ক) ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলতে কি বােঝাে? খ) ছাত্ম, বর্ষাতি, সােয়েটার, মাফলার, জ্যাকেট, বছরের কোন কোন সময় লাগে ? গ) মাটির ব্যবহার সম্পর্কে যা জানাে লেখাে? ঘ) আয়ুর্বেদ চিকিৎসা বলতে কি বােঝাে? ৪।নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলাের উত্তর দাওঃ- ক) ‘সিঙ্কোনা’ গাছ ও পাতা দিয়ে কি ওষুধ তৈরী হয় এবং কোথায় দেখা যায়? খ) অরণ্য আমাদের বন্ধু কেন, অরণ্য বাঁচাতে কী কী ব্যবস্থা নেবে?
Answers
Answered by
0
Answer:
Explanation:
1. প্রকৃতির বুকে স্বাভাবিক ভাবে যে সমস্ত উদ্ভিদ জন্মায় তাদের স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলে। ভারতের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার তারতম্য অনুসারে বিভিন্ন প্রজাতির স্বাভাবিক উদ্ভিদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তাই ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদের শ্রেনীবিভাগ করা খুবই কঠিন কাজ। বিভিন্ন উদ্ভিদবিদ ও বাস্তুবিদ বিভিন্ন সময়ে ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদের শ্রেনীবিভাগের চেষ্টা করেন। H.G. Champion 1936 সালে ভারতে ১১৬ রকমের স্বাভাবিক উদ্ভিদ শনাক্ত করেন এবং সেগুলি বেশ কয়েকটি উপবিভাগে বিভক্ত করেন। G.S. Puri (1960), Legris (1963), Champion & S.K. Seth (1968), এবং S.S. Negi (1990) এই সমস্ত বিশেষজ্ঞ দের শ্রেনীবিভাগের ওপর নির্ভর করে ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ কে ৫ টি প্রধান ভাগে এবং ১৬ টি উপবিভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রধান ৫ টি শ্রেনী সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হল।
2. আমি তো পরিনি, মা বানিয়ে দেয় না!’ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সৌরিতা ঘোষ কোনওদিন মায়ের হাতে বোনা সোয়েটার পরেনি৷ কারণ তার মা যে সোয়েটার বুনতেই পারেন না! এই বিষয়ে সৌরিতার মা শাঁওলি সিনহার বক্তব্য,‘আমার মা-দিদিমা উল বুনতে পারে৷ তাই কখনও মনেই হয়নি, আমারও উল বোনা শেখার প্রয়োজন আছে৷ মেয়ে চাইলে তাঁরাই বানিয়ে দেন৷ তবে এখন রেডিমেড এত সুন্দর-সুন্দর শীতের পোশাক পাওয়া যায়, দরকার কী হাতে বোনার!’
3. মাটি বা মৃত্তিকা হলো পৃথিবীর উপরিভাগের নরম আবরণ। পাথর গুঁড়ো হয়ে সৃষ্ট খনিজ পদার্থ এবং জৈব যৌগ মিশ্রিত হয়ে মাটি গঠিত হয়। জৈব পদার্থের উপস্থিতিতে ভূমিক্ষয় আবহবিকার, বিচূর্ণিভবন ইত্যাদি প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পাথর থেকে মাটির উদ্ভব হয়েছে। সে কারণে অতি প্রাচীন কালের মাটি পৃথিবীতে পাওয়া যায় না । ভূ-ত্বক, জলস্তর, বায়ুস্তর এবং জৈবস্তরের মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে পাথর থেকে মাটি তৈরি হয়।রাশিয়ান বিজ্ঞানী Dokuchaevকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানের জনক বলা হয়।তিনি মৃত্তিকা সম্পর্কে ধারণা দেন।
4. আয়ু’ শব্দের অর্থ ‘জীবন’ এবং ‘বেদ’ শব্দের অর্থ ‘জ্ঞান’ বা ‘বিদ্যা’। ‘আয়ুর্বেদ’ শব্দের অর্থ জীবনজ্ঞান বা জীববিদ্যা।[১] অর্থাৎ যে জ্ঞানের মাধ্যমে জীবের কল্যাণ সাধন হয় তাকে আয়ুর্বেদ বা জীববিদ্যা বলা হয়। আয়ুর্বেদ চিকিত্সা বলতে ভেষজ বা উদ্ভিদের মাধ্যমে যে চিকিত্সা দেয়া হয় তাকে বুঝানো হয়। এই চিকিত্সা ৫০০০ বছরের পুরাতন। পবিত্র বেদ এর একটি ভাগ - অথর্ববেদ এর যে অংশে চিকিৎসা বিদ্যা বর্ণিত আছে তা-ই আয়ুর্বেদ। [২][৩][৩] আদি যুগে গাছপালার মাধ্যমেই মানুষের রোগের চিকিৎসা করা হতো।[৪] এই চিকিত্সা বর্তমানে ‘হারবাল চিকিত্সা’ তথা ‘অলটারনেটিভ ট্রিটমেন্ট’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে এই চিকিত্সা বেশি প্রচলিত। পাশাপাশি উন্নত বিশ্বেও এই চিকিত্সা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারণ মর্ডান এলোপ্যাথি অনেক ঔষধেরই side effect বা পার্শ প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেমনঃ ঔষধ সিপ্রোফ্লক্রাসিন, ফ্লুক্লক্রাসিলিন, মেট্রোনিডাজল, ক্লক্রাসিলিন প্রভৃতি ঔষধ রোগ সারানোর পাশাপাশি মানব শরীরকে দুবর্ল করে ফেলে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে স্মৃতিশক্তি, যৌনশক্তি, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার ইতিহাস পাওয়া যায়।[৫] কিন্তু তবুও দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য মানুষ এগুলো ব্যবহার করে চলেছে। পক্ষান্তরে ডাক্তারও ঔষধ ব্যবসায়ীগণ এসকল পার্শ প্রতিক্রিয়া পরোয়া না করে সুনামের জন্য অনবরত যথেচ্ছহারে রোগীদেরকে এসকল ঔষধ দিয়ে যাচ্ছেন। তাই এখন এ ঔষধের বিকল্প ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত হিসেবে বিশ্বে এখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।[৬]
5. 1. সিনকোনা যা সাধারণভাবে কুইনা নামে পরিচিত, রুবিয়াসিয়াসি পরিবারের একটি গোত্র যার ২৫ টি প্রজাতি সনাক্ত করা হয়েছে, আদিনিবাস দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিমাংশে অবস্থিত আন্দিজ জঙ্গলে।[২] সামান্য কিছু প্রজাতি মধ্য আমেরিকা, জ্যামাইকা, ফরাসি পলিনেশিয়া, সুলাওয়েসি, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত সেন্ট হেলেনা এবন নিরক্ষীয় আফ্রিকার উপকূলে সাঁও টোমে এন্ড পিন্সিপেতে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মে। কুইনিনের অল্প কিছু প্রজাতির ঔষধি গুণ আছে। এই সকল গাছের বাকল থেকে কুইনিন এবং অন্যান্য যৌগ আহরণ করা হয়।
বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস ১৭৪২ সালে পেরুর সেই সময়কার ভাইরয়ের পত্নী কাউন্টেস অফ সিনকোন এর নামানুসারে এই বৃক্ষের নামকরণ করেন। যদিও কয়েক শতাব্দী ধরে মানুষ এই গাছের ছালের বাকলের উপকারীতার কথা অবগত ছিলো। সিনকোনা গাছ ইকুয়েডর[৩] এবং পেরুর[৪] জাতীয় বৃক্ষ।
5. 2. গাছ লাগাও।
পরিবেশ বাঁচাও।
প্রচারে, বিজ্ঞাপনে ছয়লাপ। প্রচুর আয়োজন করে গাছ লাগানোও চলছে। এ প্রসঙ্গে কিছু পরিসংখ্যান।
সারা দেশের হিসেবে ২০১৭-র রেকর্ড অনুযায়ী বনাঞ্চলের আয়তন ৮০০ বর্গ কিলোমিটারের বেশি। এটা পুরো দেশের ভৌগোলিক আয়তনের ২৪ শতাংশের বেশি। ২০১৫ থেকে ২০১৭, বনাঞ্চলের আয়তন বৃদ্ধি রেকর্ড পরিমাণ। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ সালে বনভূমির আয়তন ছিল ৭০৮ বর্গ কিলোমিটারের কিছু বেশি, অর্থাৎ মোট ভূখণ্ডের প্রায় ২২ শতাংশ। কতটা বেড়েছে, সে তো আগেই বললাম। লক্ষ্যমাত্রা মেনে দেশের ১৫টি রাজ্যে গড়ে ৩৩ শতাংশ বনাঞ্চল বেড়েছে। এর মধ্যে ৭টি রাজ্যে বেড়েছে ৭৫ শতাংশ। বাকি আটটিতে ৩৩ থেকে ৭৫ শতাংশ। এগিয়ে মধ্যপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ ও ছত্তিশগড়।
Similar questions