অবলম্বন করতেন।
হরিদার দারিদ্র্যের ছবিঃ হরিদা একজন অতি সামান্য দরিদ্র বহুরূপী। গােটা গল্প জুড়েই আমরা তার দরিদ্রতার একাধিক নিদর্শন দেখতে পাই। যথা–
ক) শহরের সবচেয়ে সরু গলির ভিতরের একটি ছােট্ট ঘরই তার সম্বল।
খ) বাড়িতে আগত বন্ধুদের চা খাওয়ানাের মতাে সামর্থ্য তার নেই।
গ) বহুরূপী সেজে তিনি যেটুকু বকশিশ পান তা দিয়ে তার সব সময় অন্নের সংস্থান হয়না। অনেক সময় তাই তার ভাতের হাড়িতে ভাতের বদলে শুধু জল ফোটে।
১.৩) ‘কি হেতু, মাতঃ, গতি তব আজি এ ভবনে?’ – বক্তা কাকে ‘মাতঃ’ সম্বােধন করেছেন? তিনি এই প্রশ্নের কী উত্তর দিয়েছেন?
উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত "অভিষেক" কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটির বক্তা রাবণনন্দন ইন্দ্রজিৎতাঁর ধাত্রীমার ছদ্দবেশীনী দেবী লক্ষ্মীকে 'মাতঃ' বলে সম্বোধন করেছেন।
মায়ের উত্তরঃ ইন্দ্রজিতের প্রশ্নের উত্তরে নিজের আগমনের কারণ হিসাবে ছদ্দবেশীনী দেবী লক্ষ্মী তাঁকে কিছু দুঃসংবাদ জানিয়েছিলেন। যথা -
ক) মায়া বলে রামচন্দ্র পুনর্জীবন লাভ করে, ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভ্রাতা বীরবাহুকে হত্যা করেছেন।
খ) পুত্র শােকে শােকগ্রস্ত রাবণ পুত্র হত্যার প্রতিশােধ নিতে যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
১.৪) ‘এ মায়া, পিতঃ, বুঝিতে না পারি!’ – বক্তা কে? কোন্ মায়া তার বােধের অগম্য?
উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত "অভিষেক" কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটির বক্তা হলেন রাবণনন্দন ইন্দ্রজিৎ বা মেঘনাদ।
বােধের অগম্য মায়ার পরিচয়ঃ নিশাযুদ্ধে ইন্দ্রজিৎ তাঁর তীক্ষ্ণ শর বর্ষণ করে রামচন্দ্রের দেহ খন্ড খন্ড করেছিলেন। তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে, রামচন্দ্র সম্পূর্ণরূপে নিহত হয়েছেন। কিন্তু সেই রামচন্দ্র পুনর্জীবন লাভ করে ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহুকে হত্যা করেছেন। একজন 'ছার নর' বা তুচ্ছ মানুষ কোন মায়া বলে মৃত্যুর পরেও পুনর্জীবন লাভ করতে পারে - তা ইন্দ্রজিতের বােধের অগম্য।
১.৫) ‘...ভদ্রতার অযােগ্য তােমরা!’ – কার প্রতি এরূপ মন্তব্য? বক্তা কোন্ পরিস্থিতিতে মন্তব্যটি করেছেন?
উত্তরঃ বিশিষ্ট নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের "সিরাজদ্দৌলা" নাটকে বাংলা তরুণ নবাব সিরাজদ্দৌলা আশ্রিত কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটসকে উদ্দেশ্য করে প্রদত্ত মন্তব্যটি করেছেন।
⊕ সিরাজ ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ করে কলকাতা জয় করেন এবং ইংরেজদের সঙ্গে আলিনগরের চুক্তিতে আবদ্ধ হন। কিন্তু ইংরেজরা আলিনগরের সব শর্ত রক্ষা করার পরিবর্তে নবাবের বিরুদ্ধে ষড়মন্ত্রের জাল বিস্তার করতে থাকেন। এমতাবস্থায় অ্যাডমিরাল ওয়াটসনের একটি পত্র সিরাজের হস্তগত হয়। সেই পত্রের মাধ্যমে সিরাজ জানতে পারেন যে, ওয়াটসনের নেতৃত্বে তার বিরুদ্ধে ইংরেজ কোম্পানি সৈন্যবাহিনী পাঠিয়ে যুদ্ধের ছক কষছে। সর্বোপরি, নবাবের রাজসভায় আশ্রিত ইংরেজ প্রতিনিধি ওয়াটসও এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার। কাজেই ইংরেজ কোম্পানির এই বিশ্বাসঘাতকতায় ক্ষুব্ধ নবাব প্রকাশ্য রাজসভায় ওয়াটসকে বলতে বাধ্য হয়েছেন যে "ভদ্রতার অযােগ্য তােমরা"।
১.৬) ‘মনে হয়, ওর নিশ্বাসে বিষ, ওর দৃষ্টিতে আগুন, ওর অঙ্গ-সালনে ভূমিকম্প।’ – উদ্ধৃতিটির আলােকে ঘসেটি বেগমের চরিত্রবৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে।
উত্তরঃ
উৎসঃ বিশিষ্ট নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত ঐতিহাসিক সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশের ঘসেটি বেগম একজন হৃদয়হীনা প্রতিহিংসাপরায়ণ নারী চরিত্র। পাঠ্য নাট্যাংশে তার সংলাপ সংখ্যা মাত্র ১৯টি। কিন্তু এই সামান্য কয়টি সংলাপেই তিনি তার কুটিল স্বরূপটি আমাদের সামনে উন্মােচন করেছেন–
(ক) ষড়যন্ত্রকারী এবং দেশদ্রোহীঃ সিরাজ বিরােধী চক্রান্তের মধ্যমণি ছিলেন ঘসেটি বেগম। তিনি সিরাজের দুঃখ-যন্ত্রণায় বেদনার্থ নন বরং উল্লসিত। বাংলার স্বাধীনতা রক্ষার যাবতীয় প্রয়াসের বিরুদ্ধে তিনি গর্বিত বিদ্রোহিনী।
(খ) প্রতিহিংসাপরায়ণাঃ পালিত পুত্রকে সিংহাসনে বসিয়ে ক্ষমতা দখল করার যে স্বপ্ন ঘসেটি দেখেছিল, শওকতজঙকে হত্যা করে সিরাজের সিংহাসন আরােহণে তা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। নবাব ঘসেটিকে নিজ দরবারে নজর বন্দি করে রাখেন। ঘসেটির হৃদয়ে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে প্রতিহিংসার দাবানল। তিনি নিজেই বলেছেন, “আমার রাজ্য নেই, রাজনীতিও নেই। আছে শুধু প্রতিহিংসা।”
Explanation:
please make me brainlist please it is important and also thank please