৩। তােমার দেখা একটি ‘বৃষ্টিমুখর দিনের ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণনা করাে।
Answers
Answer:
দ্বীপমানে পানীৰ মাজত থকা স্থলভাগ, মাজুলী। দীপমানে চাকি,প্রদীপবাবন্তি। এনে ধৰণৰ একেই উচ্চাৰণৰঅথচ বেলেগ বানানৰ অৰ্থৰে সৈতে পাঁচোটা উদাহৰণড়দিয়া ?
Answer:
বর্ষণমুখর দিন কাটানোর স্মৃতি বললে ছোটবেলার কথাই বেশি মনে পড়ে। তখনকার নিষ্পাপ মনে অনেকরকম কল্পনা বাসা বাঁধত। চতুর্থ শ্রেণী থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময়কার কথা খুব মনে পড়ে।
ওই সময়ে আমরা স্কুলের বাসে আসা যাওয়া করতাম। বৃষ্টির দিনে ব্যবহারের জন্য খুব যত্ন করে ছাতা কিনে রেখেছিলাম। প্রত্যেকদিন প্রার্থনা করতাম, "ঠাকুর, ঠিক বাস থেকে যখন নামব তখন বৃষ্টি দাও, যাতে ছাতাটা সবাইকে দেখানো যায়"। এদিকে কাঁদার মধ্যে হেঁটে , ভিজে যে ল্যাজে গোবরে হব সেইদিকে খেয়াল নেই। সুন্দর ফুল ফুল ছাতাটা দেখানোর কি আনন্দ! আর একটা আনন্দ ছিল নালার মধ্যে বা ভরা পুকুরের মধ্যে কাগজের নৌকা ভাসানোর আনন্দ।
আমরা যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তাম তখন আমাদের ইতিহাস বিষয়ে সিন্ধু সভ্যতার কথা পড়ানো হয়েছিলো। সেখানে মহেঞ্জো দারোতে The Great Bath বলে শহরের একটা অংশের কথা ছিল। আমাদের বইয়ে সেই সিন্ধু সভ্যতার অনেকগুলো সুন্দর ছবি থাকায় তা আমার মনে কল্পনার উদ্রেক করত। দি গ্রেট বাথের ছবি ছিল এরকম
এবার বলি এই কথাটা কেন উঠলো। আমরা স্কুল বাসে যেদিক দিয়ে যেতাম সেইদিকে একটা জায়গায় খুব ভাঙা রাস্তা ছিল। তা হত কি, বৃষ্টির দিনে সেখানে জল জমে যেত। কত মানুষের কত অসুবিধে, কিন্তু আমাদের খুব আনন্দ হত। আমরা কি করতাম, ইচ্ছে করে তখন বাসের শেষ সিটটায় বসতাম, যাতে ভাঙা রাস্তায় যেতে যেতে অনেকটা ব্রেক ডান্স চড়ার মত মনে হয়।তখন তো ছোট রোগা পাতলা শরীরে কোমর ব্যাথার ব্যাপার ছিল না, কারণ তেমনভাবে কোমরটাই ছিল না। তা ভাঙা, জল জমা রাস্তা দিয়ে যখন জল ছিটিয়ে বাসটা এভাবে যেত, তখন আমরা কল্পনা করতাম যে আমরাও সিন্ধু সভ্যতার দি গ্রেট বাথে গিয়ে স্নান করছি। আমরা শেষের সিটে ঝাকড়ানি খেতে খেতে চিৎকার দিতাম "এইইইইইইই দি গ্রেট বাথ এসছে"।