২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে : (প্রতিটি প্রশ্নের মান - ৩) ২.১ ‘হঠাৎ একদিন ঝমঝম করে পড়ে বৃষ্টি’– তখন কৃষকরা কীভাবে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ‘মরশুমের দিনে’রচনাংশ অনুসরণে লেখাে। 2.2 শিশির-বিমল প্রভাতের হল, শত হাতে সহি পরখের ছল- বিকালবেলায় বিকায় হেলায় সহিয়া নীরব ব্যথা। উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে। ২.৩ .... এমন অভূতপূর্ব অবস্থায় আমায় পড়তে হবে ভাবিনি। গল্পকথক কোন অবস্থায় পড়েছিলেন ? ২.৪ ‘বাঘ বাবা-মা বদলে নিলেন বাড়ি’– তাদের বাড়ি বদলাতে হয়েছিল কেন?
Answers
Answer:
plz explains this in easy language
1)'মরশুমের দিন' রচনা অংশে কবি দেখিয়েছেন যে , হঠাৎ একদিন ঝমঝম করে বৃষ্টি' শুরু হয়, এবং প্রচন্ড গরমের পর বৃষ্টির দেখা পেয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফোটে। দুই তিন দিন বৃষ্টির পর তারা হোগলার তৈরি মাথালে মাথা - পিঠ ঢেকে ভারী বৃষ্টির মধ্যেই বেরিয়ে পড়ে চাষের কাজ করতে মাঠের দিকে। ধান রোয়া, আল বাঁধার কাজ সেরে ফেলতে হবে তাড়াতাড়ি। ধান চাষ ছাড়াও অনেকে পাট চাষ করে; তাদের আরো কাজ, আরো বেশি ব্যস্ততা। লেখক তার 'মরশুমের দিন রচনা অংশে এইভাবেই বৃষ্টির পর কৃষকদের ব্যাস্ততার ছবি এঁকেছেন ।
2) 'হাট' কবিতা টি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত, এই কবিতায় তিনি গ্রাম বাংলার চিরপরিচিত রূপটিকে তুলে ধরেছেন। সকালবেলায় শিশির ভেজা টাটকা শাকসবজি পাওয়া যায় হাটের দোকানগুলিতে। শাকসবজি ও ফলগুলি সারাদিন ধরে বিভিন্ন মানুষের হাতের পরখ সহ্য করে, অবশেষে বিকেল বেলায় অনেক কম দামে নিজের মনের যন্ত্রণা লুকিয়ে বিক্রি হয়ে যায়। কবি রূপক অর্থে শাকসবজি ও ফলের সঙ্গে মানবজীবনের তুলনা করেছেন ।
3) লেখক শিবরাম চক্রবর্তী রাঁচিতে হুভুর দিকে সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু পথে সাইকেলের টায়ার খারাপ হয়ে যাওয়ায় বাকি পাঁচ মাইল পথ অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর অবশেষে অন্ধকার সন্ধ্যায় ছোট্ট একটি বেবি অস্টিন গাড়ি দেখে তাড়াতাড়ি সেটাতে চেপে বসেন। গাড়িটি ধীরে ধীরে চলতে শুরু করে। লেখক গন্তব্যস্থল বলতে বলতে চমকে উঠেন-- ড্রাইভার এর জায়গায় কেউ নেই! নিশ্চিত হন- তিনি ভূতের পাল্লায় পড়েছেন। শীতেও তার ঘাম দেখা গেল। লেখক এই অবস্থার কথাই 'অভূতপূর্ব' বলে বর্ণনা করেছেন ।
4) 'বাঘ!' কবিতাটি নবনীতা দেবসেন রচিত , এই কবিতায় তিনি একটি ছোট্ট হলুদ বাঘের কাহিনী শুনিয়েছেন। ছোট্ট বাঘটি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি পাখিরালয়ে থাকতো। ছোট্ট বাঘ টির খুব খিদে; সে পাখিগুলোকে থাবা দিয়ে ধরতে গেলেই তারা উড়ে পালাতো। এরপর খিদের জন্য বাঘছানাটি নদীর পাড়ে কাকড়া ধরতে গিয়ে নিজেই নাজেহাল হয়। ছোট ছোট মাছ ধরে খেতে চাইলে মা তাকে বকেন। শেষ পর্যন্ত ছেলের দুঃখ দেখে বাঘটির বাবা-মা কে তাদের বাড়ি বদলাতে হয়েছিল। এখন তারা তিনজন মিলে সজনেখোলা বনে থাকে।