পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের কারণ কি ছিল?
Answers
Answer:
পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ 14 ই জানুয়ারি 1761 সালে দিল্লির 97 কিলোমিটার উত্তরে পানিপথ নামক স্থানে মারাঠীদের সাথে দোয়াবের আফগান রোহিলা ও আয়ুব সম্রাট সুজা-উদ-দৌলার যৌথ সমর্থনে আফগানিস্তানের সম্রাট
আহমেদ শাহ আবদালির মধ্যে সংঘটিত হয় যুদ্ধটি মারাঠা অশ্বারোহী ও গোলন্দাজ বাহিনীর সাথে আবদালি এবং নাজিব -উদ-দৌলা নেতৃত্বের আফগান ও রোহিলাদের অশ্বারোহী ও পর্বতারোহী গোলন্দাজ মধ্যে ভয়ঙ্কর রূপে সংঘটিত হয় যুদ্ধটি আঠারো শতকের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এবং মৃত্যুর সংখ্যা ধরলে সম্ভবত দুটি বাহিনীর মধ্যে ভয়ংকর যুদ্ধ একটি একক দিনে মৃত্যুর বৃহত্তম সংখ্যা যুদ্ধটি প্রকৃত স্থান নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিতর্ক আছে কিন্তু অধিকাংশ ঐতিহাসিক এর সংগঠন স্থান হিসেবে বর্তমানে কালা আম্ব এবং সানাউলির রোডের খুব কাছাকাছি স্থানেই বিবেচনা করেছেন কয়েকদিনের জন্য স্থায়ী নয় এবং একশো পঁচিশ হাজার সৈন এতে অংশগ্রহণ করে উভয়পক্ষের লাভ এবং ক্ষতি পরে শত্রু মারাঠা সেনাবাহিনীর ওপর বেশ কিছু দুর্দান্ত আক্রমণ দ্বারা ধ্বংস করার পর আহাম্মদ শাহীন পরিচালিত আফগান বাহিনী বিজয় লাভ করে উভয় পক্ষের ক্ষতির পরিমাণ ঐতিহাসিক দের পক্ষে ব্যাপক ভাবে বির্তকিত তবে এটি বিশ্বাস করা যায় যে 60000 থেকে 70 হাজারের কাছাকাছি সেনা নিহত হয় কিন্তু আহত বন্দীদের সংখ্যা বিভিন্ন ঐতিহাসিক দ্বারা বিতর্কিত কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী সুজা-উদ-দ্দৌলা দিওয়ান কাশি রাজ বখর যুদ্ধের পর প্রায় 40,000 মারাঠা কয়েদিকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেন গ্ৰান্ট ডাফ ইতিহাসে এই গণহত্যা থেকে বেঁচে ফেরা এক মারাঠা সৈনিকের একটি সাক্ষাৎকার দ্বারা এই সংখ্যাকে সমর্থন করেছেন সেজওয়ালকর যার 1761 পানিপথ কোন গ্রন্থে যেটি এই যুদ্ধের একক সেরা মাধ্যমিক উৎস হিসাবে গণ্য হয় তাতে তিনি বলেছেন যুদ্ধের সময় এবং পরে 100000 বেশি মারাঠা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এই যুদ্ধের ফলে উত্তরে মারাঠা অগ্রগতি হ্রাস পায় এবং প্রায় দশ বছর ধরে তার শাসনাধীন অঞ্চলগুলিতে অস্থিতিশীলতার আবির্ভাব ঘটে এই সময়টি পেশোয়া মাধবরাও এর শাসন দ্বারা চিহ্নিত হয় তিনি পানিপথের যুদ্ধে পরাজয়ের পর মারাঠা শাসনের পুনঃজাগরণ ঘটান 1771 সালের পানিপথের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের 10 বছর পর তিনি একটি অভিযানে ভারতের উত্তরাঞ্চলের একটি বৃহৎ মারাটা সেনা বাহিনী প্রেরণ করেন যার অর্থ এই অঞ্চলের মারাঠা শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং রোহিলাদের মত আফগানিস্তানের পক্ষাবলম্বনকারী অযৌতিক শক্তিকে শান্তি দেওয়া যাদের কারণে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের পর মারাঠা শাসনের অবসান ঘটেছিল এই প্রচার অভিযানের সফলতা পানিপথের দীর্ঘ গল্পের শেষ কাহিনী হিসেবে দেখা হয়।