তপন আর পড়তে পারে না। বোবার মতো বসে থাকে- তপনের এরকম অবস্থার
কারণ কী?
Answers
Answer:
বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা কুমকুম গল্পগ্ৰন্থের অনন্তরগত জ্ঞানচক্ষু গল্পে স্কুলপড়ুয়া তপন লেখক হতে চেয়েছিলো। কিন্তু তার ধারণা ছিল লেখকরা সাধারণ মানুষ নন আকাশ থেকে পড়া অতিলৌকিক কোনো প্রতিভা। কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে তপনের এই ধারণা দূর হয়। এবার তপন নিজে একটা গল্প লিখে ফেলে। মেসো প্রতিশ্রুতি দেন সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তিনি সেটা ছাপিয়ে দেবেন। গল্প ছাপানো হলে ছাপানো গল্পটা পড়ে তপন হতবাক হয়ে যায়। কারণ গল্পের প্রতিটি লাইন নতুন ও আনকোরা। তার মধ্যে তপন নিজেকে একেবারেই খুঁজে পায়না। তার মনে হয় গল্পটা তার নয়। নিজের লেখা গল্পের আমূল পরিবর্তন দেখে তপন দুঃখ ও অপমানিত বোধ করে। নিজের প্রকাশিত গল্প পড়তে গিয়ে তপন যখন দেখে মেসোমশাই তার পুরো গল্পটাই কালেকশন করে দিয়েছেন, তখন সে আর পড়তে পারে না বোবার মতো বসে থাকে।